• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

কুবির দ্বিতীয় ছাত্রী হল নির্মাণের কাজ মন্থর গতিতে চলছে

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ১৯ জানুয়ারি ২০২১, ১৭:১৪
কুবি×শিক্ষার্থী×সংকট×হল×নির্মাণ×ঠিকাদার×টাকা×করোনা×
ছবি সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রস্তাবিত শেখ হাসিনা ছাত্রী হল বা দ্বিতীয় ছাত্রী হলের নির্মাণ কার্যক্রম দীর্ঘদিন পূর্বে শুরু হলেও মন্থর গতির কারণে ইতোমধ্যে নির্ধারিত সময়সীমা পার হয়ে গিয়েছে। ১৮ মাসের ভেতর প্রকল্পটির কাজ সম্পন্ন করার জন্য ২০১৭ সালের মার্চে আবদুর রাজ্জাক জেবিসিএ নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে বাস্তবে প্রায় ৪৫ মাসেও নির্মিতব্য ছাত্রী হলের কাজ শেষ করতে পারেনি দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। এজন্য পরস্পরকে দোষারোপ করছে প্রশাসন ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রশাসনের সুষ্ঠু তদারকির অভাবেই প্রকল্প বাস্তবায়নে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গাফিলতির সুযোগ পাচ্ছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আবাসন ব্যবস্থার বাইরে বিভিন্ন মেসে থাকা শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিদ্যমান ছাত্রী হলে গাদাগাদি করে বসবাসরতদের সমস্যাও প্রকট আকার ধারণ করেছে। করোনায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় পাশ করে ব্যাচ বের না হওয়া ও নতুন শিক্ষাবছরে আরও শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ায় একমাত্র ছাত্রী হল নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হলে বিপুল ছাত্রীর চাপে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়বে ও আবাসন সংকট অসহনীয় হবে বলে আশঙ্কা করছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।

একমাত্র হলের সংকট সম্পর্কে নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আসমা আক্তার মুক্তা বলেন, হলে পর্যাপ্ত পরিমাণ থাকার জায়গা নেই, এক রুমে ১২ জনও থাকছে। যারা রান্না করে খায় তাদের জন্য বড় সমস্যা হচ্ছে একটা চুলা। এত জন মেয়ে একটা চুলায় রান্না করতে গেলে সিরিয়ালই পাওয়া যায় না। দ্বিতীয় ছাত্রী হলটা তাড়াতাড়ি নির্মাণ হলে মেয়েদের থাকার সমস্যা মিটে যেত।

নির্মাণাধীন দ্বিতীয় হলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্বল্প সংখ্যক শ্রমিক নিয়ে ধীরগতিতে কাজ চলমান রয়েছে।

বিভিন্ন কক্ষের ভেতরে পলেস্তারা করা হয়েছে। তবে বাইরে এখনও পলেস্তারা করা হয়নি। এছাড়া জানালার গ্রিল লাগালেও দরজা এবং জানালার কাচ লাগানো বাকি রয়েছে। অন্যদিকে ফ্লোর টাইলস করা এবং বিদ্যুৎ সংযোগও এখনও আসেনি।

ঠিকাদার মো. জাহাঙ্গীর আলম এ ব্যাপারে বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে শ্রমিক সংকট ছিল। কাজ করাতে পারিনি তেমন। আগে কাজ দ্রুত গতিতেই চলছিল। এছাড়া প্রশাসনিক নানা জটিলতার কারণেও দেরি হয়েছে। সময়মতো টাকা পাই না। আর প্রজেক্টের মেয়াদ শেষ হওয়ায় এখন একটু সমস্যা হচ্ছে। মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছি। তবে আশা করি এই বছরের অক্টোবরের ভেতরে আমরা কাজ শেষ করতে পারব।

এর আগে ২০১৯ সালের নভেম্বরেও তিনি দুই থেকে তিন মাসের ভেতর এবং পরবর্তীতে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের আগে কাজ বুঝিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

এদিকে প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এস. এম. শহিদুল হাসান ঠিকাদারকে দোষারোপ করে আরটিভি নিউজকে বলেন, টাকা, শ্রমিক ও মালামাল এ তিনটি জিনিস ঠিক থাকলে খুব দ্রুত কাজ সম্ভব। ঠিকাদারদের এগুলো ঠিক ছিল না বিধায় এতো দেরি হচ্ছে। এই তিনটি জিনিসের সমন্বয় করেনি ঠিকাদার।

তিনি আরও বলেন, কার্যাদেশের যে টাকা বরাদ্দ আছে সেই কাজই শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার। বরং কাজের গতি কমিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে জিম্মি করার চেষ্টা করছে। এখন তারা চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সময় চেয়ে আবেদন করেছেন।

হল নির্মাণ সম্পূর্ণ করতে আরও কত সময় লাগবে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ড. মো. আবু তাহের জানান, শেখ হাসিনা হলের কাজের যে সময়সীমা ছিল তা শেষ হয়ে গেছে। ঠিকাদার আবার সময় বৃদ্ধির আবেদন করেছে। প্রকল্পের সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় ঠিকাদারকে টাকা দেওয়াও সমস্যা হচ্ছে। এখন মন্ত্রণালয় থেকে অফিসে আদেশ আসলে আমরা টাকা দিতে পারব। আর তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আশা করি, আগামী অক্টোবরের ভেতরে কাজ শেষ হবে।

জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
অবশেষে দ্বন্দ্ব ভুলে যে কারণে এক হলেন নওয়াজউদ্দিন-আলিয়া
পায়ুপথে ৭০ লাখ টাকার সোনা!
প্রভাসের নতুন সিনেমার স্বত্ব বিক্রি হলো যত টাকায়
পাথরঘাটায় ৫ কোটি টাকার অবৈধ জাল পুড়িয়ে ধ্বংস  
X
Fresh