যেখানে রক্তের পুকুরে গোসল করেন পর্যটকরা
ভ্রমণপ্রেমীরা সচরাচরই ভিন্ন রকমের পর্যটন কেন্দ্র পছন্দ করেন। সর্বদা তাদের চোখ খুঁজে বেড়ায় নতুন কিছু। ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য তেমনই একটি পর্যটন কেন্দ্র হলো জাপানের মিথ্যা রক্তের পুকুর।
রিসোর্টের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বিশাল ভূমধ্যসাগরীয় থিমে তৈরি করা রক্তের পুকুরে সাঁতার কাটা যায় এবং ওয়াইন, কফি বা জাপানিজ খাবার খাওয়ার জন্য রয়েছে রেস্টুরেন্টের সুবিধা।
হট পুল বা ‘ওনসেন’ হলো একটি ঐতিহ্যবাহী স্নানের স্থান, যেখানে অসংখ্য পর্যটক একসঙ্গে গোসল করতে পারেন। এই লাল পানির জলাশয়ের কর্তৃপক্ষের মতে, এখানে স্নানকারীরা রক্তে সাঁতার কাটা উপভোগ করার পাশাপাশি রোমাঞ্চকর স্পাও উপভোগ করে থাকেন। যদিও মিথ্যা রক্তের পুলগুলো একটি সাময়িক আকর্ষণ মাত্র। সূত্র : নিউজহাব
এসআর/পি
মন্তব্য করুন
১১০ ক্যারেট হিরা বসানো বিশ্বের সবচেয়ে দামি হাতঘড়ি, দাম কত?
ঘড়ি আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। দৈনন্দিন কাজে কমবেশি সবাই ঘড়ি ব্যবহার করেন এবং এর সঙ্গে পরিচিত। তবে ঘড়ি এখন আর শুরু সময়ের জানান দেয় না। আজ হাতঘড়ি মানে ফিটনেস কন্ট্রোলার। স্মার্ট ওয়াচের দুনিয়ায় এই ঘড়ি বিপি-সুগার-কোলেস্টরলের হিসেব রাখে। বিরাট কোহলি, সুনীল ছেত্রীদের মতো খেলোয়াড়রা বিশেষ ধরনের ঘড়ি ব্যবহার করেন। সেই সব ঘড়ির দাম আকাশছোঁয়া। আর এই ঘড়ির দাম স্বর্গছোঁয়া। হিরা-মণি-মুক্তা বসানো রাজকীয় ওই ঘড়ির দাম ৫৫ মিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশী মুদ্রায় ৬০৪ কোটি টাকা। বিশ্বাস হয়? এটাই বিশ্বের সবচেয়ে দামি হাতঘড়ি!
বহুমূল্য এই হাত ঘড়ির নাম গ্রাফ ডায়মন্ডস হ্যালুসিনেশন। ২০১৪ সালে লন্ডনের বিখ্যাত গ্রফ ডায়মন্ডস জুয়েলারি হিরা ও বহুমূল্য রত্ন বসানো এই ঘড়িটি তৈরি করে বিশ্বের সবচাইতে দামি ঘড়ি বলে দাবি গ্রাফ ডায়মন্ডস কোম্পানির। ১১০ ক্যারেটের নানা রঙের হিরা বসানো রয়েছে গ্রাফ ডায়মন্ডস কোম্পানির তৈরি এই ঘড়িটিতে। সবচেয়ে বড় হিরাটি বসানো হয়েছে ঘড়ির ডায়ালে, যার নাম পেল্লায় হিরে। নানা রঙের হিরে ও তাদের নানা রকম নিখুঁত নকশা ঘড়িটিকে আরও আকর্ষণীয় করেছে। মোট ৩০ জন অভিজ্ঞ ডিজাইনার, জেমোলজিস্ট, জহুরি মিলে তৈরি করেছেন এই ঘড়ি।
এর আগে এই কোম্পানিই আরও একটি রাজকীয় ঘড়ি প্রকাশ্যে এসেছিল। যার দাম ছিল ৪৩৯ কোটি টাকার মতো। যদিও সেটিকে ছাপিয়ে গিয়েছে ‘ডায়মন্ডস হ্যালুসিনেশন’।
অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে প্রয়োজন যেসব সতর্কতা
