• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

করোনাভাইরাস: সাংবাদিকরা যেভাবে নিরাপদে থাকবেন

আরটিভি অনলাইন ডেস্ক

  ২৬ মার্চ ২০২০, ২৩:০৪
করোনাভাইরাস:  সাংবাদিকরা যেভাবে নিরাপদে থাকবেন

মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে কোভিড-19 শেষ পর্যন্ত বিশ্বকে কোন পরিণতিতে নিয়ে যায় তা ধারণা করতে পারছেন না কেউই। কিন্তু এটি যে এরই মধ্যে রাজনীতি, অর্থনীতি থেকে শুরু করে দৈনিক আয়-রোজগারে পর্যন্ত প্রভাব ফেলেছে, তা প্রত্যক্ষ করছে বিশ্ববাসী। সর্বশেষ বাংলাদেশেও এই ভাইরাসে সংক্রমনের সংখ্যাও বাড়ছে সঙ্গে বাড়ছে আতঙ্ক, ভীতিও। এমন পরিস্থিতিকে মোকােবিলা করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ্যা (who) পরামর্শ দিয়েছে। এছাড়া আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হবার কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরাও। তবুও সারাবিশ্ব এখন আতঙ্কিত। মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলেছে। আর সব কিছুর খবরাখবর পৌঁছে দিচ্ছে গণমাধ্যম কর্মীরা। তাই সবার আগে তাদের নিরাপদ থাকা জরুরি।

সংবাদ পরিবেশন করেন যারা তাদের ঝুঁকিও অনেক। অর্থাৎ সাংবাদিকদের চরম ঝুঁকির মধ্যে কাজ করতে হয়। সংবাদপত্র, ইলেকট্রনিক মাধ্যম থেকে ডিজিটাল মাধ্যম। তাদের ক্ষেত্রে সংক্রমণের আশঙ্কা অনেক বেশি। অশনি-সঙ্কেতের তীব্রতার মধ্যেও কী করে নিজেদের সুস্থ রাখবেন তারা? তারপরও কাজের ব্যস্ততার মাঝে এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ থাকার উপায় দেখে নিন।

সবার আগে নিজের নিরাপত্তা

একে অন্যের থেকে অন্তত তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন। সবথেকে ভাল হয় যদি ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা যায়। কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের এই দূরত্ব বজায় রাখা বেশিরভাগ সময়েই সম্ভব হয় না।

চিকিৎসকের মতে, তাই সেক্ষেত্রে মাস্ক পরতে পারেন। পরার আগে এবং পরে পরিষ্কার করে নেবেন। একই মাস্ক বেশিক্ষণ পরে থাকবেন না। ক্রমাগত কথা বলতে বলতে ভিজে গেলেই বদলে ফেলুন। তবে পুরনো মাস্ক খোলা বা নতুন মাস্ক পরা, কোনও সময়েই মাস্কে হাত দেবেন না। ইলাস্টিক ধরে মাস্ক খুলবেন এবং পরবেন।

মাস্কের থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হাত পরিষ্কার রাখা। যখন তখন অপরিষ্কার হাত চোখেমুখে না দেয়া। মানুষ সহজাত প্রবণতাতেই মুখে হাত দিয়ে ফেলে। তাই মনে মনে আওড়াতে হবে, মুখে হাত দেয়া যাবে না।

সবসময় সঙ্গে রাখুন হ্যান্ড স্যানিটাইজার। তবে সুযোগ পেলে ব্যবহার করুন সাবান আর পানি। সাবান এবং পানি ২০ সেকেন্ড হাত ধোয়া স্যানিটাইজারের তুলনায় অনেক বেশি কার্যকর। সাবান বা স্যানিটাইজার না থাকলে কাজে লাগান ওয়েট ওয়াইপস। খেয়াল রাখুন স্যানিটাইজারের ৭০ শতাংশ যেন অ্যালকোহল হয়। হাতের সঙ্গে পরিষ্কার রাখুন নিজের মোবাইলকেও।

কলম থেকে শুরু করে মাইক্রোফোন, ক্যামেরা এবং ট্রাইপড জীবাণুমুক্ত করতে হবে। সম্ভব হলে এড়িয়ে চলুন পোশাকের সঙ্গে লাগিয়ে রাখা ক্লিপ অন মাইক্রোফোন।

সংক্রমিত এলাকা থেকে সংবাদ পরিবেশন করতে হলে চেষ্টা করুন সরঞ্জাম নিচে না নামিয়ে হাতে ধরে রাখতে।

অফিসে বাড়তি পোশাক ও জুতা রাখুন। অ্যাসাইনমেন্টের ঘটনাস্থল থেকে ফিরে দ্রুত বদলে ফেলুন পোশাক। সম্ভব হলে গরম পানিতে গোসল করুন। গরম পানিতে জীবাণুনাশক মিশিয়ে পোশাক ধুয়ে নিন। যে জুতো পরে অ্যাসাইনমেন্টে যাবেন, সেটা পরে অফিস বা বাড়িতে হাঁটাচলা করবেন না।

অ্যাসাইনমেন্ট করছেন যারা, তারা অফিসে মাস্ক পরতে পারেন। নয়তো আপনাদের থেকে সহকর্মীরা সংক্রমিত হতে পারেন।

সাংবাদিকদের কাজের মধ্যে ভিড় এড়িয়ে চলা প্রায় অসম্ভব। কিন্তু প্রেস কনফারেন্স হলে চেষ্টা করুন এক মিটার দূরত্ব বজায় রেখে বসার বা দাঁড়াবার।

কাজের চাপ বেশি হলেও দিনের কোনও সময় খাবার না খেয়ে থাকবেন না। এড়িয়ে চলুন মশলাদার খাবার। ডায়েটে রাখুন হালকা রান্না করা খাবার এবং ফলমূল। বাইরের খাবার এড়িয়ে চলুন। ইন্টারনেট এবং ফোনের মাধ্যমে যতটা সম্ভব কাজ সেরে রাখুন।

নিউজরুমসহ অফিসের অন্যান্য অংশেও মেনে চলুন করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সতর্কতা বিধি। মূলত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, নিজের বা সহকর্মীর মধ্যে সামান্যতম উপসর্গ দেখা দিলেই জানান ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে।

এস

মন্তব্য করুন

daraz
  • লাইফস্টাইল এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করা হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিকেএসপির খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্যবীমা দেবে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স
প্রান্তিক স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে কাজ করছে সরকার : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এসির টেম্পারেচার যত হলে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, হবে বিদ্যুৎ বিলেরও সাশ্রয়
X
Fresh