করোনায় ঘরবন্দি শিশুরা কিভাবে ছবি আঁকা শিখবে?
শিশু মন মানতে চায় না কোন বাধা। মানতে চায় না কোন সীমাবদ্ধতা। নিজের মতো করে চলতে চায় ওরা। তবে বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের প্রাদূর্ভাবে বিপর্যস্ত জনজীবন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো এ ভাইরাস থেকে বাঁচতে বাংলাদেশেও সবাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেন। নিজ নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার ফলে স্বেচ্ছায় ঘরবন্দি হয়েছেন মানুষ।
এদিকে, স্কুল বন্ধ। কোচিং বন্ধ। খেলা বন্ধ। বাইরে যাওয়া বন্ধ। ঘরবন্দি শিশু তাহলে করবেই বা কী! দিনরাত তাই ভিডিও গেম। কার্টুন। সিনেমা। চিন্তিত বাবা-মা। স্ক্রিনটাইম বেড়ে গেলে চোখের না আবার ক্ষতি হয়ে যায়!
লকডাউনের এই সময়টা এক ধরনের অস্থিরতার মতো হয়ে গেছে...! তবে চিন্তা কীসের! আছে ইন্টারনেটের দুনিয়া। নেটে বসেই তো শিখে ফেলা যায় অনেক কিছু। ঘরবন্দির এই সময়টাতে তাহলে আপনার সন্তানকে শিখিয়ে নিতে পারেন যা তাকে সৃজনশীল হতে সাহায্য করবে। প্রথমেই ছবি আঁকা শিখিয়ে নিতে পারেন।
ছবি আঁকতে দিলে গেইমসের জগদ্দল সব হিরোদের ছবিই আঁকছে? তাকে বলুন এবার একটা মোরগ আঁকতে। যেন তেন মোরগ নয়, আঁকতে হবে লাল ঝুঁটিওয়ালা দেশি মোরগ। দরকার হবে রং তুলি বা পেনসিল।
বাকিটা দেখে নিক নিচের ভিডিও থেকেই-
মোরগ কীভাবে আঁবে তা তো দেখিয়ে দিলেন, কিন্তু মোরগ কি আর একা একা বসে থাকবে? মোটেও না। জনমানুষহীন লোকালয়ে মোরগটা না হয় নিশ্চিন্তে ঘোরাঘুরি করুক কোনো একটা গাছের নিচে। তাই আঁকতে হবে একটা ঝলমলে গাছ। সেটার ভিডিও দেখে নিন নিচে।
ভিডিও দেখার পর আপনার সন্তানকে বলুন, ‘এবার জানালা দিয়ে একটা গাছ দেখো। তারপর সেটা দেখে দেখে আঁকো।’
দেখলেন তো যদি সময়ও লাগে সন্তানকে সবই শিখিয়ে নিতে পারবেন। আর আপনার সন্তানের আপনি নিজেই। এভাবে দেখবেন লকডাউনের সময়টাতে আস্তে আস্তে নিজেকে মানিয়ে নেবে আপনার সন্তান।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম থাকলেও তাদের এসব বিষয় সম্পর্কে জানাতে হবে। আতঙ্ক ও ভয় দূর করে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।
শিশু ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুমনে করোনার বিষয়ে যেন আতঙ্ক ও ভয়ের সৃষ্টি না হয় এ জন্য অভিভাবকদের আরও যত্নশীল হতে হবে। ঘরের ভেতরেই শিশুদের হাসিখুশি রাখতে খেলাধুলা ও বিনোদনের আয়োজন করতে হবে। বাড়ির কাজের পাশাপাশি ছবি আঁকা, বাগান করা, গল্পের বই পড়ার মতো কোনও শখ— যেটা ঘরে বসেই করা যায়, এমন কিছুতে বেশি করে উৎসাহিত করতে পারেন।
এস
মন্তব্য করুন