• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

চার উপায়ে করোনার সঙ্গে লড়াইয়ের পরামর্শ বিশেষজ্ঞের

লাইফস্টাইল ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ০৯ এপ্রিল ২০২০, ১৪:১৩
চার উপায়, করোনা, লড়াই, পরামর্শ, বিশেষজ্ঞ
করোনাভাইরাস। প্রতীকী ছবি।

বিশ্বজুড়ে এখন করোনাভাইরাস আতঙ্ক। হু হু করে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। করোনাভাইরাস ঠেকাতে কাজ করছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চিকিৎসক ও গবেষকরা। এখনও কোনো ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। তবে স্কটল্যান্ডের এডিনবরা ইউনিভার্সিটির পাবলিক হেলথের চেয়ারম্যান অধ্যাপক দেবী শ্রীধর করোনাভাইরাস সমস্যা মোকাবিলায় চারটি উপায়ের কথা বলেছেন।

দ্য গার্ডিয়ান–এ লেখা এক মতামতে অধ্যাপক দেবী শ্রীধর বলেছেন, পদ্ধতিগুলো যথাযথ প্রয়োগ করা গেলে তা মহামারি ঠেকানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে।

  • শ্রীধরের ভাষ্য মতে প্রথমটি হচ্ছে, বিভিন্ন দেশের সরকারকে একসঙ্গে এ ভাইরাস নির্মূলের পরিকল্পনা করতে হবে। দ্রুত ও সাশ্রয়ী চিকিৎসার পরিকল্পনা করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সব দেশ তাদের সীমান্ত বন্ধ করতে হবে। রোগের একাধিক তরঙ্গ যাতে আঘাত না করে, সে জন্য দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে হবে।
  • দ্বিতীয় পদ্ধতি, ভাইরাসের সংক্রমণের বিষয়টিকে দেরি করিয়ে দেওয়া। যেহেতু বিশ্বজুড়ে অনেক প্রতিষ্ঠান ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছে, কিছুদিন পরেই হয়তো তা পাওয়া যাবে। সে পর্যন্ত ভাইরাসের বিস্তার যতটা সম্ভব সীমিত রাখতে হবে। স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে লকডাউনসহ চিকিৎসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়ে প্রস্তুত থাকতে হবে। তিন সপ্তাহ আগ থেকেই যথেষ্ট বেড, ভেন্টিলেটর ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রস্তুত রাখতে হবে। এসব ব্যবস্থার ভিত্তিতে সরকার কোয়ারেন্টিন–ব্যবস্থা শিথিল করবে নাকি বাড়াবে, সে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। তবে সমস্যাও রয়েছে। লকডাউন দিয়ে বেকারত্ব বৃদ্ধি, দারিদ্র্যের হার বৃদ্ধি ও সামাজিক অস্থিরতা বেড়ে যেতে পারে।
  • তৃতীয়ত, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো যত বেশি সম্ভব করোনাবাহী ব্যক্তিকে খুঁজে বের করে পৃথক করতে হবে। করোনাভাইরাসে শনাক্ত হওয়া ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিকে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার পদক্ষেপ করে ভাইরাস বিস্তার ঠেকাতে পারলে স্বাস্থ্যসেবা সিস্টেমের ওপর চাপ কমে।
  • চতুর্থ, দ্রুত একটি কার্যকর টিকার অনুপস্থিতিতে করোনার লক্ষণগুলোর চিকিৎসা করা যেতে পারে। স্বাস্থ্যকর্মীরা অ্যান্টিভাইরাল থেরাপি পরিচালনা করতে পারে, যাতে রোগীর অবস্থার অবনতি না হয়। এর চেয়েও ভালো সমাধান হতে পারে কোভিড-19 শুরু হওয়া রোধ করতে প্রোফিল্যাকটিক থেরাপি ব্যবহার করা। এ ছাড়া সংক্রমণের বিষয়টি শনাক্ত করতে দ্রুত পরীক্ষা করা প্রয়োজন।

জিএ

মন্তব্য করুন

daraz
  • লাইফস্টাইল এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
তাপদাহে ঝরে পড়ছে আমের গুটি, পানি স্প্রের পরামর্শ 
২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৬
উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ইসরায়েলকে যে পরামর্শ দিল যুক্তরাজ্য
নতুন বছর অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী
X
Fresh