• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বজ্রপাতে কেউ আহত হলে তাৎক্ষণিক কী করবেন?

লাইফস্টাইল ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

  ০৮ জুন ২০২১, ১৭:৫৫
ফাইল ছবি

সাম্প্রতিক সময়ে বজ্রপাতে দেশে হতাহতের ঘটনা বেশি ঘটছে। সাধারণত বর্ষার সময় বজ্রপাত হয়ে থাকে। কিন্তু এবার বর্ষার শুরুতেই ব্যাপকহারে বজ্রপাত হচ্ছে। গত দুই সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বজ্রপাতে অনেকের হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবছর জুন থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত প্রাকৃতিক এই বজ্রপাতের প্রকোপ বেশি হয়ে থাকে। ২০১৬ সালে এই বজ্রপাতকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

কোনো ব্যক্তির ওপর যদি বজ্রপাত হয় তাহলে তার শরীরের ভেতর দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ হয়। এতে করে তার হৃৎপিণ্ড বন্ধ হয়। সাধারণত রাস্তায় বিদ্যুৎ সঞ্চালনের লাইনে এক হাজার ভোল্টেজ বা তার থেকে বেশি হয়ে থাকে।

বিবিসি বাংলাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক তানভীর আহমেদ জানিয়েছেন, বজ্রপাত থেকে উৎপন্ন হওয়া বিদ্যুৎ আল্ট্রা হাই-ভোল্টেজ। বজ্রপাত দুই রকমের হয়। কারো ওপর সরাসরি হতে পারে আবার বিশাল একটি এলাকা জুড়েও বজ্রপাত হতে পারে।

তানভীর আহমেদ জানান, কারো ওপর যদি সরাসরি বজ্রপাত হয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে পুড়ে যান তিনি। বজ্রপাতে ভোল্টেজ বেশি থাকে, যা ১০ হাজার থেকে মিলিয়ন পর্যন্ত চলে যায়। আবার কোনো এলাকার গাছ, বৈদ্যুতিক খুঁটি, উঁচু ভবন কিংবা টাওয়ারের ওপর যদি বজ্রপাত হয় তাহলে সেখান থেকে আল্ট্রা লো-ডিউরেশন বিদ্যুৎ সৃষ্টি হয়। এসময় আশপাশে কেউ থাকলে তার শরীরে দ্রুত বিদ্যুৎ প্রবেশ করে বেরিয়ে যায় তা।

বজ্রপাত নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, কেউ বজ্রপাতে আহত হলে বৈদ্যুতিক শকে আহত রোগীর মতোই চিকিৎসা করতে হবে তার। কেউ বজ্রপাতে আহত হলে তার শ্বাস-প্রশ্বাস ও হৃদস্পন্দন ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে। কয়েক মিনিটের মধ্যে যদি আহত ব্যক্তির কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করা যায় তাহলে বাঁচানো যেতে পারে।

তানভীর আহমেদ বলেন, বজ্রপাতে আহত হলেও অনেকের হৃদপিণ্ড বন্ধ হয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মৃত্যু হয় তার। কারো আবার হার্ট একটু বন্ধ হয়ে আবার চালু হয় তা। এদের মধ্যে যাদের হাসপাতালে নেয়া হয় তাদের অনেকে রক্ষা পায়।

তিনি আরও বলেন, আহত ব্যক্তির হৃদপিণ্ড যদি সচল থাকে তাহলে দ্রুত তাকে সিপিআর দিতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে সিপিআর বিষয়ে ধারণা থাকতে হবে। সিপিআর দ্বারা হৃদপিণ্ড সচল রাখতে হবে। আশপাশে অ্যাম্বুলেন্স বা গাড়িতে করে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। আহত বা মৃত ব্যক্তিকে ধরা বা স্পর্শ করার ক্ষেত্রে ভয়ের কিছু নেই। কেননা, তার শরীরে বিদ্যুৎ থাকে না।

এসআর/

মন্তব্য করুন

daraz
  • পরামর্শ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
চবির শাটল ট্রেনে কাটা পড়ে কিশোরের মৃত্যু
গলায় জীবন্ত কৈ মাছ আটকে কৃষকের মৃত্যু
সীতাকুণ্ডের ঝরনায় পর্যটকের মৃত্যু
মার্চে সড়কে ঝরল ৫৬৫ প্রাণ, আহত ১২২৮
X
Fresh