করোনাভাইরাস সম্পর্কে যা জানা প্রয়োজন

করোনাভাইরাস এখন ভয়াবহ আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। এরই মধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে ১০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর চীনের বাইরে আরও অন্তত ১৫টি দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সন্ধান মিলেছে। আর এভাবে ক্রমেই বেড়ে চলেছে সংক্রমণ ও মৃতদের সংখ্যা।

করোনাভাইরাস কী?
করোনাভাইরাস এমন এক ভাইরাস, যা সাধারণ ঠাণ্ডা, সর্দি, কাশির মতোই প্রথমে আক্রমণ করে ফুসফুসে। এই ভাইরাস থেকে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দেয়। ধীরে ধীরে তা মারাত্মক আকার ধারণ করে। যা থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

করোনাভাইরাসের লক্ষণ
করোনাভাইরাসের কিছু প্রাথমিক লক্ষণ রয়েছে। তবে এই লক্ষণগুলো খুবই সাধারণ। সর্দি-কাশি, মাথাব্যথা, নাক দিয়ে পানি পড়া, গলাব্যথা, শ্বাসকষ্ট ও জ্বর হয়ে থাকে।

কিভাবে ছড়ায়?
১. এই ভাইরাস একজনের থেকে আরেকজনের মধ্যে ছড়ায়।
২. শারীরিক ঘনিষ্ঠতা এমনকি করমর্দন থেকেও এই রোগ ছড়াতে পারে।
৩. রোগীর জিনিস ধরার পর ভালো করে হাত না ধুয়ে চোখ, মুখ, ও নাকে হাত দিলে এই রোগ ছড়াতে পারে।
৪. হাঁচি-কাশি থেকেও এই রোগ ছড়াতে পারে।

রোগটি কি মারাত্মক
ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। যেহেতু সংক্রমণ থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বেশ খানিকটা সময় লাগে, ফলে আরও অনেক রোগী মারা যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

কোন প্রাণী থেকে এসেছে এই ভাইরাস?
কোনো একটি প্রাণী থেকে এই ভাইরাস মানবদেহে বাসা বেঁধেছে। নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরাস বিশেষজ্ঞ জোনাথন বল বলেছেন, আমরা আগেও দেখেছি, এসব মহামারী যেকোনো প্রাণীর দেহ থেকে এসেছে।

কোন প্রাণী থেকে ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস?
ভাইরাস কোন প্রাণী থেকে এসেছে তা যদি শনাক্ত করা সম্ভব হয়, তবে রোগটি মোকাবেলা করা সম্ভব হবে। করোনাভাইরাসের সঙ্গে সম্পর্ক আছে চীনের উহায়ের দক্ষিণ সমুদ্রের খাবারের পাইকারি বাজারের সঙ্গে। গবেষকরা বলেছেন, চীনের হর্সশু নামে একপ্রকার বাঁদুরের সঙ্গে এই ভাইরাসের ঘনিষ্ঠ মিল রয়েছে।

চীনে কেন?
অধ্যাপক উলহাউজ বলেছেন, চীন বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ। আর যেসব প্রাণী ভাইরাসটি বহন করে, সেগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।

যেভাবে প্রতিরোধ করবেন এই ভাইরাস

আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির সংস্পর্শে এলে বা তার সঙ্গে হাত মেলালেও করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হতে পারে। তাই এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে প্রথমেই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।

১. আক্রান্ত রোগীর কাছ থেকে আসার পর ভালো করে হাত ধুতে হবে।
২. নাক-মুখ ঢেকে হাঁচি-কাশি দিন।
৩. ডিম, মাংস ভালো করে রান্না করুন। রোগীর থেকে দূরে থাকুন।
৪. নিয়মিত হাত ধুয়ে পরিচ্ছন্ন রাখুন।

রোগের কোন প্রতিষেধক আছে কী?

এই রোগের কোনো প্রতিষেধক নেই। তবে রোগটির প্রতিষেধক আবিষ্কারের কাজ চলছে। সূত্র: বিবিসি

এস/পি