• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

করোনা আতঙ্কে শিশুকে মানসিক চাপমুক্ত রাখবেন যেভাবে

লাইফস্টাইল ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ০৭ এপ্রিল ২০২০, ১০:২৮
করোনা আতঙ্কে শিশুকে মানসিক চাপমুক্ত রাখবেন যেভাবে

শিশুর মন সাদা অলিখিত কাগজের মতো। শিশুর মনের উৎকর্ষ সাধনই শিশু বিকাশের মূল কথা। তাই যেকোনও মানসিক চাপে শিশুরা বড়দের চেয়ে ভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়। তারা বাবা-মাকে আঁকড়ে ধরে রাখতে চায়, উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে, নিজেকে গুটিয়ে রাখে, রাগ করে, অস্থির হয়ে ওঠে কিংবা ভয়ে বিছানায় প্রস্রাব করে।

শিশুর মানসিক চাপজনিত এই প্রতিক্রিয়াগুলোর প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। তাদের কথাগুলো মন দিয়ে শুনুন। তাদেরকে ভালোবাসা দিন এবং তাদের প্রতি মনোযোগী হোন।

প্রতিকূল পরিস্থিতিতে শিশুরা বড়দের ভালোবাসা আর মনোযোগ একটু বেশি চায়। এই অবস্থায় আরেকটু বেশি সময় দিয়ে তাদের প্রতি মনোযোগী হোন।

শিশুর কথাগুলো মন দিয়ে শুনুন। তাদেরকে আশ্বস্ত করুন এবং তাদের প্রতি সদয় হয়ে কথা বলুন।

যদি সুযোগ থাকে তবে শিশুকে খেলতে দিন এবং তাকে চাপমুক্ত রাখুন।

যতদূর সম্ভব, করোনাভাইরাস সংক্রমণের সকল পর্যায়ে শিশুকে তার মা-বাবা এবং পরিবারের সাথেই রাখুন এবং তাদেরকে পরিবার বা যত্নপ্রদানকারীর কাছ থেকে আলাদা করা থেকে বিরত থাকুন।

হাসপাতালে ভর্তি বা কোয়ারেন্টাইন বা যেকোনও কারণে যদি আলাদা করতেই হয় তবে টেলিফোনে বা অন্য মাধ্যমের সাহায্যে যোগাযোগ করুন এবং শিশুকে নিয়মিত আশ্বস্ত করুন।

প্রতিদিনের নিয়মিত আর পরিকল্পনামাফিক কাজগুলো যতদূর সম্ভব আগের মতোই বজায় রাখার চেষ্টা করুন অথবা প্রয়োজন হলে নতুন পরিবেশে নতুন রুটিনমতো কাজগুলো করে যেতে শিশুদের সাহায্য করুন যেমন- পড়ালেখা করা, নিরাপদে খেলা এবং বাড়তি চাপমুক্ত থাকা।

যা হচ্ছে সে বিষয়ে শিশুকে তার বয়স উপযোগী করে সঠিক তথ্য দিন। তাদেরকে প্রতিকূল পরিস্থিতির ব্যাখ্যা দিন। কিভাবে সে নিজেকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে পারবে এবং সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে পারবে সে বিষয়ে সহজ ভাষায় বুঝিয়ে বলুন।

সংক্রমণের পরিণতি সম্পর্কে শিশুকে আগাম তথ্য জানিয়ে রাখুন এবং নিরাপত্তার বিষয়ে তাকে আশ্বস্ত করুন। যেমন- শিশু বা তার পরিবারের কেউ যদি অসুস্থ বোধ করে এবং হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হয় তবে শিশুকে আগে থেকে জানিয়ে দিন। সেইসাথে জানান, এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, তাদের সুস্থতার জন্য চিকিৎসক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

করোনাভাইরাসে কারণে পরিবারের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তা শিশুকে বুঝিয়ে বলতে হবে। পরিবারের কাউকে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন হলে শিশুকে তা আগে থেকে জানাতে হবে। তাকে বুঝাতে হবে যে আতঙ্কের কিছু নেই।

এদিকে করোনাভাইরাসে শিশুদের আক্রান্ত হওয়া নিয়ে অভিভাবকদের বিচলিত হওয়ার কারণ নেই বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাসে আক্রান্তের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা কম। আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের জার্নাল জানিয়েছে, ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে অর্ধেকেরই বয়স ৪০ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে। মাত্র ১০ শতাংশ রোগী ৩৯ বছরের কম বয়সী। শিশুদের আক্রান্ত না হওয়ার বিভিন্ন তত্ত্ব থাকলেও সুনির্দিষ্ট কোন ব্যাখ্যা দিতে পারছেন না চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞরা।

যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব রিডিংয়ের ভাইরাস সম্পর্কিত বিজ্ঞান বা ভাইরোলজির অধ্যাপক ইয়ান জোনস বলেন, ‘কারণ আসলে পুরোপুরি স্পষ্ট নয়, হয় শিশুরা সংক্রমণ এড়িয়ে যাচ্ছে, নয়তো তারা মারাত্মক সংক্রমণের শিকার হচ্ছে না। পাঁচ বছরের বেশি বয়সী এবং কিশোরদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাইরাস মোকাবেলায় বিশেষভাবে কাজ করে।’ শিশুরা রোগটিতে খুব মৃদুভাবে আক্রান্ত হওয়ায় তাদের নিয়ে হাসপাতাল বা চিকিৎসকের কাছে তেমন একটা যেতে হচ্ছে না।

এস

মন্তব্য করুন

daraz
  • লাইফস্টাইল এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিইউ পুড়ে ছাই, রক্ষা পেল ৭ শিশু
শিশুখাদ্যে অতিরিক্ত চিনির বিষয়টি ব্যাখ্যা দিলো নেসলে
রাজধানীর শিশু হাসপাতালে আগুন
চুয়াডাঙ্গায় অপহৃত শিশু সিরাজগঞ্জে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১ 
X
Fresh