বাসা পরিষ্কারের সময় যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন
বাসায় বাচ্চা থাকলে এমনিতেই বিভিন্ন সতর্কতা মেনে চলতে হয়। তাদের শরীর-স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখতেই বেশ কিছু নিয়ম-কানুনও মেনে চলতে হয় অভিভাবকদের। এর মধ্যে ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখার অভ্যাস অন্যতম।
বাসার ভেতর বা চারপাশে নোংরা-আবর্জনা জমলে সেখান থেকে রোগ-জীবাণু ছড়ায়। এজন্য শিশুদের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ঘরবাড়ি পরিচ্ছন্ন রাখার দিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে হবে। কিন্তু বাসা পরিষ্কার করতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই আমরা ভুল করি যা শিশুদের ক্ষতিগ্রস্ত করে।
শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনামূলক কম হওয়ায় সামান্য অপরিচ্ছন্নতা থেকেই খুব তাড়াতাড়ি অসুখে পড়ে তারা। এজন্য বাসা পরিষ্কারের সময় খুঁটিনাটি সব বিষয়েই দৃষ্টি দিতে হবে।
- সিস্থেটিক ফাইবারের ঝাড়ু বা ডাস্টার দিয়ে বাসা পরিষ্কার করেন? এগুলো দেখতে সুন্দর হলেও ঘরের ধুলাবালি খুব একটা পরিষ্কার হয় না। এজন্য সুতি কাপড়ের বা মাইক্রোফাইবারের ঝাড়ু ব্যবহার করুন
- রান্নাঘরের সব কোণা পরিষ্কার রাখলেও কাটাকুটি করার জন্য চপিং বোর্ডটা প্রতি দিন পরিষ্কার করেন কি? এই ভুল আমরা অনেকে করি। চপিং বোর্ড ভাল করে না ধুলে সেখান থেকেই রোগ-জীবাণু ছড়াতে পারে। আর দিনের পর দিন চপিং বোর্ড শুধুমাত্র ঝেড়ে নিয়েই কাজ চালিয়ে যান অনেকে। এই অভ্যাস বদলাতে চেষ্টা করুন।
- শুধু বেসিন বা সিঙ্ক পরিষ্কার করলেই ঘরকে জীবাণুমুক্ত রাখা যায় না। কলের মাথা, দরজা-জানালার হাতলও নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন।
- বাসায় থাকা ময়লার ঝুড়ির মুখ অবশ্যই ঢেকে রাখবেন। শুধু তাই নয়, ব্যবহৃত ময়লার ঝুড়ি কয়েকদিন পর পর পরিষ্কার করুন।
- অনেকে রান্না শেষ হওয়ার পরও অনেকক্ষণ তরকারির খোসা ছড়িয়ে রাখেন। এতে মাছির উপদ্রব বাড়ে এবং এর মাধ্যমে রোগ ছড়ায়।
আরো পড়ুন:
ডি/এমকে
মন্তব্য করুন
নিয়মিত স্ট্রেস থেকে মুক্তি দেবে এই পাতা!
