যেভাবে গণপরিবহনে করোনার সংক্রমণ থেকে নিরাপদ থাকবেন
পুরো বিশ্বের আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাস। নিরাপদ থাকতে শহর ছেড়ে গ্রামে পাড়ি দিচ্ছে মানুষ। এমন মহামারি অবস্থায় পরিস্থিতি মোকাবিলায় যতটা সম্ভব বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হলেও এখনও বন্ধ হয়নি অফিস-আদালত। বাড়িতে বসে কাজ করার সুবিধাও নেই সবার। তাই বাধ্য হয়ে বাইরে বের হতে হচ্ছে অনেককেই। জীবিকার প্রয়োজনে ছুটতে হচ্ছে বাসে-ট্রেনে। এসব গণপরিবহনে চলাচল করতে গিয়েই প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ভয় সবচেয়ে বেশি।
যেভাবে গণপরিবহনে করোনার সংক্রমণ থেকে নিরাপদ থাকবেন
* বাস, ট্রেন বা মেট্রোর সহযাত্রী প্রবল হাঁচি-কাশি-জ্বরে আক্রান্ত? তার থেকে যতটা সম্ভব দূরে সরে যান। প্রয়োজনে বাসের চালক-কন্ডাক্টর বা অন্য সহযাত্রীকে সতর্ক করুন।
* রাস্তাঘাটে সর্দিজ্বরে আক্রান্ত মানুষের সংস্পর্শে এলে রুমাল দিয়ে নিজের নাক আর মুখ ভালো করে চেপে ধরে রাখুন। রোগীকে স্পর্শ করবেন না। যত দ্রুত সম্ভব ওই জায়গা ছেড়ে চলে যান।
* যে সময়গুলোয় রাস্তাঘাটে লোকসংখ্যা বেশি থাকে অর্থাৎ সকালে আর সন্ধ্যা বেলায় তখন রাস্তায় বের হবেন না। বাস বা মেট্রো এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে আপনার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে কাজের সময়টা পাল্টে নিতে চেষ্টা করুন, যাতে ভিড় এড়িয়ে যাতায়াত করতে পারেন।
* রাস্তা থেকে বাড়িতে বা অফিসে পৌঁছানোর পর সাবান আর পানি দিয়ে খুব ভালো করে ঘষে ঘষে হাত ধুয়ে নিন। বাস-ট্রেনের হাতল, সিঁড়ির রেলিংয়ের মতো জায়গাগুলো ভাইরাসের আখড়া। সম্ভব হলে সঙ্গে একটা টিস্যু পেপারের প্যাকেট রাখুন। বাস-ট্রেনের হাতল ধরার সময় হাতে টিস্যু জড়িয়ে নিন। সেটা সম্ভব না হলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
* মুখে নাকে একদম হাত দেবেন না, তাতে জীবাণু শরীরের ভেতরে ঢুকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
* বাইক শেয়ারিং রাইড ব্যবহার করলেও একই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
এস/পি
মন্তব্য করুন