করোনায় প্রতিদিন দুধ হলুদের ম্যাজিক
দুধ একটি আদর্শ খাবার। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিটি উপাদানই রয়েছে দুধের মধ্যে। আর হলুদ হচ্ছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়েটিক। হলুদ কেবল তরকারির স্বাদই বাড়ায় না, সুস্থ রাখে শরীরও। ঔষধি গুণাগুণসম্পন্ন হলুদ দুধের সঙ্গে মেশালে এর গুণাগুণ বেড়ে যায় আরও। প্রাচীনকাল থেকেই হলুদমিশ্রিত দুধ নানান ধরনের শারীরিক সমস্যার ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ঠাণ্ডা লাগা, শারীরিক ব্যথাসহ বিভিন্ন রোগে এক গ্লাস হলুদ দুধ হতে পারে প্রাকৃতিক সমাধান।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, করোনা মোকাবিলায় সব থেকে ভালো উপায় হচ্ছে নিজের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী রাখা। আর এজন্য আমরা নির্ভর করতে পারি দুধ হলুদের ম্যাজিক পানীয় বা গোল্ড মিল্কের ওপর।
এক গ্লাস হালকা গরম দুধের সঙ্গে এক চা চামচ হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে নিয়মিত পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি আরও অনেক উপকার আছে। দেখে নিন-
· অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ বলে বিভিন্ন ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে।
· বিশেষ করে শ্বাসতন্ত্রের ইনফেকশনের বিরুদ্ধেও কাজ করে এই গোল্ড মিল্ক।
· হলুদের প্রধান উপাদান কারকিউমিন ক্যান্সারের কোষ ধ্বংস করে এবং ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়া রোধ করে।
· পলিফেনল এবং ক্যাচচিনের কারণে হলুদ হজমশক্তি বৃদ্ধি ও দ্রুত চর্বি গলাতে সাহায্য করে ও গ্যাস্টিকের সমস্যা দূর হয়
· দুধ-হলুদ লিভারের জন্য ভালো। একটি গবেষণায় দেখা যায় যে, হলুদের পলিফিনল লিভারকে সুস্থ রাখে ও হেপাটাইটিসের চিকিৎসায় সহায়তা করে।
· সর্দি জ্বরের ওষুধ হিসেবে এই দুধ পান করা হয়।
· রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, টাইপ -২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
· হলুদ পুষ্টিকর এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা শরীরে ও ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।
· গর্ভাবস্থায় দিনে এক গ্লাস হলুদ গুঁড়া মেশানো দুধ পান করা ভালো।
· এছাড়াও গায়ের রং উজ্জ্বল করে।
· হলুদে উপস্থিত অ্যারোমেটিক টারমেরোন মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়।
এবার জেনে নিন কীভাবে তৈরি করবেন হলুদ মিশ্রিত দুধ-
যা যা লাগবে
কাঁচা হলুদ এক ইঞ্চি (টুকরা করা), দুধ ২২০ মিলি, চিনি বা মধু স্বাদ মতো, গোলমরিচ গুঁড়া এক চিমটি।
যেভাবে তৈরি করবেন
একটি পাত্রে হলুদ কুচি ও দুধ একসঙ্গে ফুটান। চুলা থেকে নামিয়ে ঢেকে রাখুন কিছুক্ষণ। গরম থাকতে থাকতেই ছেঁকে মধু অথবা চিনি মিশিয়ে নিন। গোলমরিচ গুঁড়া ছিটিয়ে পরিবেশন করুন হলুদ-দুধ। চাইলে কাঁচা হলুদের বদলে হলুদ গুঁড়া মিশিয়েও বানাতে পারেন হলুদ-দুধ।
এস
মন্তব্য করুন