অফিস হোক বা বাড়ি, চিন্তা, দুশ্চিন্তা সবসময়ের সঙ্গী। দ্রুত এগিয়ে চলা জীবনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে না পারলেই শুরু হয় উৎকণ্ঠা, দুশ্চিন্তার মতো সমস্যা। আবার অনেকেই প্রতিদিনের টেনশন নিয়ে বাড়তি চাপ নিয়ে ফেলেন। ভোগেন স্ট্রেসের সমস্যায়। যা শরীরে নানা রকম ক্ষতি ডেকে আনে অজান্তেই। তাই হেসে-খেলে জীবন কাটাতে চাইলে যেন তেন প্রকারেণ উৎকণ্ঠা, দুশ্চিন্তা থেকে বের হতে হবে। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে থানকুনি পাতা।
জেনে নিন স্ট্রেস থেকে মুক্তিতে থানকুনি পাতার কার্যকারিতা সম্পর্কে -
উৎকণ্ঠা দূরে পালাবে- গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই পাতার অ্যান্টিঅ্যাংজাইটি এফেক্ট রয়েছে। এমনকী এই পাতার গুণে মস্তিষ্কের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস, নিউরোনইফ্লামেশনের মতো সমস্যাকেও অনায়াসে নিজের আয়ত্বে রাখা সম্ভব হবে। তাইতো স্ট্রেস এবং অ্যাংজাইটির ফাঁদ কাটাতে নিয়মিত এই পাতা সেবন করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
যেভাবে খাবেন- প্রতিদিন সকালে উঠে কয়েকটি থানকুনি পাতা পানি দিয়ে গিলে নিন। কিংবা এই পাতার রস করেও সেবন করতে পারেন। তাতেই মিলবে অনেক উপকার।
এক টুকরো শসাতেই মিলবে ঘন-কালো চুল
প্রতিদিন মাথার ত্বকে ধুলো ময়লা জমে নষ্ট হয় চুলের সৌন্দর্য। চুল হয়ে পড়ে রুক্ষ ও নিষ্প্রাণ। তাই চুল ও মাথার ত্বক সব সময় ঝলমলে রাখতে নিয়মিত চুল পরিষ্কার রাখতে হবে। আর আমাদের মাথার ত্বকের সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে শসার রস। শসার রস আমাদের ত্বকের জন্যে বেশ উপকারী। নিয়মিত শসার রস মাথার ত্বকে মালিশ করলে অনেক উপকারই পাবেন।
চুলকে স্বাস্থ্যেজ্জ্বল করে তুলতে শসার রস ব্যবহার করুন এই নিয়মে-
শসার ছোট টুকরো সরাসরি স্ক্যাল্পে ঘষতে পারেন কিংবা চুলের গোড়ায় মালিশ করতে পারেন। শসার টুকরো লাগানোর পরিবর্তে আপনি শসার রসও ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে শসার কুচি থেকে সাদা কাপড়ে রস ছেঁকে নিন। তারপর সেই রস স্ক্যাল্পে মালিশ করুন।
পরের ধাপ- শসার রস স্ক্যাল্পে লাগানোর পরে অন্তত ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন এবং তারপরে শ্যাম্পু করে নিন। এতেই উপকার পাবেন।
দেখে নিন তালিকা:
স্ক্যাল্পের আর্দ্রতা বজায় রাখবে- শসার রস স্ক্যাল্পের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফলে স্ক্যাল্প সহজেই রুক্ষ হয়ে যাবে না আর চুলের উজ্বলতাও অটুট থাকবে।
লম্বা চুল পাবেন আপনি- শসার রস মালিশ করার ফলে চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে। ফলে হেয়ার ফলিকলে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন পৌঁছাবে। আর হেয়ার গ্রোথ হবে দেখার মতো।
সংক্রমণ দূরে থাকবে- স্ক্যাল্পের পিএইচ ভারসাম্য বজায় থাকবে, ফলে স্ক্যাল্পে কোনও সংক্রমণ হানা দেবে না। আর চুলের উজ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
পাতলা চুলও অতীত- চুল পাতলা হয়ে যাবে না। চুলের শাইন অটুট থাকবে। হেয়ার ফলিকলগুলো মজবুত হবে। তাই এই সপ্তাহ থেকে এই শসার রস ব্যবহার করতে ভুলবেন না।
গাড়ির অভিনব সংগ্রহ