সম্প্রতি রাজধানীর বেইলি রোডে আগুনে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ আকালে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৬ জন। আগুন সর্বগ্রাসী। তাই আগুন প্রতিরোধে সবার আগে প্রয়োজন সচেতনতা আর সতর্কতা। আগুন থেকে বাঁচতে সতর্ক থাকার কোনো বিকল্প নেই। প্রত্যেককে যে যার জায়গা থেকে আমাদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। সেটা হোক বাসা, অফিস কিংবা যে কোনো স্থান।
আগুন যাতে না লাগে সেজন্য সবার প্রথমে আমাদের এ বিষয় সতর্ক থাকতে হবে। মেনে চলতে হবে কিছু শর্ত। আর যদি আগুন লেগেই যায় তা হলেও কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সবার আগে আগুন লাগলে দ্রুত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রতিরোধে কিছু সতর্কতা অবশ্যই মানতে হবে।
যেমন- রান্নার পর সম্পূর্ণভাবে চুলা নিভিয়ে ফেলতে হবে চুলা। চুলা জ্বালানোর অন্তত আধা ঘণ্টা আগে জানালা দরজা খুলে দিতে হবে রান্নাঘরের।
চুলা জ্বালানোর আগে কোনো লিকেজ আছে কিনা আগে পরীক্ষা করতে হবে। খোলা আগুন দিয়ে অনেকে পরীক্ষা করেন, এটা করবেন না। সাবানের ফেনা দিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ পরীক্ষা করে দেখতে হবে। ভেজা জামাকাপড় চুলার ওপর শুকাতে দেওয়া যাবে না।
বাড়ির বিদ্যুৎ লাইন, গ্যাস লাইন কিছুদিন পরপর পরীক্ষা করতে হবে। এসি চালুর আগে পরীক্ষা করতে হবে ঠিক আছে কিনা, দীর্ঘদিন বন্ধ রাখার পর অবশ্যই সার্ভিসিং করিয়ে নিতে হবে।
গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করতে হলে অবশ্যই তার মেয়াদ পরীক্ষা করে দেখতে হবে। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। প্রতি তিন বছর পরপর সিলিন্ডারের হাইড্রোলিক প্রেসার টেস্ট করা হয়েছে, এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে সিলিন্ডার ব্যবহার করতে হবে।
ভারী যন্ত্র চালাতে নির্দিষ্ট সকেট ও প্লাগ ব্যবহার করুন এবং অব্যবহৃত বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম মূল লাইন থেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে হবে। এছাড়া অভিজ্ঞ লোক দিয়ে বাসার কিংবা অফিসের ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে।
বুলগেরিয়ার পোমাকদের ঐতিহ্যবাহী বিয়ের অনুষ্ঠান
বুলগেরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের রডপি পর্বতমালায় অবস্থিত রিবনভো গ্রামের মানুষেরা মনে করেন, তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানের ঐতিহ্যটা অনন্য৷ তাই তারা একে ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে আবেদন করেছেন৷
প্রায় আড়াই দিন ধরে বিয়ের অনুষ্ঠান চলে৷ এই সময়ে ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন রীতি, অভ্যর্থনা ও নাচে অংশ নেন হবু বর ও কনে৷
অনুষ্ঠানের প্রথম দিন বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনেরা কনের যৌতুক কাঠের ফ্রেমে ঝুলিয়ে দেন৷ বিশেষ করে কম্বল, বিছানার চাদর, লাল হারেম প্যান্ট ইত্যাদি৷ গ্রামবাসীর দেখার জন্য এটি করা হয়৷
