• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অভাব হচ্ছে কী করে বুঝবেন?

অনলাইন ডেস্ক
  ০৬ মে ২০২০, ২২:২৫
শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অভাব হচ্ছে কী করে বুঝবেন?
প্রতিকী ছবি

সারাদিন রোজা রাখার পর শরীর অনেকটাই দুর্বল হয়ে পরে। আর এবারের রোজা শুরু হয়েছে গ্রীষ্মকালে। এই মৌসুমে শরীর ঠিক রাখতে দরকার প্রয়োজনীয় পুষ্টি। এদিকে সারা বিশ্বে কোভিড-19 করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। যা এক মহামারিতে পরিণত হয়েছে। বিশ্বের এমন পরিস্থিতিতে সবার মনে আতঙ্ক বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, সিডিসি, ইউনিসেফেরর পরামর্শ অনুযায়ী সবাই বর্তমানে সচেতনতা অবলম্বন করছে।

শরীরকে সুস্থ রাখতে এসময় রোগ প্রতিরোধ বাড়ানো সবচেয়ে বেশি জরুরি। কেননা যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তারাই এই ভাইরাসের আক্রান্তের ঝুঁকি বেশি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য খাদ্যাভ্যাস গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

কোভিড-19 করোনাভাইরাসের এখনও কোনও প্রতিষেধক আবিষ্কার না হওয়ায় বিশ্বব্যাপী মানুষ সংক্রমণের ঝুঁকিতে দিন কাটাচ্ছে। এই সংকটাপন্ন অবস্থায় একটি বিষয় আলোচনায় আসছে শরীরের ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাসটির সাথে লড়তে পারার ক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়টি।

শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউন সিস্টেম বিভিন্ন উপাদানের জটিল সমন্বয়ে তৈরী এক প্রাকৃতিক হাতিয়ার যা রোগ জীবাণুর বিরুদ্ধে সুরক্ষা জোগায়। এসব উপাদানের যে কোনটির অভাব হলে ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে পড়ে। এই অবস্থাটিকেই বলে প্রাইমারী ইমিউনোডেফিসিয়েন্সী (Primary immunodeficiencies)।

প্রাইমারী ইমিউনোডেফিসিয়েন্সী (Primary immunodeficiencies) একটি নির্দিষ্ট রোগ নয় বরং কতগুলো বিরল রোগের সমষ্টি। প্রায় বারোশো জনে একজনের মধ্যে এই সমস্যা দেখা যায়। এতে আক্রান্ত হলে ঘন ঘন জীবাণু সংক্রমণ ঘটে এবং সহজে সারতে চায় না। ছোট বড় নির্বিশেষে প্রাইমারী ইমিউনোডেফিসিয়েন্সী হতে পারে, আর এর লক্ষণও প্রায় একই। দ্রুত রোগ নির্ণয়ের জন্য এই লক্ষণগুলোকে চেনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

দেখে নিন এরকম জরুরী লক্ষণগুলো -

শিশুদের লক্ষণ

. এক বছরের মধ্যে চার বা তার চেয়ে বেশিবার কানের ইনফেকশন হওয়া।
. এক বছরের মধ্যে দুই বা তার চেয়ে বেশিবার সাইনাসের ইনফেকশন হওয়া।
. দুই মাস বা তার বেশি সময় অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার পরও কাজ না হওয়া।
. এক বছরের মধ্যে দুই বা তার বেশিবার নিউমোনিয়া হওয়া।
. বার বার চামড়ার গভীরে বা দেহের ভেতরে পুঁজ জমা।
. শিশুর ওজন এবং শারীরিক বৃদ্ধি ঠিকভাবে না হওয়া।
. মুখের ঘা বা ত্বকের ছত্রাক সংক্রমণ সহজে ভালো না হওয়া।
. জীবাণু সংক্রমণ থেকে মুক্তির জন্য বার বার অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন প্রয়োগের প্রয়োজন হওয়া।
. দুই বা তার বেশিবার রক্তে কিংবা দেহের ভেতরে জীবাণু সংক্রমণ হওয়া।
. পরিবারে আর কারো প্রাইমারী ইমিউনোডেফিসিয়েন্সী হবার ইতিহাস থাকা।

বড়দের লক্ষণ

. এক বছরের মধ্যে চার বা তার চেয়ে বেশিবার কানের ইনফেকশন হওয়া।
. অ্যালার্জির সমস্যা না থাকা সত্ত্বেও এক বছরের মধ্যে দুই বা তার চেয়ে বেশিবার সাইনাসের ইনফেকশন হওয়া।
. প্রতি বছর অন্তত একবার নিউমোনিয়া হওয়া।
. দীর্ঘদিন ধরে ডায়রিয়া এবং ওজন কমে যাওয়া।
. বার বার ভাইরাসের সংক্রমণ যেমন সর্দিকাশি, হার্পিস ইত্যাদি।
. জীবাণু সংক্রমণ থেকে মুক্তির জন্য বার বার অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন প্রয়োগের প্রয়োজন হওয়া।
. বার বার চামড়ার গভীরে বা দেহের ভেতরে পুঁজ জমা।
. মুখের ঘা, ত্বক বা অন্যান্য স্থানের ছত্রাক সংক্রমণ সহজে ভালো না হওয়া।
. সাধারণত ক্ষতি করে না এমন জীবাণু দিয়ে সংক্রমণ সৃষ্টি হওয়া।
. পরিবারে আর কারো প্রাইমারী ইমিউনোডেফিসিয়েন্সী হবার ইতিহাস থাকা।

এগুলোর মধ্যে যে কোন দুটি বা তার বেশি লক্ষণ দেখতে পেলে দেরী না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন এবং রোগ নিরূপণের চেষ্টা করুন। সূত্র: মেডিভয়েস, বোল্ডস্কাই

এস

মন্তব্য করুন

daraz
  • লাইফস্টাইল এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
তরুণদেরকে উদ্যোক্তা হওয়ার পরামর্শ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
গরমে শিশুর যত্নে যা করবেন
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৪ নির্দেশনা
‘তীব্র গরমে মেডিকেল কলেজের সাধারণ ক্লাস অনলাইনে’
X
Fresh