চোখের মাধ্যমেও শরীরে ঢুকছে করোনাভাইরাস!
বিশ্বের সবচেয়ে বড় আতঙ্ক এখন করোনাভাইরাস। মানুষের দেহে বিভিন্নভাবে ছড়াচ্ছে এই ভাইরাস। যদিও এই ভাইরাস সম্পর্কে এখনও নানা বিভ্রান্তি রয়েছে। এই ভাইরাস মানুষের শরীরে প্রবেশ করে কী কী কার্যকলাপ ঘটায়, কোন কোন অংশে থাবা বসায় তা নিয়েও যথেষ্ট ধোঁয়াশা রয়েছে।
সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিড-19 আক্রান্ত মানুষের হাঁচি-কাশির ড্রপলেট বায়ুতে ঘুরে বেড়ায়। রোগীর কাছাকাছি থাকা সুস্থ মানুষের নাক, মুখ ও চোখের মাধ্যমে তার শরীরে প্রবেশ করে এই ড্রপলেট। শরীরে এসেই ভাইরাসের অণুগুলো দ্রুত নাসাপথের পিছন দিকে বা গলার ভিতরের দিকে মিউকাস মেমব্রেনের ভিতরে গিয়ে সেখানকার কোষে হানা দেয়। সেই কোষই তখন হয়ে যায় গ্রাহক বা রিসেপ্টর কোষ। আর মুখ ও নাকের পর মারণ এই ভাইরাসের সংক্রমণের অন্যতম মাধ্যম হল চোখ। মাস্ক পরা সত্ত্বেও মনের অজান্তে যখন-তখন হাত চলে যায় চোখে, সেখান থেকে শরীরে প্রবেশ করে। সে কারণ, চোখে যাতে হাত দেওয়া না হয় সে ব্যাপারে যত্নশীল হতে হবে প্রত্যেককে। তবে, করোনা নিয়ে অকারণ আতঙ্ক নয়, বরং নিয়ম মেনেই দূরে থাকুন।
চোখের মাধ্যমে কেমন করে সংক্রমণ শরীরে প্রবেশ করে
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চোখের অশ্রুগ্রন্থির সঙ্গে মিশে গিয়ে এই ভাইরাস চোখের নেত্রনালিতে চলে যায়। এর পর তা সরাসরি নাকে প্রবেশ করে এবং সেখান থেকে শ্বাসতন্ত্রে যায় এবং সংক্রমণ শুরু করে।
চোখের অশ্রুগ্রন্থি থেকে ট্রাকিয়া হয়ে ফুসফুসে পৌঁছয়। এর ফলে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা তৈরি করতে পারে। শিকাগো স্কুল অব মেডিসিনের প্যাথোলজি বিভাগের অধ্যাপক সু-ইউয়ান জিয়াও চিনের করোনা-আক্রান্ত রোগীদের রিপোর্ট পরীক্ষা করেন। তার মতে, ফুসফুসের দুই পাশের পেরিফেরিয়াল অঞ্চলে আক্রমণ করে উপরের শ্বাসনালী ও ট্রাকিয়ার দিকে ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাস।
কন্টাক্ট লেন্সে ঝুঁকি বেশি
যারা কন্টাক্ট লেন্স পরেন তাদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। কারণ তারা অন্যদের তুলনায় বেশি করে চোখ স্পর্শ করেন। তাই কন্টাক্ট লেন্স যারা পরেন তারা যেন হাত বার বার করে পরিষ্কার করেন। লেন্স খোলা বা পরার সময় অবশ্যই হাত জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে। যেকোনো উপায়ে হাত যেন চোখে-মুখে না যায় সে ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।
জিএ
মন্তব্য করুন