পাকিস্তানে এক ব্যক্তির গাড়ির সংগ্রহ সত্যি নজর কাড়ার মতো৷ তিনি সেই সব গাড়ির ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট তুলে ধরতে মিউজিয়াম খুলতে চান৷
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে এমন গাড়ির সংগ্রহ আর নেই৷ সে বিষয়ে রাজা মুজাহিদ জাফরের আবেগের কোনো সীমা নেই৷ পপ কালচার জগতের রত্ন থেকে শুরু করে ঐতিহাসিক যান নিয়ে তার ৪০টি গাড়ির সংগ্রহ সত্যি অনবদ্য৷
জাফর রাওয়ালপিণ্ডি শহরের এক ধনী পরিবারের সদস্য৷ রিয়েল এস্টেট বা আবাসন ব্যবসার সঙ্গে তিনি যুক্ত৷ তিনি নিজে অবশ্য কৃষিকাজ, গবাদি পশুপালন ও মাছ ধরার কাজে ব্যস্ত থাকেন৷ বালক হিসেবেই তিনি একবার এক ক্লাসিক গাড়ি টুকরো করার কাজ দেখেছিলেন৷ চকমকে ধাতুর অংশ তাঁর কাছে সে সেময়ে অপ্রতিরোধ্য মনে হয়েছিল৷ তখন থেকেই পুরানো গাড়ির প্রতি তাঁর টান সৃষ্টি হয়৷
রাজা বলেন, আমার বয়স তখন প্রায় ২০৷ ওয়াল্সলে নামের একটি গাড়ি কিনেছিলাম৷ সেটা ব্রিটেনে তৈরি৷ আমি সেটিকে রিস্টোর করলাম৷ তারপর ১৯৮৫-৮৬ সাল থেকে আমি একের পর এক গাড়ির হাল ফেরানোর কাজ শুরু করলাম৷ এখনো আমি গাড়ি নিয়ে সেই কাজ করে চলেছি৷ ইসলামাবাদে জাফরের প্রাসাদের মতো বাসভবনের এক অংশে তাঁর আদরের যন্ত্রগুলি রাখা রয়েছে৷ তাঁর মালিকানার সব ভিন্টেজ কার পাকিস্তানেই কেনা৷ সেগুলি নানা পর্যায়ে বেহাল অবস্থায় ছিল৷ তিনি অনেক পরিশ্রম করে সেগুলিকে আবার আগের গৌরবে ফিরিয়ে আনেন৷ তবে যন্ত্রাংশের সন্ধান পাওয়া খুবই কঠিন৷ অ্যামেরিকা বা ইউরোপ থেকে বেশিরভাগ যন্ত্রাংশ আনাতে হয়৷
রাজা মুজাহিদ জাফর বলেন, আমি যখন গাড়ি জোগাড় করা শুরু করলাম, তখন ভাবিনি যে একদিন আমার এত বড় আকারের সংগ্রহ হবে৷ সেই পর্যায়ে পৌঁছতে ৩৪-৩৫ বছর লেগেছিল৷ নিজের সংগ্রহ জনসাধারণের সামনে তুলে ধরতে জাফর এখন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে গাড়ি মিউজিয়াম খোলার বিষয়ে সহায়তা চেয়েছেন৷
রাজা বলেন, আমি সেই মিউজিয়ামকে এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অংশ করতে চাই, যাতে গোটা পাকিস্তান থেকে ছাত্রছাত্রীরা যখন সেখানে আসবে, তখন তাদের গাড়ি সৃষ্টি থেকে শুরু করে বর্তমান অবস্থায় উন্নতির বিষয়ে জানাতে পারি৷ প্রথম দিন থেকেই টাকা উপার্জন, বড়াই করা বা এই সব গাড়ির পেছনে বাড়তি অর্থ ঢালা আমার লক্ষ্য ছিল না৷ আমি ভালোবাসা দিয়ে আবার সেগুলির হাল ফিরিয়েছিলাম এবং সেই কাজে যতটা সম্ভব মূল যন্ত্রাংশ ব্যবহার করেছি৷
তাঁর সংগ্রহের মধ্যে ১৯৫৯ সালের পেজো ২০৩ মডেলও রয়েছে৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সেটিই ছিল কোম্পানির প্রথম গাড়ি৷ আর আছে রোল্স রয়েস সিলভার শ্যাডো৷ জেমস বন্ড চলচ্চিত্রের দৌলতে এই গাড়ি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে৷ মহম্মদ আলির মতো বিখ্যাত মানুষও সেই মডেল পছন্দ করতেন৷ উইম্বলডন হোয়াইট ফোর্ড মুস্ট্যাং মডেলও জাফরের সংগ্রহে রয়েছে৷ গোল্ডফিঙ্গার চলচ্চিত্রে বন্ডের নায়িকা তানিয়া ম্যালেট সেই গাড়ির জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে দেন৷ তবে বুলিট চলচ্চিত্রে সর্বকালের অন্যতম সেরা কার চেজ দৃশ্যে স্টিভ ম্যাককুইনের কারণে গাড়িটি অমর হয়ে ওঠে৷ তবে জাফরের গাড়ির সংগ্রহের সেরা মুকুট হলো মার্সিডিজ ১৭০ভি মডেল৷ সেটিই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে সবচেয়ে জনপ্রিয় মার্সিডিজ মডেল ছিলো৷ সেটির দৌলতেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ব্র্যান্ড হিসেবে মার্সিডিজ আবার মাথা তুলে দাঁড়াতে পেরেছিল৷
