বিশ্ব অটিজম দিবসে শিশুদের নিয়ে যা জানা উচিত
আজ ২ এপ্রিল, বিশ্ব অটিজম দিবস। অটিজম হচ্ছে বহির্বিমুখিতা, আত্মমগ্নতা রোগ। এই বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুদের প্রতিবন্ধী বলা হয়। খেয়াল করলে দেখা যায় এখনো বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিবন্ধীরা অবহেলিত। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শিশুর সামাজিক আচরণ যেভাবে বদলানো উচিত, মূলত তা স্নায়বিক কারণে এই অসুখের ক্ষেত্রে হয়ে উঠে না। এটা এমন রোগ যার কারণে শিশুর মস্তিষ্ক ঠিকভাবে বিকাশ করতে পারে না। অবশ্য যারা প্রতিবন্ধী তারাও আমাদের সমাজের অংশ। তাদের একটু বাড়তি সময় দিয়ে গুছিয়ে তুলতে পারলে তারাও সমাজ ও দেশের স্বার্থে বৃহৎ অবদান রাখার সক্ষমতা রাখে।
প্রতিবন্ধী কী : নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার-ই হচ্ছে প্রতিবন্ধী। বিষয়টি নিয়ে অনেকের মধ্যেই স্বচ্ছ ধারণা নেই। এ কারণে সমাজে যেসকল শিশু প্রতিবন্ধী হয়ে থাকেন তাদের বাবা-মা ভেঙে পড়েন। অথচ সন্তানের বেড়ে উঠার শুরুতে যদি বিষয়টা নজরে আনা যায় এবং তাকে দ্রুত চিকিৎসা করানো যায় তাহলে স্বাভাবিক জীবন-যাপন করা সম্ভব হয়ে উঠে শিশুর। এদের মেধা আরও বেশি থাকে। সাধারণ পড়াশোনা ছাড়াও বিশেষ দক্ষতা থাকে তাদের।
অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড খ্যাত ল্যুই ক্যারল, চার্লস ডারউইন, শিশু সাহিত্যিক হ্যান্স অ্যান্ডারসন অ্যালবার্ট আইনস্টাইন, মাইকেল অ্যাঞ্জেলোসহ অনেকে মানুষ ‘অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার’ নিয়েও বেড়ে উঠে আজ তারা সফল। আজ তাদেরকেই বিশ্বের অসংখ্য মানুষ আদর্শ হিসেবে অনুসরণ করে।
সাধারণ কথাবার্তা বলা, সামাজিক মেলামেশা ও স্বাভাবিক মানসিক বৃদ্ধিতে অন্য সকল শিশুর মতো বিকাশ ঘটে না তাদের। যে কারণে অনেকে এই বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের অবহেলা করেন ও এড়িয়ে চলেন। এ রোগের লক্ষণ বলা যেতে পারে, তারা খুব বেশি ঘনিষ্ঠ ছাড়া কারো সঙ্গে মেলামেশা করে না। বয়স অনুযায়ী কথাবার্তা ও হাঁটা-চলা অনেক দেরিতে হয়। চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারে। একই কথা বা কাজ একাধিকবার করে। আশেপাশের কারো ইশারা, শরীরী ভাষা ও মুখের ইঙ্গিত এসব বুঝে না। সবসময় একা একা থাকতে চায়। অনেকে আবার বাইরের মানুষকে দেখলে এড়িয়ে চলে বা রগচটা ব্যবহার করে। সন্তানের মধ্যে কখনো অস্বাভাবিক কোনো ব্যবহার দেখলে সঙ্গে সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত অভিভাবকদের।
সূত্র : ইন্ডিয়া টাইমস
এসআর/
মন্তব্য করুন