• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

শীতে শিশুর যত্ন

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১০ নভেম্বর ২০১৮, ২০:৩৯
ছবি: সংগৃহীত

কী গ্রাম কী শহর এখন সবখানেই হালকা শীতের দেখা মিলছে। কিছুদিন পর কনকনে শীতের আগমন ঘটবে। এ উপলক্ষে নিজেদের প্রস্তুতির সঙ্গে সঙ্গে বাসার আদুরে শিশুটির প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া চাই। শীতে বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ কম থাকায় পরিবেশে শুষ্কভাব বিরাজ করে। তাই শিশুদের সংবেদনশীল ও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য নিতে হবে অতিরিক্ত যত্ন। ত্বক যেন শুষ্ক ও নিষ্প্রাণ না হয়, এজন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকতে হবে।

শীতে শিশুদের নিউমোনিয়া, সর্দি-কাশি এ ধরনের সমস্যা খুবই সাধারণ ব্যাপার। এজন্য শীতের প্রকোপ থেকে শিশুকে রক্ষা করতে বাবা মাকে কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হবে। চলুন জেনে নিই শিশুদের জন্য কী কী করবেন-

শীত প্রতিরোধের উপযুক্ত পোশাক

শীত থেকে শিশুদের নিরাপদ রাখার প্রথম ও প্রধান করণীয় হলো শিশুকে ঠাণ্ডা থেকে রক্ষা করতে পারে এমন কাপড় পরানো। প্রয়োজনে একাধিক কাপড় পরান। শিশুদের শরীরে শীতের অনুভূতি বেশি থাকে তাই শুধু গরম পোশাক পরালেই চলবে না; যাতে ঠাণ্ডা লেগে না যায় তার জন্য শীতের তীব্রতা অনুযায়ী পোশাক নির্বাচন করুন।

সঠিক নিয়মে গোসল করানো

শীতে শিশুদের গোসল দেওয়া নিয়ে অনেকেই চিন্তিত থাকেন। কী-জানি কখন অসুস্থ হয়ে যাবে। এমন ভয়ে অনেকেই গোসল করানো কমিয়ে দেন। তবে শিশুদের শীতকালে বেশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। শিশুর শরীরের তৈলাক্ত ময়লা দূর করতে নিয়মিত গোসল করানো জরুরি। গোসল করানোর সময় বাচ্চাদের উপযোগী সাবান ব্যবহার করতে হবে। গোসলের জন্য কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা উচিৎ। অধিক সময় ধরে শিশুকে গোসল করানো যাবে না। গোসল শেষে শিশুর শরীর যেন অতিরিক্ত পানি শোষণ করতে না পারে এদিকে খেয়াল রাখতে হবে। গোসল শেষে দ্রুত শরীর ও মাথা পরিষ্কার গামছা অথবা তোয়ালে দিয়ে ভালোভাবে মুছে ফেলতে হবে। সম্ভব হলে গোসল শেষে কিছুক্ষণের জন্য শিশুকে হালকা রোদে বসিয়ে রাখুন। এতে শিশু আরাম অনুভব করবে।

শীতের খাবার

শিশুর শীতের খাবার সম্পূর্ণ আলাদা হওয়া চাই। শিশু যেন অতিরিক্ত ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। লেবু, কমলা, মাল্টা, আমলকি এসব ফল খাওয়ানো ভালো। তবে যেসব শিশু চিবিয়ে খেতে পারে না, তাদেরকে ফলের রস করে খাওয়াতে পারেন।

ঠাণ্ডা লেগে গেলে

সতর্ক থাকা বা যত্ন নেবার পরেও অনেক সময় শিশুদের ঠাণ্ডা লেগে যেতে পারে। শিশুর নাক বন্ধ হয়ে গেলে রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। শিশু অসহ্য বোধ করতে পারে। এজন্য চিকিৎসকের পরামর্শে ন্যাজাল ড্রপ ব্যবহার করুন। ঠাণ্ডা লেগে কাশি, শ্বাসকষ্ট কিংবা বুকের ভেতর গড়গড় আওয়াজ অথবা শিশু শ্বাস নিতে গিয়ে কষ্ট অনুভব করলে সঙ্গে সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

জিএ/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • লাইফস্টাইল এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নাবালকেরা সামাজিকমাধ্যম ব্যবহার করতে পারবে না
সেতু থেকে খাদে পড়ে ৪৫ বাসযাত্রীর মৃত্যু, অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল শিশু 
শিশু অপহরণ করে বিক্রি করতো চক্রটি
এক পা নিয়ে জন্ম নিলো শিশু, পরিবারের পাশে জেলা প্রশাসন
X
Fresh