• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ঈগলের দ্বীপ ‘লাংকাবি’

মোস্তফা ইমরান রাজু, মালয়েশিয়া

  ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৩:৩২
ঈগলের দ্বীপ, লাংকাবি, মালয়েশিয়া
ছবি: নিজস্ব

মালয়েশিয়ায় দর্শনীয় স্থানের মধ্যে অন্যতম ঈগলের দ্বীপ খ্যাত লাংকাবি। রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে প্রায় সাড়ে ৫০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই দ্বীপে বছরজুড়ে থাকে পর্যটকদের ভীড়।

কেডাহ্ প্রদেশের সম্পদ এই দ্বীপটি মূলত ঈগলের জন্য বিখ্যাত। পুরো দ্বীপে আপনার চোখে পড়বে উড়ন্ত ঈগল। পোর্ট দিয়ে শহরের প্রবেশমুখেই নির্মাণ করা হয়েছে বিশাল আকৃতির ঈগল মূর্তি, যা ঈগল স্কয়ার নামে পরিচিত।

লাংকাবির আনাচে কানাচেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ফুলঝুরি। প্রকৃতি যেন নিজ হাতে সাঁজিয়েছে তার প্রিয়তমাকে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে দর্শনার্থীদের বাড়তি আকর্ষণ দিতে গড়ে তোলা হয়েছে বেশ কিছু প্রকল্প যার অন্যতম একটি কেবল কার ও স্কাই ব্রিজ। পৃথিবীর সেরা দশটি স্কাইব্রিজের একটি লাংকাবি স্কাই ব্রিজ। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে দুই হাজার ১৭০ ফুট উঁচুতে নির্মিত এই কার্ব আকৃতির ব্রিজটির দৈর্ঘ্য ১২৫ মিটার। কেবল কার এ চড়ে উপরে উঠে লিফট কিংবা হেঁটে এই ব্রিজে যেতে পারেন দর্শনার্থীরা। কেবল কার দিয়ে উপরে ওঠার সময় দুটি স্পটে নেমে মেঘের মাঝে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার সুযোগ রয়েছে। দারুণ এ সুযোগে দর্শনার্থীরা উপভোগ করতে পারেন আকাশ, পাহাড় আর সমুদ্রের চমৎকার মিলনমেলা। মেঘের মাঁঝে দাঁড়িয়ে, সবুজ পাহাড়ের ফাঁক দিয়ে নীল জলরাশির মনমুগ্ধকর এ দৃশ্য পৃথিবীর আর কোথাও হয়তো মিলবে না।

স্কাইব্রিজ ও কেবল কারের নিচে গড়ে তোলা হয়েছে ওরিয়েন্টাল ভিলেজ, যেখানে থ্রিডি আর্ট গ্যালারি থেকে শুরু করে দর্শনীয় অনেক কিছুই রয়েছে। লাংকাবিতে ঘুরে দেখার জন্য রয়েছে শতাধিক দর্শনীয় স্থান।

আন্দামান সমুদ্রবর্তী দ্বীপটির সমুদ্র সৈকতের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর সৈকত পান্তাই ছেনাং। পর্যটকরা সাধারণত এখানেই বেশিরভাগ সময় কাটান। এই সৈকতকে ঘিরে গড়ে উঠেছে শত শত হোটেল ও মোটেল।

তবে ‘কহোনা পেয়ার হে’ গানের একটি অংশের স্যুটিং হওয়া তানজুং রুহ বীচ ও ব্লাক স্যান্ডি বীচ বা কালো বালির দ্বীপ পর্যটকদের বাড়তি সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ তৈরি করে দেয়।

---------------------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : প্রতিদিন দই খেলে যেসব উপকার পাবেন
---------------------------------------------------------------------

লাংকাবির কম খরচে বেশি উপভোগের দারুণ সুযোগ রয়েছে হপিং আইল্যান্ড ট্যুরে, যেখানে চার ঘণ্টায় চারটা ভিন্ন ভিন্ন দ্বীপ দেখা যাবে, দেখা যাবে সমুদ্রের মাঝে ঝাঁকে, ঝাঁকে ঈগলদের খাওয়ানোর দৃশ্য।

দর্শনীয় স্থান :

ঈগল স্কয়ার, কেবল কার ও স্কাই ব্রিজ, পান্তাই ছেনাং বীচ, তানজুং রুহ বিচ, ব্লাক স্যান্ডি বিচ ছাড়াও রয়েছে আন্ডার ওয়াটার ওয়ার্ল্ড, ওরিয়েন্টাল ভিলেজ, ক্রোকোডাইল ফার্ম, বার্ড প্যারাডাইজ, ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট, বে রিসোর্ট, সেভেন ওয়েলস ওয়াটারফলসহ শতাধিক দর্শনীয় স্থান।

এছাড়া লাংকাবিতে ছোট, বড় শিপে করে সমুদ্রের মাঝে সূর্যাস্ত দেখা, অন্য কোনও দ্বীপে গিয়ে মাছ ধরা, গভীর সমুদ্রে কোরাল দেখাসহ নানা অভিজ্ঞতা অর্জনের দারুর সুযোগ রয়েছে।

কিভাবে যাবেন:

লাংকাবিতে বিমানে যাওয়াই ভালো। কুয়ালালামপুর কিংবা সুবাং বিমানবন্দর থেকে মাত্র ৩৫ কিংবা ৪০ মিনিটে লাংকাবি পৌঁছানো যায়। তবে যারা সময় নিয়ে ঘুরতে আসেন তারা বাসে করে যেতে পারেন। কুয়ালালামপুরের টিবিএস (বান্দার তাসিক সেলাতান) থেকে বাসে কলা পেরলিস তারপর ফেরিতে লাংকাবির কুয়া ফেরি ঘাটে পৌঁছে যেতে পারেন নির্ধারিত হোটেলে।

সময় আর অর্থ দুটোই বেশি থাকলে লাংকাবি ভ্রমণটা আপনার কাছে সেরা ভ্রমণের একটি হয়ে থাকবে। অবসর কাটাতে যারা সবকিছু ছেড়ে শুধু প্রকৃতির মাঝে কিছুটা ভালোলাগার সময় কাটাতে চান তাদের জন্য ঈগলের দ্বীপ খ্যাত লাংকাবিই উপযুক্ত স্থান।

মন্তব্য করুন

daraz
  • লাইফস্টাইল এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মালয়েশিয়ায় ই-পাসপোর্টসংক্রান্ত হাইকমিশনের জরুরি নোটিশ
মালয়েশিয়ায় ২৩ বাংলাদেশিসহ ২৬ জন আটক
মালয়েশিয়ায় ২৩ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিকে হত্যা করল আরেক বাংলাদেশি
X
Fresh