দ্বিতীয় দিন বিয়ের মিছিল গ্রাম প্রদক্ষিণ করে৷ এদিন অনুষ্ঠানে আরো অনেককিছু হয়৷ নবদম্পতিকে উপহারের টাকা দিয়ে সাজানো হয়৷ পুরো গ্রাম অনু্ষ্ঠানে অংশ নেয়৷
রিভনভোর মানুষেরা তাদের ঐতিহ্য নিয়ে গর্বিত৷ কারণ, তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানের ঐতিহ্য অনন্য৷ তাই তারা ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ হতে আবেদন করেছে৷ ইউনেস্কো অ্যাপ্লিকেশন ইনিশিয়েটিভের মুস্তফা আমিন বলেন, ‘‘এটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ যে, রিভনভোর বিয়ের অনুষ্ঠানের ঐতিহ্যকে বুলগেরিয়া ও ইউনেস্কো, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিক৷ তাহলে বুলগেরিয়ার অন্য সম্প্রদায়ের মতো আমরাও পরিচিত হয়ে উঠতে পারবো৷''
কনের বাড়িতে গেলিনা নামে একটি অনুষ্ঠান হয়, যা বিশুদ্ধতা আর নতুন শুরুর প্রতীক৷ সেই সময় কনেকে খুব নিখুঁতভাবে, দক্ষতার সঙ্গে সাজানো হয়৷ প্রাচীনকাল থেকে এটা চলে আসছে বলে জানা যায়৷
এরপর বাড়ির সামনে জড়ো হওয়া মানুষদের সামনে কনেকে হাজির করানো হয়৷ ঐতিহ্য মেনে এই সময় তাকে চোখ বন্ধ রাখতে হয়।
খোঁজ মিলল ৩৭০০ বছরের পুরোনো লিপস্টিকের
প্রাচীন সংস্কৃতি এবং নারীদের সাজসজ্জার উদাহরণ মিলেছে আবারও। আজ থেকে হাজার হাজার বছর আগেও মহিলারা লিপস্টিক ব্যবহার করতেন। আর সম্প্রতি তারই প্রমাণ মিলেছে। ইরানের প্রত্নতাত্ত্বিকদের হাতে এসেছে তেমনই বহু পুরোনো লিপস্টিক।
বিগত দু’দশক আগে মাটি খুঁড়ে এক ধরনের বোতলের সন্ধান পান প্রত্নতত্ত্ববিদরা। ইরানের দক্ষিণাংশে জিরোফত এলাকায় এই প্রসাধনীর সন্ধান মিলেছে। ২০০১ সালেই জিরোফত এলাকা থেকে একটি বোতলের ভিতরে লিপস্টিকের সন্ধান পান প্রত্নতত্ত্ববিদরা। উজ্জ্বল ক্রিমসন বর্ণের লিপস্টিক সেটি। প্রসাধনীর সন্ধান পেলেও তার বয়স নিয়ে নিশ্চিত হতে পারছিলেন না প্রত্নতত্ত্ববিদরা। প্রায় দু’দশক ধরে গবেষণা করে তারা এই প্রসাধনীর সঠিক বয়স নির্ধারণ করে ফেলেন।
গবেষণায় জানা যায়, বোতলের ভিতর রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো লিপস্টিক। রেডিও কার্বন পদ্ধতিতে বয়স নির্ধারণ করে তারা জানতে পারেন বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো লিপস্টিক এটি। যার বয়স ৩৭০০ বছর। তবে এই লিপস্টিকটি ১৬৮৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তৈরি করা হয়েছিল বলে ‘জার্নাল সায়েন্টিফিক রিপোর্টস’-এ প্রকাশিত রিপোর্টে জানা গেছে। এই লিপস্টিক মূলত হেমাটাইট নামের খনিজ দিয়ে তৈরি। লিপস্টিকের লাল রঙের নেপথ্যে রয়েছে হেমাটাইট নামের অক্সাইড খনিজের উপস্থিতি। এই খনিজ থেকেই উজ্জ্বল লাল বর্ণের উৎপত্তি। এই লিপস্টিকটি একটি সুন্দর খোদাই করা বোতলের মধ্যে রাখা।
কী থেকে তৈরি করা হয়েছিল এই লিপস্টিকটি?
