• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ঘি খেলেও কমবে ওজন

লাইফস্টাইল ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২৩:২৩

ঘি খেলে ওজন কমে, শুনেছেন কখনও? গবেষণা বলছে, সুষম খাবারের পাশাপাশি দিনে দুচামচের কম খাঁটি ঘি খেলে ওজন কমে। কারণ ঘিয়ে আছে কনজুগেটেড লিনোলেইক অ্যাসিড যা ডায়াবেটিস ঠেকানোর পাশাপাশি ওজন কম রাখতেও সহায়তা করে। এছাড়া ক্যানসার ও ইসকিমিক হৃদরোগ প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ঘি।

দুধের মাঠা তুলে, ঘরে জ্বাল দিয়ে বানানো দেশি ঘিয়ের সঙ্গে আমাদের হাজার বছরের সম্পর্ক। সেই সম্পর্কে প্রথম ছেদ পড়ে ৭০–এর দশকের গোড়ায়, স্যাচুরেটেড ফ্যাটের ছুতোয়। কারণ বিজ্ঞানীদের ধারণা হয়েছিল হাই কোলেস্টেরল, ইসকিমিক হৃদরোগ, হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের অন্যতম কারণ হল স্যাচুরেটেড ফ্যাট। এক চামচ ঘিয়ে থাকে ১৫ গ্রামের মতো ফ্যাট। তার মধ্যে ৯ গ্রামই স্যাচুরেটেড ফ্যাট। তার ওপর এতে আছে ৪৫ মিলিগ্রামের মতো কোলেস্টেরল। তাই এক সময় বিজ্ঞানীরা ধরে নিয়েছিলেন, হৃদরোগ ঠেকাতে চাইলে একে বর্জন করতেই হবে।

কিন্তু বর্জন বললেই তো আর বর্জন করা যায় না। অভ্যাসের একটি বিষয়ও তো আছে, আছে স্বাদ–গন্ধের বিষয়টাও। ফলে হাজার টানাপড়েনের পরও অনেকেই ঘি ছাড়তে পারেননি। কিন্তু মনে রয়ে গেছে প্রবল অশান্তি। এই বুঝি কোলেস্টেরল বাড়ে, এই বুঝি হৃদরোগ হয়।

অবশেষে গবেষণা ও পরিসংখ্যানের হাত ধরে ঘি তথা স্যাচুরেটেড ফ্যাটের ভিলেনত্ব অবশেষে ঘুচল। গবেষকরা দেখেছেন, সবচেয়ে বেশি স্যাচুরেটেড ফ্যাট খায় ফ্রান্সের মানুষ। তাহলে তাদেরই বেশি হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার কথা। কিন্তু তা তো হচ্ছে না বরং দেখা যাচ্ছে হৃদরোগে মৃত্যুর হার সবচেয়ে কম ফ্রান্সেই। তাহলে?

সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল-এর বরাত দিয়ে আনন্দবাজার বলছে, বিজ্ঞানীদের মতে সারা দিনে যত ক্যালোরি খাওয়ার কথা, তার ২০–৩৫ শতাংশ আসা উচিত চর্বি থেকে। তার মধ্যে ১০ শতাংশের কম স্যাচুরেটেড ফ্যাট থেকে এলে ক্ষতি নেই, বরং উপকার। এক চামচ ঘিয়ে থাকে ৯ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট। সারাদিনে সর্বোচ্চ যতটুকু স্যাচুরেটেড ফ্যাট খাওয়া যাবে এটা তার ৪৫ শতাংশ মাত্র। কাজেই দিনে দুচামচ ঘি খাওয়া যেতেই পারে। আবার এক চামচ ঘিয়ে যে ৪৫ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে, তা দৈনিক চাহিদার ১৫ শতাংশ।

এছাড়া জানা গেছে, হাই কোলেস্টেরলের ধাত না থাকলে খাবার থেকে সামান্য কোলেস্টেরল এলে কোনও ক্ষতি হয় না। ক্ষতি হয় পার্শিয়ালি হাইড্রোজেনেটেড অয়েল বা বনস্পতি খেলে। কারণ, এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের সঙ্গে থাকে প্রায় ৪০ শতাংশ ট্রান্স ফ্যাট। অনেক সময় স্বাদ–গন্ধ মিশিয়ে এদেরই ‘দেশি ঘি’ বলে চালানো হয়। কাজেই ঘি খেতে ইচ্ছে হলে হয় ঘরে বানিয়ে নিন, নয়তো এমন জায়গা থেকে কিনুন যেখানে দুধের মাঠা তুলে বা মাখন জ্বাল দিয়ে ঘি বানানো হয়, উপকার পাবেন।

ডি/

মন্তব্য করুন

daraz
  • লাইফস্টাইল এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বৃষ্টির সঙ্গে পড়ল ২৫০ গ্রাম ওজনের শিলা
তৌহিদ আফ্রিদির সঙ্গে প্রেম নিয়ে যা জানালেন দীঘি
দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হাতিয়ার কমলার দিঘি সমুদ্রসৈকত 
‘বর্ষবরণ ঘিরে যেকোনো নাশকতা ঠেকাতে প্রস্তুত র‌্যাব’
X
Fresh