রাজা বলেন, আমি কখনোই গাড়ির মূল্য ও সেটি আবার বিক্রি করার ভাবনা নিয়ে গাড়ি সংগ্রহ করি না৷ আমি কখনোই গাড়ি বিক্রির চেষ্টা করি না৷ ইহজগতে আর না থাকলে হয়তো আমার সন্তান বা নাতিনাতনিরা সেগুলি বিক্রি করবে৷ কিন্তু আমার কোনো গাড়ি বিক্রি করার ইচ্ছে নেই৷
চেহারায় বয়সের ছাপ পড়বে না যেসব খাবার খেলে
সময় আর স্রোত কারো জন্যে অপেক্ষা করে না।সময়ের কাঁটা এগিয়ে চলে নিজস্ব নিয়মে। আজ আপনি তরুণ, আছে তারুণ্যের উচ্ছ্বলতা। কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে প্রতিনিয়ত কমে আসবে উচ্ছলতা। দেখতে দেখতে আপনারও বয়স হবে। বয়স ৪০ হলেই সতর্ক হতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে খাবার মেনুর দিকে। চেহারায় বয়সের ছাপ পড়বে না যেসব খাবার খেলে, সেসব খাবার খান। খেতে পারেন দুধ, কলা ও ওটস। যা আপনার তারুণ্য ধরে রাখবে।
দুধ খাবেন নিয়মিত
আছে উচ্চ প্রোটিন ও পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম। যা পেশির শক্তি বাড়ায় এবং হাড়ের ক্ষয় থেকে মুক্তি দেয়। ৪০ পার হওয়ার পর শরীরের অতিরিক্ত পুষ্টি উপাদানের প্রয়োজন হয়।তাই প্রতিদিন সকালে একগ্লাস দুধ পান হতে পারে আপনার তারুণ্য ধরে রাখার অণ্যতম উপায়।
পটাশিয়াম ও আয়রনের ঘাটতি পূরণে কলা
কলায় প্রচুর ভিটামিন, পটাশিয়াম ও আয়রন রয়েছে। স্বাস্থ্যকর ডায়েটের অংশ হলো উপকারী খনিজ সমৃদ্ধ খাবার। কলা দ্রুত শক্তি জোগাতে সাহায্য করে।
মেনুতে থাকতে হবে ওটস
৪০ পার হওয়ার পর সকালের নাস্তায় ওটস হতে পারে উপকারী এমনটাই বলছেন পুষ্টিবিদরা। কারণ ওটসে আছে পর্যাপ্ত ফাইবার। ফাইবার হজমশক্তি বাড়ায়। যা শরীরে শক্তি জোগাতে সহায়তা করে। প্রতিদিন মাত্র ৩০ গ্রাম ওটস খান। বয়স বাড়লেও চেহারায় তার ছাপ পড়বে না।
মিষ্টি আলু
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমতে শুরু করে।মিষ্টি আলু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই মিষ্টি আলুর উপকারিতা সম্পর্কে আমারা অনেকেই জানিনা। এতে আছে প্রচুর কার্বস। যা সঠিক উপায়ে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। মিষ্টি আলুতে আছে পর্যাপ্ত ভিটামিন এ। পাশাপাশি মুখের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোর কার্যকারিতা বাড়ায়। চোখ ভালো রাখে মিষ্টি আলু।
ডার্ক চকোলেট
চকলেট পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। সব বয়সের মানুষেরই কম বেশি চকলেট পছন্দ। বিশেষ করে ডার্ক চকোলেট আছে অনেকগুলো উপকারী খনিজ। মন ভালো রাখতে ও শক্তি বৃদ্ধির জন্য ডার্ক চকোলেট খেতে পারেন। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত ক্যাফেইন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। সুস্থ ও সুন্দর রাখতে সাহায্য করে ক্যাফেইন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট।
১১০ ক্যারেট হিরা বসানো বিশ্বের সবচেয়ে দামি হাতঘড়ি, দাম কত?
