নতুন অফিসে প্রথম দিনে যে কাজগুলো করবেন
নতুন চাকরিতে প্রথম দিন গিয়ে কী করবেন তা নিয়ে চিন্তিত থাকেন অনেকে। অনেকে আবার বিষয়গুলো জেনেও ভুল করেন। নতুন জায়গায় শুরুটা ভালো হলে সেখানে আপনার অবস্থানও ভালো হতে পারে। তাই কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখুন-
- নতুন চাকরির প্রথম দিন অবশ্যই ৫-১০ মিনিট আগে অফিসে যেতে হবে, কোনোভাবেই যেন দেরি না হয়। প্রথম দিনই দেরি হলে আপনার প্রতি অন্যদের ধারণা নেতিবাচক হতে পারে।
- পুরোনো চাকরি নিয়ে বেশি কথা বলতে যাবেন না। বিশেষ করে আগের চাকরি এবং বর্তমান চাকরি নিয়ে তুলনা না করাই ভালো। এর পরিবর্তে আগেটার সঙ্গে বর্তমান কাজের কী মিল আছে সেটা নিয়ে আলোচনা করুন।
- প্রথম দিন অফিসে যা কিছুই হোক না কেন, নোট নিয়ে রাখুন। এটা পরে যেকোনও দিন কাজে লাগতে পারে। এজন্য অবশ্যই আপনার সঙ্গে নোটবুক ও কলম রাখবেন। একেবারে সহজ কোনও তথ্য থাকলে সেগুলোও লিখে রাখুন। কারণ নতুন অফিসে আপনার অনেক কিছু মনে নাও থাকতে পারে। এক্ষেত্রে নোটবুকে লিখে রাখা জিনিসগুলো পরে কাজে লাগবে।
- ইন্টারভিউয়ের জন্য বডি ল্যাংগুয়েজ খুব গুরুত্বপূর্ণ এটা সবাই জানেন। প্রথম দিন অফিসের ক্ষেত্রেও বিষয়টি সমান কার্যকর। আপনার বডি ল্যাংগুয়েজ আপনার প্রতি অন্যদের মনোভাব পাল্টে দিতে পারে। তাই পকেটে হাত দিয়ে থাকা, বেশি হাসাহাসি করার মতো নেতিবাচক বডি ল্যাংগুয়েজ এড়িয়ে চলুন।
- ইন্টারনেট এখন সবার আয়ত্তের মধ্যে আছে। তারপরও প্রথম দিন অফিসে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করবেন না। এটা থেকে বিরত থাকলে অন্যরা আপনাকে একটু ব্যতিক্রম ভাববে, যা পরবর্তীতে সহায়ক হবে।
আরও পড়ুন
ডি/
মন্তব্য করুন
১১০ ক্যারেট হিরা বসানো বিশ্বের সবচেয়ে দামি হাতঘড়ি, দাম কত?
ঘড়ি আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। দৈনন্দিন কাজে কমবেশি সবাই ঘড়ি ব্যবহার করেন এবং এর সঙ্গে পরিচিত। তবে ঘড়ি এখন আর শুরু সময়ের জানান দেয় না। আজ হাতঘড়ি মানে ফিটনেস কন্ট্রোলার। স্মার্ট ওয়াচের দুনিয়ায় এই ঘড়ি বিপি-সুগার-কোলেস্টরলের হিসেব রাখে। বিরাট কোহলি, সুনীল ছেত্রীদের মতো খেলোয়াড়রা বিশেষ ধরনের ঘড়ি ব্যবহার করেন। সেই সব ঘড়ির দাম আকাশছোঁয়া। আর এই ঘড়ির দাম স্বর্গছোঁয়া। হিরা-মণি-মুক্তা বসানো রাজকীয় ওই ঘড়ির দাম ৫৫ মিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশী মুদ্রায় ৬০৪ কোটি টাকা। বিশ্বাস হয়? এটাই বিশ্বের সবচেয়ে দামি হাতঘড়ি!