লিপস্টিকটি তৈরি করা হয়েছিল হেমাটাইটের মতো খনিজ থেকে। এই লিপস্টিকটি হেমাটাইটের মতো খনিজ থেকে তৈরি একটি লাল পদার্থ, যা ম্যাঙ্গানিজ এবং ব্রাউনাইট দিয়ে গাঢ় করা হয়েছে। এতে অল্প পরিমাণে গ্যালেনা এবং অ্যাঙ্গলেসাইট রয়েছে। ৩৭০০ বছরের পুরোনো লিপস্টিকের রং এবং মোমের টেক্সচার সমসাময়িক লিপস্টিকের মতো। সায়েন্টিফিক রিপোর্টে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে এই লিপস্টিকের মালিক খুব সম্ভবত এটি একইভাবে ব্যবহার করেছেন, ঠিক যেভাবে আধুনিক যুগের মানুষ আজ এই লিপস্টিক ব্যবহার করে।
সায়েন্টিফিক রিপোর্টে প্রকাশিত প্রতিবেদনে অনুসারে, অতীতেও আজকের মতোই লিপস্টিক ব্যবহার করা হত। শিশিটির সরু আকৃতি এবং পুরুত্ব ইঙ্গিত দেয় যে এটি অন্য হাতে আরামে ধরে রেখে তামা/ব্রোঞ্জের ডিক্যানটার দিয়ে সহজেই ব্যবহার করা যেতে পারে। লুটপাটের কারণে, কখন লিপস্টিকটি তৈরি হয়েছিল বা কোথা থেকে তৈরি হয়েছিল তা বলা খুব কঠিন। গবেষকরা বিশ্বাস করেন যে এটি প্রাচীন মার্সাসি, ব্রোঞ্জ যুগের সভ্যতা থেকে এসেছে। তবে লিপস্টিকের মালিক ও উদ্ভাবন সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
লিপস্টিকের উৎপত্তি-
এই আবিষ্কার প্রাচীন ইরানের ব্রোঞ্জ যুগের মানুষের কথা বলে। সে কালের মানুষ কীভাবে সৌন্দর্য পণ্য ব্যবহার করতেন, তার একটি আভাস দেয়। যাইহোক, মহিলাদের ঠোঁটের রং ব্যবহার করার প্রথম প্রমাণ খ্রিস্টপূর্ব ১২ শতকের দিকে পাওয়া গিয়েছিল। মিশর এবং এখন ইরানে পাওয়া তুরিন প্যাপিরাস দেখিয়েছে যে ব্রোঞ্জ যুগেও মেকআপের চল ছিল।
৩৪ হাজার ম্যাক ডোনাল্ড বার্গার খেয়ে রেকর্ড
বার্গার ফাস্টফুডপ্রেমীদের কাছে ভীষণ প্রিয় একটি খাবার, তাই বলে এক জীবনে আপনি কতটি বার্গার খেতে পারবেন? এক-দুই হাজার অথবা তিন হাজার? কিন্তু জানেন কি যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনের সাবেক জেল কর্মকর্তা ডোনাল্ড গর্সকে নামে এই ব্যক্তি সারা জীবনে মোট ৩৪ হাজার বার্গার খেয়ে অপ্রতিদ্বন্দ্বী বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন!
৭০ বছর বয়সী এই মার্কিনি রেকর্ড গড়তে ৫০ বছর ধরে প্রতিদিন অন্তত দুটি করে বার্গার খেয়েছেন। তবে এক সময় তিনি দিনে ৯টি করেও বার্গার খেয়েছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা দ্যা গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
এক প্রতিবেদনে গার্ডিয়ান জানিয়েছে, বিখ্যাত ম্যাকডোনাল্ডস বার্গার গোর্স্ক তেলে না ভেজে খেতেন এবং প্রতিদিন ছয় মাইল হাঁটতেন। এতে তিনি গিনেস ওয়ার্ল্ড বুকে নিজের আগের ৩২ হাজার বিগ ম্যাক খাওয়ার রেকর্ড ভেঙে এবার ৩৪ হাজার বার্গার খাওয়ার রেকর্ড গড়েছেন।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি গিনেস ওয়ার্ল্ড বুককে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে গোর্স্ক বলেন, অনেকে ভেবেছিলেন আমি এবার মারা যাব। কিন্তু পরিবর্তে আমি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের দীর্ঘকাল ধরে চলা রেকর্ডধারীদের একজন হয়েছি।
গর্সকে প্রথম দিকে বার্গার কিনতে নিয়মিত ম্যাকডোনাল্ডে যেতেন। পরে চাকরি থেকে অবসরের পর সপ্তাহে দুবার যেতেন। এ ছাড়া তিনি বিগ ম্যাকস, বার্গার কিং হুপারের বার্গারও খেয়েছেন এক সময়। তবে তিনি এ কারণে কখনো স্বাস্থ্য সমস্যায় পড়েননি বলেও দাবি করেছেন।