করোনা এড়াতে হাঁপানি রোগীর বাড়তি সতর্কতা
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাসকষ্ট, জ্বর, মাথা ব্যথা, হাঁচি, কাশির মতো সমস্যা দেখা দেয়... এ কথা আমরা সবাই জানি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণে কোষগুলো ফুলে ওঠে। ভাইরাস অণুগুলো ফেটে চারপাশের অন্যান্য কোষগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমণ। সংক্রমণ দ্রুত ব্রঙ্কিওল টিউবে ছড়িয়ে পড়ে।
সংক্রমণ আরও বাড়লে ভাইরাসের অণুগুলি ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে ফুসফুসের মিউকাস মেমব্রেনে। ফুসফুসের দুই পাশের পেরিফেরিয়াল অংশ থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে শ্বাসানালীর উপরে ট্রাকিয়ার দিকে। সংক্রমণ ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়লে শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়। শরীর থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড অপসারণের কাজটাও সঠিকভাবে হয় না। ফলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো ক্রমশ দুর্বল ও নিস্তেজ হয়ে পড়ে।
করোনা সংক্রমণ সারা বিশ্বকে গ্রাস করেছে, প্রাণ কেড়েছে লক্ষাধিক মানুষের। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক (চেস্ট স্পেশালিস্ট) ডঃ অনির্বাণ সরকারের মতে, যাদের হাঁপানির সমস্যা রয়েছে, তাদের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেশি। তাই যাদের হাঁপানির সমস্যা বা শ্বাস-প্রশ্বাসের (Chronic Obstructive Pulmonary Disease) সমস্যা রয়েছে, করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে কী করবে তারা?
হাঁপানি হল ডায়বিটিস বা হাই ব্লাডপ্রেশারের মতো একটি অসুখ, যা সম্পূর্ণ রূপে নিরাময় করা সম্ভব নয়। কিন্তু সতর্কতা অবলম্বন করে চললে আর সঠিক চিকিৎসায় এই রোগের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এর জন্য কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি...