মাস্ক পরা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নতুন পরামর্শ
মাস্ক পরা নিয়ে নিজেদের উপদেশ পরিবর্তন করে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। করোনাভাইরাস সংক্রমণ থামাতে পাবলিক প্লেসে মাস্ক পরা উচিৎ বলে জানায় সংস্থাটি। মাস্ক পরলে 'জীবাণু বহনকারী ড্রপলেট' থেকে সুরক্ষা পাওয়া সম্ভব বলে নতুন গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে।
এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছিল, সুস্থ মানুষের মাস্ক পরার প্রয়োজন আছে, এ সম্পর্কে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ফেস মাস্ক শুধু অসুস্থ এবং অসুস্থদের সেবার সাথে জড়িতদের ব্যবহার করা উচিত।
কিন্তু টেকনিক্যাল বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মারিয়া ভ্যান কেরখোভের নতুন বক্তব্য এসেছে। তিনি রয়টার্সকে বলেন, যেসব জায়গায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে সেসব জায়গায় মানুষকে 'কাপড়ের মাস্ক' পরার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আমরা সব দেশের সরকারকে পরামর্শ দিচ্ছি যেন তারা জনসাধারণকে মাস্ক পরতে উৎসাহিত করে।
সংস্থাটি এখন বলছে, অনেক রকম সুরক্ষা উপকরণের মধ্যে মাস্ক একটি। তবে মানুষ যেন মনে না করে যে মাস্ক পরলে তিনি ভাইরাস সংক্রমণ থেকে নিশ্চিতভাবে সুরক্ষিত থাকবেন। সম্প্রতি প্রকাশিত গবেষণায় উঠে আসা তথ্যে দেখা যায়, উপসর্গ প্রকাশের আগের কয়েকদিন মানুষ ব্যাপক আকারে সংক্রমণ করতে পারে, আবার অনেকে ভাইরাস আক্রান্ত হলেও কোনো উপসর্গই দেখা যায় না। তাই নতুন নির্দেশনা তৈরি করেছে তারা বলছে, যেসব জায়গায় দূরত্ব মেনে চলা সম্ভব নয়- গণপরিবহন, শরণার্থী শিবির, জনবহুল দোকানপাট - সেখানে ঘরে তৈরি করা মাস্ক পরলে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা কমে। আর যাদের বয়স ষাটের ওপর এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে, তারা আরও উন্নত মেডিকেল গ্রেড মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।
সূত্র- বিবিসি।
জিএ
মন্তব্য করুন