ফ্রান্সের তুলজে নির্মিত হলো শহিদ মিনার
দক্ষিণ ফ্রান্সের পিংক সিটি বলে সুপরিচিত শহর ‘তুলুজ’। দীর্ঘ বছরের অব্যাহত প্রচেষ্টার পর বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে আমাদের ভাষা আন্দোলনের রক্তাক্ত ইতিহাস এবং তার প্রতিকৃতি শহিদ মিনার। ২১ ফেব্রুয়ারি আজ বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঐতিহাসিক স্বীকৃতি লাভ করেছে।
তুলুজপ্রবাসী বাংলাদেশি সম্প্রদায় এবং বাংলাদেশি কমিউনিটি অ্যাসোসিয়েশন তুলুজ, ফ্রান্সের সুযোগ্য প্রেসিডেন্ট ফকরুল আকম সেলিমের নেতৃত্বে এই অসাধ্য সাধন হয়েছে। একইসঙ্গে বিশ্বপ্রবাসী সংগঠন ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ অর্গানাইজেশন (WBO) এবং ইউরোপের শীর্ষ বাংলাদেশি সংগঠন অল ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের (AEBA) বিশিষ্ট কর্মকর্তা ফকরুল আকম সেলিমের এই ঐতিহাসিক সাফল্যে অবদান রাখেন।
দুর্ভাগ্যবশত বর্তমান করোনা মহামারি পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির মেয়র জনাব জঁ লুক মুদান্ক এক কঠিন স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাত্র ছয়জনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এই অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার।
খুব কম সময়ের মধ্যে খুব কম প্রটোকল প্রতিপালনের মাধ্যমে উনি এত বড় ঐতিহাসিক কাজটা করতে চান; যদিও এই সময়ে এ ধরনের উদ্যোগ নিয়ে উনি আমাদের অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতার পাত্র হয়েছেন।
অতএব অনুষ্ঠানে যারা অংশ নিতে চান, তাদের প্রতি অনুরোধ, সরকারি প্রটোকল চলাকালে আমন্ত্রিত ছয়জন ছাড়া অন্য সবাই বেশ দূরত্বে অবস্থান করবেন এবং মেয়র সাহেব চলে গেলেই আপনারা পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে ভাষা আন্দোলনের শহিদদের প্রতি আপনাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। আমরা অনেক আলোচনা করেই এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। নিশ্চয় করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে উদযাপন করবে।
আমাদের সবার সামগ্রিক দায়িত্ব ও শৃঙ্খলা পালনের মধ্য দিয়ে মেয়র সাহেবকে আমাদের দেওয়া এ প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে হবে। যা প্রমাণ করবে জাতি হিসেবে আমরা কত সুশৃঙ্খল।
জেবি
মন্তব্য করুন