ঘড়ি আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। দৈনন্দিন কাজে কমবেশি সবাই ঘড়ি ব্যবহার করেন এবং এর সঙ্গে পরিচিত। তবে ঘড়ি এখন আর শুরু সময়ের জানান দেয় না। আজ হাতঘড়ি মানে ফিটনেস কন্ট্রোলার। স্মার্ট ওয়াচের দুনিয়ায় এই ঘড়ি বিপি-সুগার-কোলেস্টরলের হিসেব রাখে। বিরাট কোহলি, সুনীল ছেত্রীদের মতো খেলোয়াড়রা বিশেষ ধরনের ঘড়ি ব্যবহার করেন। সেই সব ঘড়ির দাম আকাশছোঁয়া। আর এই ঘড়ির দাম স্বর্গছোঁয়া। হিরা-মণি-মুক্তা বসানো রাজকীয় ওই ঘড়ির দাম ৫৫ মিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশী মুদ্রায় ৬০৪ কোটি টাকা। বিশ্বাস হয়? এটাই বিশ্বের সবচেয়ে দামি হাতঘড়ি!
বহুমূল্য এই হাত ঘড়ির নাম গ্রাফ ডায়মন্ডস হ্যালুসিনেশন। ২০১৪ সালে লন্ডনের বিখ্যাত গ্রফ ডায়মন্ডস জুয়েলারি হিরা ও বহুমূল্য রত্ন বসানো এই ঘড়িটি তৈরি করে বিশ্বের সবচাইতে দামি ঘড়ি বলে দাবি গ্রাফ ডায়মন্ডস কোম্পানির। ১১০ ক্যারেটের নানা রঙের হিরা বসানো রয়েছে গ্রাফ ডায়মন্ডস কোম্পানির তৈরি এই ঘড়িটিতে। সবচেয়ে বড় হিরাটি বসানো হয়েছে ঘড়ির ডায়ালে, যার নাম পেল্লায় হিরে। নানা রঙের হিরে ও তাদের নানা রকম নিখুঁত নকশা ঘড়িটিকে আরও আকর্ষণীয় করেছে। মোট ৩০ জন অভিজ্ঞ ডিজাইনার, জেমোলজিস্ট, জহুরি মিলে তৈরি করেছেন এই ঘড়ি।
এর আগে এই কোম্পানিই আরও একটি রাজকীয় ঘড়ি প্রকাশ্যে এসেছিল। যার দাম ছিল ৪৩৯ কোটি টাকার মতো। যদিও সেটিকে ছাপিয়ে গিয়েছে ‘ডায়মন্ডস হ্যালুসিনেশন’।
অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে প্রয়োজন যেসব সতর্কতা
সম্প্রতি রাজধানীর বেইলি রোডে আগুনে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ আকালে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৬ জন। আগুন সর্বগ্রাসী। তাই আগুন প্রতিরোধে সবার আগে প্রয়োজন সচেতনতা আর সতর্কতা। আগুন থেকে বাঁচতে সতর্ক থাকার কোনো বিকল্প নেই। প্রত্যেককে যে যার জায়গা থেকে আমাদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। সেটা হোক বাসা, অফিস কিংবা যে কোনো স্থান।
আগুন যাতে না লাগে সেজন্য সবার প্রথমে আমাদের এ বিষয় সতর্ক থাকতে হবে। মেনে চলতে হবে কিছু শর্ত। আর যদি আগুন লেগেই যায় তা হলেও কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সবার আগে আগুন লাগলে দ্রুত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রতিরোধে কিছু সতর্কতা অবশ্যই মানতে হবে।
যেমন- রান্নার পর সম্পূর্ণভাবে চুলা নিভিয়ে ফেলতে হবে চুলা। চুলা জ্বালানোর অন্তত আধা ঘণ্টা আগে জানালা দরজা খুলে দিতে হবে রান্নাঘরের।
চুলা জ্বালানোর আগে কোনো লিকেজ আছে কিনা আগে পরীক্ষা করতে হবে। খোলা আগুন দিয়ে অনেকে পরীক্ষা করেন, এটা করবেন না। সাবানের ফেনা দিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ পরীক্ষা করে দেখতে হবে। ভেজা জামাকাপড় চুলার ওপর শুকাতে দেওয়া যাবে না।