বহুমূল্য এই হাত ঘড়ির নাম গ্রাফ ডায়মন্ডস হ্যালুসিনেশন। ২০১৪ সালে লন্ডনের বিখ্যাত গ্রফ ডায়মন্ডস জুয়েলারি হিরা ও বহুমূল্য রত্ন বসানো এই ঘড়িটি তৈরি করে বিশ্বের সবচাইতে দামি ঘড়ি বলে দাবি গ্রাফ ডায়মন্ডস কোম্পানির। ১১০ ক্যারেটের নানা রঙের হিরা বসানো রয়েছে গ্রাফ ডায়মন্ডস কোম্পানির তৈরি এই ঘড়িটিতে। সবচেয়ে বড় হিরাটি বসানো হয়েছে ঘড়ির ডায়ালে, যার নাম পেল্লায় হিরে। নানা রঙের হিরে ও তাদের নানা রকম নিখুঁত নকশা ঘড়িটিকে আরও আকর্ষণীয় করেছে। মোট ৩০ জন অভিজ্ঞ ডিজাইনার, জেমোলজিস্ট, জহুরি মিলে তৈরি করেছেন এই ঘড়ি।
এর আগে এই কোম্পানিই আরও একটি রাজকীয় ঘড়ি প্রকাশ্যে এসেছিল। যার দাম ছিল ৪৩৯ কোটি টাকার মতো। যদিও সেটিকে ছাপিয়ে গিয়েছে ‘ডায়মন্ডস হ্যালুসিনেশন’।
অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে প্রয়োজন যেসব সতর্কতা
সম্প্রতি রাজধানীর বেইলি রোডে আগুনে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ আকালে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৬ জন। আগুন সর্বগ্রাসী। তাই আগুন প্রতিরোধে সবার আগে প্রয়োজন সচেতনতা আর সতর্কতা। আগুন থেকে বাঁচতে সতর্ক থাকার কোনো বিকল্প নেই। প্রত্যেককে যে যার জায়গা থেকে আমাদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। সেটা হোক বাসা, অফিস কিংবা যে কোনো স্থান।
আগুন যাতে না লাগে সেজন্য সবার প্রথমে আমাদের এ বিষয় সতর্ক থাকতে হবে। মেনে চলতে হবে কিছু শর্ত। আর যদি আগুন লেগেই যায় তা হলেও কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সবার আগে আগুন লাগলে দ্রুত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রতিরোধে কিছু সতর্কতা অবশ্যই মানতে হবে।
যেমন- রান্নার পর সম্পূর্ণভাবে চুলা নিভিয়ে ফেলতে হবে চুলা। চুলা জ্বালানোর অন্তত আধা ঘণ্টা আগে জানালা দরজা খুলে দিতে হবে রান্নাঘরের।
চুলা জ্বালানোর আগে কোনো লিকেজ আছে কিনা আগে পরীক্ষা করতে হবে। খোলা আগুন দিয়ে অনেকে পরীক্ষা করেন, এটা করবেন না। সাবানের ফেনা দিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ পরীক্ষা করে দেখতে হবে। ভেজা জামাকাপড় চুলার ওপর শুকাতে দেওয়া যাবে না।
বাড়ির বিদ্যুৎ লাইন, গ্যাস লাইন কিছুদিন পরপর পরীক্ষা করতে হবে। এসি চালুর আগে পরীক্ষা করতে হবে ঠিক আছে কিনা, দীর্ঘদিন বন্ধ রাখার পর অবশ্যই সার্ভিসিং করিয়ে নিতে হবে।
গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করতে হলে অবশ্যই তার মেয়াদ পরীক্ষা করে দেখতে হবে। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। প্রতি তিন বছর পরপর সিলিন্ডারের হাইড্রোলিক প্রেসার টেস্ট করা হয়েছে, এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে সিলিন্ডার ব্যবহার করতে হবে।
ভারী যন্ত্র চালাতে নির্দিষ্ট সকেট ও প্লাগ ব্যবহার করুন এবং অব্যবহৃত বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম মূল লাইন থেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে হবে। এছাড়া অভিজ্ঞ লোক দিয়ে বাসার কিংবা অফিসের ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে।
রোজার আগে নেবেন যেসব প্রস্তুতি
দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র রমজান মাস। আর কয়দিন পরেই শুরু হবে রমজান। পুরো একমাস রোজা রাখবেন মুসলমান ধর্মাবলম্বীরা। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য এই এক মাস দিনের বেলা সব ধরনের পানাহার থেকে বিরত থাকা হয়। মাসটি বছরের অন্যান্য মাসের মতো নয়। এই মাসে প্রত্যেক মুসলিমের জীবন-যাপনেই আসে বড় পরিবর্তন। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ ও গুনাহ মাফের আশায় সারাদিন অনাহারে থেকে সন্ধ্যায় মুসলিমগণ ইফতার করেন। সারাদিন না খেয়ে থাকার ফলে শরীরেও আসে কিছু পরিবর্তন। তাই রোজার প্রস্তুতি হিসেবে কিছু কাজ করে রাখতে পারলে ভালো।
চলুন জেনে নেওয়া যাক রোজার আগে কোন কাজগুলো গুছিয়ে রাখা প্রয়োজন-
শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি: রমজানে শারীরিক সুস্থতার দিকে খেয়াল রাখা খুবই জরুরি। কারণ এসময় অসুস্থ হলে রোজা রাখাটাই কষ্টকর হয়ে যাবে। সেইসঙ্গে প্রয়োজন মানসিক প্রস্তুতিও। তাই রমজানের প্রস্তুতি হিসেবে আগেভাগেই প্রশান্তিদায়ক পরিবেশ তৈরি করুন। কথা কম বলা ও ঝামেলাপূর্ণ বিষয় এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। আত্মীয় ও বন্ধু-পরিজনের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন। মন ভালো থাকে এ ধরনের কাজ করুন। পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার খান। পানি পান করুন নিয়মিত। অলসতা ঝেড়ে ফেলুন। কাজে ব্যস্ত থাকলে মনও ভালো থাকবে। সব সময় ইতিবাচক চিন্তা করুন। এতে সবকিছু সহজ মনে হবে।
কাজ গুছিয়ে নেওয়া: রোজার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে খাবার। এই মাসে খাবারের ক্ষেত্রে প্রয়োজন বাড়তি সচেতনতা। অনেকে এ সময় বাইরে তৈরি ভাজাপোড়া ও মসলাদার খাবার খেয়ে থাকেন, যা অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। এ ধরনের খাবার আপনাকে বড় কোনো অসুখের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। তাই সতর্ক হতে হবে। রমজান মাসে রোজা রেখে অনেক ধরনের খাবার তৈরি করাও কষ্টকর। তাই আগেভাগে কিছু খাবার প্রস্তুত করে রাখা যেতে পারে। পুরো রমজানের বাজার একবারে করিয়ে রাখতে পারেন। এতে রোজা রেখে বারবার বাজার করতে যেতে হবে না। এরপর কিছু ইফতারের পদ ও মসলা ইত্যাদি তৈরি করে ফ্রিজে রাখতে পারেন। তাতে কাজ অনেকটাই কমে যাবে। পুরো রমজান মাসই আপনি ইবাদতের জন্য পর্যাপ্ত সময় পাবেন।
শিশুদের জন্য: রোজায় শিশুদের খাবার ও অন্যান্য বিষয়েরও দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। কারণ শিশুরা রোজা রাখতে পারে না। বড়দের কারণে যেন তাদের খাবারে কষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। এসময় রোজা রেখে শিশুর জন্য খাবার তৈরি করাটা ঝক্কির কাজ হতে পারে। তাই চেষ্টা করুন শিশু খেতে পছন্দ করে এ ধরনের কিছু খাবার আগেভাগেই তৈরি করে ফ্রোজেন করে রাখতে। আবার যে-সব খাবার সহজে তৈরি করা যায়, সেগুলোও কিনে রাখতে পারেন। সেইসঙ্গে ফল, সবজি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় খাবারও শিশুর জন্য রাখুন। সম্ভব হলে খাবার তৈরি করার সময় শিশুকেও আপনার সঙ্গে রাখুন। তাতে সে নিজের খাবার নিজে তৈরি করে খাওয়া শিখবে। তবে শিশুকে চুলার আগুনের কাছে যেতে না দেওয়াই ভালো। এদিকে খেয়াল রাখুন।
পরিচ্ছন্নতা: পরিচ্ছন্নতা জরুরি। বিশেষ করে ইবাদতের জন্য পরিষ্কার ঘরদোর থাকতে হবে। ঘর পরিষ্কার থাকলে মনও ভালো থাকে। একমনে প্রার্থনা করা যায়। তাই রোজা শুরু হওয়ার আগেই বাড়িঘর পরিষ্কার করার চেষ্টা করুন। ধুলো-ময়লা ঝেড়ে চকচকে করে রাখুন। আসবাবপত্র নিয়মিত মুছুন। বিছানার চাদর, বালিশের কভার, পর্দা এবং এ জাতীয় যা আছে সেগুলো আগেভাগেই ধুয়ে রাখতে পারেন। এতে রমজানে কষ্ট কম হবে। বাড়ির দেয়ালের রং পরিবর্তন করতে পারেন। দেয়ালে পছন্দের কোনো রং ব্যবহার করলে হৃদয়ে প্রশান্তি আসতে পারে।
ইফতারের জন্য বেলের শরবত ফ্রিজে সংরক্ষণ করবেন যেভাবে
রমজানে সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থাকার ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই আপনি ক্লান্ত বোধ করেন। ইফতারে তাই পর্যাপ্ত ফল, ফলের রস ও শরবত খাওয়া জরুরি। এজন্য ইফতারিতে রাখতে পারেন বেলের শরবত। এটি হজমের সমস্যা, গ্যাস্ট্রিক ও কোষ্ঠকাঠিন্যসহ নানা সমস্যার সমাধান হিসেবে চমৎকার কাজ করে। কিন্তু যারা প্রতিদিন বেলের শরবত তৈরি করা ঝামেলা মনে করেন তারা চাইলে রোজার আগেই বেলের শরবত করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন। তাহলে আর প্রতিদিন বেলের শরবত তৈরি করার ঝামেলা থাকবে না।
জেনে নিন সংরক্ষণের পদ্ধতি-
উপকরণ:
১. বেল পরিমাণমতো
২. টকদই ১০০ গ্রাম
২. পানি
৩. বরফকুচি সামান্য
৪. চিনি পরিমাণমতো
৫. লবণ ও তেঁতুল সামান্য
পদ্ধতি:
প্রথমে দুই থেকে তিনটি বেল নিন। এবার পরিমাণমতো পানি দিয়ে বেল ভালো করে চটকে ছেঁকে নিন। এরপর সুবিধামত ছোট-ছোট বা বড় বোতলে বেলের শরবত ভরে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন।
এবার ইফতারের কিছুক্ষণ আগে ফ্রিজ থেকে বোতল নামিয়ে রেখে দিন। এবার তেঁতুল অল্প পানিতে ভিজিয়ে কাঁথ বের করে নিন। এরপর বেলের মধ্যে টকদই, লবণ, চিনি ও তেঁতুলের কাঁথ ভালো করে মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। ব্যাস তৈরি হয়ে গেল দারুন স্বাদের স্বাস্থ্যকর বেলের শরবত। বরফকুচি দিয়ে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন।
খোঁজ মিলল ৩৭০০ বছরের পুরোনো লিপস্টিকের
প্রাচীন সংস্কৃতি এবং নারীদের সাজসজ্জার উদাহরণ মিলেছে আবারও। আজ থেকে হাজার হাজার বছর আগেও মহিলারা লিপস্টিক ব্যবহার করতেন। আর সম্প্রতি তারই প্রমাণ মিলেছে। ইরানের প্রত্নতাত্ত্বিকদের হাতে এসেছে তেমনই বহু পুরোনো লিপস্টিক।
বিগত দু’দশক আগে মাটি খুঁড়ে এক ধরনের বোতলের সন্ধান পান প্রত্নতত্ত্ববিদরা। ইরানের দক্ষিণাংশে জিরোফত এলাকায় এই প্রসাধনীর সন্ধান মিলেছে। ২০০১ সালেই জিরোফত এলাকা থেকে একটি বোতলের ভিতরে লিপস্টিকের সন্ধান পান প্রত্নতত্ত্ববিদরা। উজ্জ্বল ক্রিমসন বর্ণের লিপস্টিক সেটি। প্রসাধনীর সন্ধান পেলেও তার বয়স নিয়ে নিশ্চিত হতে পারছিলেন না প্রত্নতত্ত্ববিদরা। প্রায় দু’দশক ধরে গবেষণা করে তারা এই প্রসাধনীর সঠিক বয়স নির্ধারণ করে ফেলেন।
গবেষণায় জানা যায়, বোতলের ভিতর রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো লিপস্টিক। রেডিও কার্বন পদ্ধতিতে বয়স নির্ধারণ করে তারা জানতে পারেন বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো লিপস্টিক এটি। যার বয়স ৩৭০০ বছর। তবে এই লিপস্টিকটি ১৬৮৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তৈরি করা হয়েছিল বলে ‘জার্নাল সায়েন্টিফিক রিপোর্টস’-এ প্রকাশিত রিপোর্টে জানা গেছে। এই লিপস্টিক মূলত হেমাটাইট নামের খনিজ দিয়ে তৈরি। লিপস্টিকের লাল রঙের নেপথ্যে রয়েছে হেমাটাইট নামের অক্সাইড খনিজের উপস্থিতি। এই খনিজ থেকেই উজ্জ্বল লাল বর্ণের উৎপত্তি। এই লিপস্টিকটি একটি সুন্দর খোদাই করা বোতলের মধ্যে রাখা।
কী থেকে তৈরি করা হয়েছিল এই লিপস্টিকটি?
লিপস্টিকটি তৈরি করা হয়েছিল হেমাটাইটের মতো খনিজ থেকে। এই লিপস্টিকটি হেমাটাইটের মতো খনিজ থেকে তৈরি একটি লাল পদার্থ, যা ম্যাঙ্গানিজ এবং ব্রাউনাইট দিয়ে গাঢ় করা হয়েছে। এতে অল্প পরিমাণে গ্যালেনা এবং অ্যাঙ্গলেসাইট রয়েছে। ৩৭০০ বছরের পুরোনো লিপস্টিকের রং এবং মোমের টেক্সচার সমসাময়িক লিপস্টিকের মতো। সায়েন্টিফিক রিপোর্টে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে এই লিপস্টিকের মালিক খুব সম্ভবত এটি একইভাবে ব্যবহার করেছেন, ঠিক যেভাবে আধুনিক যুগের মানুষ আজ এই লিপস্টিক ব্যবহার করে।
সায়েন্টিফিক রিপোর্টে প্রকাশিত প্রতিবেদনে অনুসারে, অতীতেও আজকের মতোই লিপস্টিক ব্যবহার করা হত। শিশিটির সরু আকৃতি এবং পুরুত্ব ইঙ্গিত দেয় যে এটি অন্য হাতে আরামে ধরে রেখে তামা/ব্রোঞ্জের ডিক্যানটার দিয়ে সহজেই ব্যবহার করা যেতে পারে। লুটপাটের কারণে, কখন লিপস্টিকটি তৈরি হয়েছিল বা কোথা থেকে তৈরি হয়েছিল তা বলা খুব কঠিন। গবেষকরা বিশ্বাস করেন যে এটি প্রাচীন মার্সাসি, ব্রোঞ্জ যুগের সভ্যতা থেকে এসেছে। তবে লিপস্টিকের মালিক ও উদ্ভাবন সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
লিপস্টিকের উৎপত্তি-
এই আবিষ্কার প্রাচীন ইরানের ব্রোঞ্জ যুগের মানুষের কথা বলে। সে কালের মানুষ কীভাবে সৌন্দর্য পণ্য ব্যবহার করতেন, তার একটি আভাস দেয়। যাইহোক, মহিলাদের ঠোঁটের রং ব্যবহার করার প্রথম প্রমাণ খ্রিস্টপূর্ব ১২ শতকের দিকে পাওয়া গিয়েছিল। মিশর এবং এখন ইরানে পাওয়া তুরিন প্যাপিরাস দেখিয়েছে যে ব্রোঞ্জ যুগেও মেকআপের চল ছিল।
ইফতারে খেজুরের বিকল্প বরই, যা বলছেন ইসলামিক চিন্তাবিদ ও পুষ্টিবিদরা
রমজান সামনে রেখে অস্থির হয়ে উঠেছে খেজুরের বাজার। সরকার ১০ শতাংশ শুল্কও ছাড় দেওয়ার পরও নানান অজুহাতে আমদানি মূল্যের চেয়ে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে পণ্যটি।
খেজুরের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন আঙুর, খেজুরের পরিবর্তে বরই দিয়ে ইফতার করার পরামর্শ দিয়েছেন। গত ৪ মার্চ রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। তার এমন বক্তব্য ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন অঙ্গনে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।
ওই দিন বিকেলে এক সমাবেশে শিল্পমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘আমি বরই দিয়ে ইফতার করবো। আর তুই খেজুর-আঙুর খাবি? তা হবে না, তা হবে না।’
রমজানে খেজুরের বিকল্প বরই হতে পারে? কী বলছেন ইসলামিক চিন্তাবিদ ও পুষ্টিবিদরা জেনে নেওয়া যাক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নাজমা শাহীন বলেন, রোজা থাকার পর সুগার লেভেল কমে যায়। আর ইমিডিয়েট সুগার সোর্স হিসেবে খেজুর খুব ভালো কাজ দেয়।
‘খেজুরের বিকল্প বরই’ এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘খেজুরের চেয়ে বরইতে ক্যালরি অনেক কম থাকে। সেই সঙ্গে অন্যান্য পুষ্টি উপাদানগুলোও বরইতে খেজুরের তুলনায় কম।’
ডায়েট কাউন্সেলিং সেন্টারের প্রধান পুষ্টিবিদ সৈয়দা শারমিন আক্তার বলেন, রোজা থেকে সারাদিন পানি পান না করার কারণে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া দেহে গ্লুকোজ শর্ট হয়ে যায়। এটি পূরণে চিনির শরবতের চেয়ে অনেক ভালো খেজুর খাওয়া। কারণ, খেজুরে কোনো ফ্যাট নেই। সারাদিনের পুষ্টির ঘাটতি খেজুর খেয়েই পূরণ করা সম্ভব। এমনকি এটি ডায়াবেটিস রোগীরাও খেতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, ‘বরইয়ে উপকারী নিউট্রিয়েন্ট থাকে। তবে তা খেজুরের বিকল্প কখনোই হতে পারে না।’
এদিকে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে খেজুর নিয়ে নানা গুরুত্বের কথা বলছেন ইসলামিক চিন্তাবিদরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ‘ইসলামের প্রিয় নবি হজরত মুহাম্মদ (সা.) খেজুর খেতেন। তার খেজুরের প্রতি বেশি আকর্ষণের ফলে এটা ওই সময় বরকতের বিষয় হিসেবে গণ্য হতো। কালের ধারাবাহিকতায় এখনও এটা প্রচলিত রয়েছে। এটা রাসুলের সঙ্গে আমাদের আবেগ ও ভালোবাসার একটা সম্পর্ক।’
তিনি বলেন, রমজানের ইফতারিতে খেজুর মানুষের মনের আধ্যাত্মিক আকাঙ্ক্ষা তৈরি করে। যদি সেটা সুলভ হয় তাহলে মানুষের চাহিদাটা মেটে। কিন্তু বাজারদরের ব্যাপারটা মানুষের আয়ত্তের বাইরে চলে গেলে মানুষ অস্বস্তিবোধ করে।
অধ্যাপক মোহাম্মদ ইব্রাহিম খেজুরের বিকল্প হিসেবে বরই খাওয়ার বক্তব্য নিয়ে বলেন, দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা এসব জিনিসের প্রতি সংবেদনশীল নন বলেই এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে সাধারণ মানুষকে আহত করছেন। অথচ খাদ্যসামগ্রীর দাম মানুষের আয়ত্তের মধ্যে রাখার যে দায়িত্ব, সেটি এড়িয়ে যাচ্ছেন।
অধ্যাপক ইব্রাহিমের মতো আরও অনেকেই বলছেন, বাধ্যতামূলক না হলেও খেজুর ছাড়া রোজার ইফতারি অনেকটা অসম্পূর্ণ মনে হয়।
সূত্র : বিবিসি
৩৪ হাজার ম্যাক ডোনাল্ড বার্গার খেয়ে রেকর্ড
বার্গার ফাস্টফুডপ্রেমীদের কাছে ভীষণ প্রিয় একটি খাবার, তাই বলে এক জীবনে আপনি কতটি বার্গার খেতে পারবেন? এক-দুই হাজার অথবা তিন হাজার? কিন্তু জানেন কি যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনের সাবেক জেল কর্মকর্তা ডোনাল্ড গর্সকে নামে এই ব্যক্তি সারা জীবনে মোট ৩৪ হাজার বার্গার খেয়ে অপ্রতিদ্বন্দ্বী বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন!
৭০ বছর বয়সী এই মার্কিনি রেকর্ড গড়তে ৫০ বছর ধরে প্রতিদিন অন্তত দুটি করে বার্গার খেয়েছেন। তবে এক সময় তিনি দিনে ৯টি করেও বার্গার খেয়েছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা দ্যা গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
এক প্রতিবেদনে গার্ডিয়ান জানিয়েছে, বিখ্যাত ম্যাকডোনাল্ডস বার্গার গোর্স্ক তেলে না ভেজে খেতেন এবং প্রতিদিন ছয় মাইল হাঁটতেন। এতে তিনি গিনেস ওয়ার্ল্ড বুকে নিজের আগের ৩২ হাজার বিগ ম্যাক খাওয়ার রেকর্ড ভেঙে এবার ৩৪ হাজার বার্গার খাওয়ার রেকর্ড গড়েছেন।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি গিনেস ওয়ার্ল্ড বুককে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে গোর্স্ক বলেন, অনেকে ভেবেছিলেন আমি এবার মারা যাব। কিন্তু পরিবর্তে আমি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের দীর্ঘকাল ধরে চলা রেকর্ডধারীদের একজন হয়েছি।
গর্সকে প্রথম দিকে বার্গার কিনতে নিয়মিত ম্যাকডোনাল্ডে যেতেন। পরে চাকরি থেকে অবসরের পর সপ্তাহে দুবার যেতেন। এ ছাড়া তিনি বিগ ম্যাকস, বার্গার কিং হুপারের বার্গারও খেয়েছেন এক সময়। তবে তিনি এ কারণে কখনো স্বাস্থ্য সমস্যায় পড়েননি বলেও দাবি করেছেন।