• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

যেভাবে নিজেই করোনামুক্ত হলেন ঢাবি শিক্ষার্থী

আরটিভি অনলাইন ডেস্ক

  ২০ এপ্রিল ২০২০, ২০:৫৩
যেভাবে নিজেই করোনামুক্ত হলেন ঢাবি শিক্ষার্থী
ঢাবি শিক্ষার্থী ইসতিয়াক আহমেদ হৃদয়

কোনও প্রকার ওষুধ বা হাসপাতালে না গিয়েই প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থী। এ জন্য তার লেগেছে ছয় থেকে সাত দিন। সুস্থ হওয়ার ক্ষেত্রে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি গরম পানি নাকি তার বেশ উপকারে এসেছে বলে দাবি করেছেন তিনি। সুস্থ হওয়ার পর নিজ উদ্যোগে একটি ভিডিওতে অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন তিনি। বলেছেন, এর মাধ্যমে যাতে অন্যরা উপকৃত হতে পারেন, সেজন্যই অভিজ্ঞতা শেয়ার করা।

নিজেকে ইসতিয়াক আহমেদ হৃদয় নামে পরিচয় দিয়ে ওই শিক্ষার্থী ভিডিওতে বলেন, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ঢাবি ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় সেখানকার কুকুর-বিড়ালরা খুব সমস্যায় পড়ে। এ জন্য তারা কয়েক জন মিলে তাদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করেন। পাশাপাশি ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রমে অংশ নেন। এ কারণে দিনের বেশির সময়ই তিনি রুমের বাইরে থাকতেন, অথচ থাকার কথা ছিল ঘরে।

এ অবস্থায় তার গ্রামের বাড়ি থেকে বাবা-মা যেতে বলেন। পরবর্তীতে বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু এক জন সচেতন মানুষ হিসেবে বাড়ি যাওয়ার আগে করোনার টেস্ট করানো জরুরি বলে মনে করেন তিনি। এ অবস্থায় টেস্টের জন্য আইইডিসিআরে নমুনা দিলে গত ৮ এপ্রিল তার রেজাল্ট পজেটিভ আসে। তার পর ১৪ এপ্রিল আবার স্যাম্পল দিয়ে আসেন তিনি। এর পর ১৫ এপ্রিল দুপুর বেলা তাকে জানানো হয়, তার রেজাল্ট নেগেটিভ এসেছে। মাঝের কয়েক দিন তিনি কী কী করেছেন সেটারই বর্ণনা দিয়েছেন ভিডিওতে।

ইসতিয়াক বলেন, করোনা পজেটিভ জানার পর পরই তিনি বিষয়টি বন্ধু-বান্ধব ও পরিচিত, বিশেষ করে বিগত কয়েক দিনে যাদের সঙ্গে মিশেছেন, সবাইকে জানান। যাতে তারা সতর্কতা অবলম্বন এবং চাইলে নিজেদের টেস্ট করাতে পারেন। এরপর নিজেকে পুরোপুরি ঘরবন্দি করে ফেলেন। কাউকেই কাছে আসতে দেননি।

তিনি বলেন, আমি প্রতিদিন স্যাভলন মিশিয়ে গরম পানি দিয়ে গোসল করেছি। যাতে জীবাণু পানির মাধ্যমে ছড়াতে না পারে। আপনারাও অবশ্যই গরম পানিতে স্যাভলন মিশিয়ে গোসল করতে পারেন। এটি জীবাণুনাশের জন্য অনেক ভালো কাজে দেবে।

এই কয়দিন আমি প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে ব্যায়াম করতাম। যাতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। ভিটাসিন সি খেয়েছি। এ জন্য ট্যাবলেট কেভিট-সি খেয়েছি। এক টিউবে ১০ ট্যাবলেট থাকে। কিন্তু আমি ৬টা খেয়েছি। আল্লাহর রহমতে আর খেতে হয়নি। লেবু ও লেবুর শরবত খেয়েছি। এছাড়া ভালো খাবার যেমন- আপেল, কমলা, মাল্টা, নাশপাতি এগুলো খেয়েছি।

পাশাপাশি গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করতাম। যতটা গরম সহ্য করা যায় সেই রকম গরম পানি নিয়ে লবণ মিশিয়ে প্রতিদিন দুপুরে ও ঘুমানোর আগে গড়গড়া করতাম। প্রতিদিন তিনবার গড়গড়া করতাম।

হৃদয় বলেন, যে বিষয়টি আমার সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে, সেটি হলো গরম পানি খাওয়া। এক ঘণ্টার পর পর গরম পানি খেতাম। যতটা গরম সহ্য করা যায় ততটাই গরম পানি খেতাম। আমি প্রতি ঘণ্টায় এক-দুই গ্লাস গরম পানি খেতাম। আমার মনে হয়, এই গরম পানি ভাইরাসটি দূর করার ক্ষেত্রে ভালো কাজ দিয়েছে।

ঢাবির এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, পাশাপাশি আমি সাবান দিয়ে হাত ধুয়েছি, যেটা আমরা সবাই জানি যে, সাবান দিয়ে হাত ধোয়া লাগে ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে। এ ছাড়া আমার কাপড়-চোপড় পরিষ্কার করতাম। সেইসঙ্গে প্রতিদিন স্যাভলন মিশ্রিত পানি দিয়ে রুমটা খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করেছি।

ভেঙে না পড়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন করে করোনাভাইরাস মোকাবেলা করতে সবাইকে পরামর্শও দেন ইসতিয়াক।

এস

মন্তব্য করুন

daraz
  • লাইফস্টাইল এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, চলতি বছরে ২৪
স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করা হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিকেএসপির খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্যবীমা দেবে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স
প্রান্তিক স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে কাজ করছে সরকার : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
X
Fresh