বাড়ির বিদ্যুৎ লাইন, গ্যাস লাইন কিছুদিন পরপর পরীক্ষা করতে হবে। এসি চালুর আগে পরীক্ষা করতে হবে ঠিক আছে কিনা, দীর্ঘদিন বন্ধ রাখার পর অবশ্যই সার্ভিসিং করিয়ে নিতে হবে।
গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করতে হলে অবশ্যই তার মেয়াদ পরীক্ষা করে দেখতে হবে। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। প্রতি তিন বছর পরপর সিলিন্ডারের হাইড্রোলিক প্রেসার টেস্ট করা হয়েছে, এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে সিলিন্ডার ব্যবহার করতে হবে।
ভারী যন্ত্র চালাতে নির্দিষ্ট সকেট ও প্লাগ ব্যবহার করুন এবং অব্যবহৃত বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম মূল লাইন থেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে হবে। এছাড়া অভিজ্ঞ লোক দিয়ে বাসার কিংবা অফিসের ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে।
বুলগেরিয়ার পোমাকদের ঐতিহ্যবাহী বিয়ের অনুষ্ঠান
বুলগেরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের রডপি পর্বতমালায় অবস্থিত রিবনভো গ্রামের মানুষেরা মনে করেন, তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানের ঐতিহ্যটা অনন্য৷ তাই তারা একে ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে আবেদন করেছেন৷
প্রায় আড়াই দিন ধরে বিয়ের অনুষ্ঠান চলে৷ এই সময়ে ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন রীতি, অভ্যর্থনা ও নাচে অংশ নেন হবু বর ও কনে৷
অনুষ্ঠানের প্রথম দিন বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনেরা কনের যৌতুক কাঠের ফ্রেমে ঝুলিয়ে দেন৷ বিশেষ করে কম্বল, বিছানার চাদর, লাল হারেম প্যান্ট ইত্যাদি৷ গ্রামবাসীর দেখার জন্য এটি করা হয়৷
দ্বিতীয় দিন বিয়ের মিছিল গ্রাম প্রদক্ষিণ করে৷ এদিন অনুষ্ঠানে আরো অনেককিছু হয়৷ নবদম্পতিকে উপহারের টাকা দিয়ে সাজানো হয়৷ পুরো গ্রাম অনু্ষ্ঠানে অংশ নেয়৷
রিভনভোর মানুষেরা তাদের ঐতিহ্য নিয়ে গর্বিত৷ কারণ, তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানের ঐতিহ্য অনন্য৷ তাই তারা ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ হতে আবেদন করেছে৷ ইউনেস্কো অ্যাপ্লিকেশন ইনিশিয়েটিভের মুস্তফা আমিন বলেন, ‘‘এটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ যে, রিভনভোর বিয়ের অনুষ্ঠানের ঐতিহ্যকে বুলগেরিয়া ও ইউনেস্কো, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিক৷ তাহলে বুলগেরিয়ার অন্য সম্প্রদায়ের মতো আমরাও পরিচিত হয়ে উঠতে পারবো৷''
কনের বাড়িতে গেলিনা নামে একটি অনুষ্ঠান হয়, যা বিশুদ্ধতা আর নতুন শুরুর প্রতীক৷ সেই সময় কনেকে খুব নিখুঁতভাবে, দক্ষতার সঙ্গে সাজানো হয়৷ প্রাচীনকাল থেকে এটা চলে আসছে বলে জানা যায়৷
এরপর বাড়ির সামনে জড়ো হওয়া মানুষদের সামনে কনেকে হাজির করানো হয়৷ ঐতিহ্য মেনে এই সময় তাকে চোখ বন্ধ রাখতে হয়।