• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ঐশী'র বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি পেশ

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৯ এপ্রিল ২০১৭, ২৩:৩৪

বাবা-মাকে হত্যার দায়ে বিচারিক আদালতের দেয়া মৃত্যুদণ্ডের আদেশের বিরুদ্ধে মেয়ে ঐশী রহমানসহ দণ্ডিত অন্য আসামিদের বিষয়ে যুক্তি পেশ করলো রাষ্ট্রপক্ষ।

রোববার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে এ মামলার শুনানি হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারি এটর্নি জেনারেল আতিকুল হক সেলিম ও নিজামুল হক নিজাম। আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আফজাল এইচ খান ও সুজিত চ্যাটার্জি। সোমবার রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তির পাল্টা জবাব পেশ করবে আসামিপক্ষ।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জহিরুল হক বলেন, ঐশীর মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষ হয়েছে। তার মানসিক অবস্থা পরীক্ষার জন্য দেয়া আদেশ অনুযায়ী সোমবার আদালতে হাজির করা হবে। এদিন আদালত মামলায় রায়ের জন্য দিন ঠিক করতে পারেন।

তিনি বলেন, অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় তাকে (ঐশী) দেয়া বিচারিক আদালতের রায় আমরা বহাল রাখার আর্জি জানিয়েছি। আর তার মানসিক অবস্থা নিয়ে যে প্রশ্ন তোলা হয়েছে সে ব্যাপারে আমরা বলেছি, ঘটনার সময় ও তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার সময় তার মানসিক অবস্থা ঠিক ছিল।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আফজাল এইচ খান বলেন, আমরা রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্কের জবাব দেবো। এরপর শুনানি শেষে আদালত রায়ের দিন ঠিক করবেন।

ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু কার্যকরের আদেশ দিয়ে দেয়া বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে মেয়ে ঐশী রহমান খালাস চেয়ে ২০১৫ সালের ৬ ডিসেম্বর আপিল করেছেন। ঐশীর আপিল শুনানির জন্য ২০১৫ সালের ৭ ডিসেম্বর গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। এরপর মামলার পেপার বুক প্রস্তুত করা হয়। গেলো ১২ মার্চ ডেথ রেফারেন্স ও মামলায় আনা আপিল শুনানি শুরু হয়।

পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (পলিটিক্যাল শাখা) পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যা মামলায় ১২ নভেম্বর ২০১৫ নিহতদের একমাত্র মেয়ে ঐশী রহমানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেন ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদের আদালত। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছর কারাদণ্ডের নির্দেশও দেয়া হয়।

মামলার অন্য আসামি ঐশীর বন্ধু মিজানুর রহমান রনিকে খুনের ঘটনার পর ঐশীদের আশ্রয় দেয়ার অপরাধে দু’বছরের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরো একমাস কারাদণ্ড ভোগ করার কথা বলা হয়। অপর আসামি ঐশীর বন্ধু আসাদুজ্জামান জনি খালাস পান।

দু’টি খুনের জন্য আলাদা দু’টি অভিযোগ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল। দু’টি অপরাধের জন্য আলাদা আলাদা করে ঐশীকে দু’বার ফাঁসি ও দু’বারে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ফৌজদারি আইন অনুযায়ী বিচারিক আদালত ঘোষিত ফাঁসির রায় কার্যকর করতে হলে হাইকোর্ট বিভাগের অনুমতি নিতে হয়।

বিচারিক আদালতের দেয়া ঐশীর মৃত্যুদণ্ডের রায়ের নথিসহ ডেথ রেফারেন্স ২০১৫ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টে এসে পৌঁছে।

২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগে নিজেদের বাসা থেকে মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরের দিন ঐশী গৃহকর্মী সুমীকে নিয়ে রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করেন। গেলো বছরের ৯ মার্চ ডিবির ইন্সপেক্টর আবুয়াল খায়ের মাতুব্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে ঐশীসহ ৪ জনকে অভিযুক্ত করে আলাদা দু’টি চার্জশিট দাখিল করেন। অপর আসামি গৃহকর্মী খাদিজা আক্তার সুমি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তার মামলাটির বিচার শিশু আদালতে হয়।

কে/এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh