মজাদার চিড়া ভাজা বানানোর রেসিপি
বৃষ্টির দিনে একটুখানি ভাজাভুজি না হলে কি আর চলে। বিকেলের নাস্তায় তৈরি করতে পারেন মজাদার চিড়া ভাজা। চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে তৈরি করবেন মজাদার এই খাবারটি।
যা যা লাগবে—
চিড়া আধা কেজি
ভাজা বাদাম ১০০ গ্রাম
মিষ্টি জিরা ১ টেবিল চামচ
শর্ষে তেল ২ টেবিল চামচ
কাঁচা মরিচ সামান্য
লবণ আধা চা–চামচ।
যেভাবে বানাবেন:
তেলে মিষ্টি জিরা ভেজে নিন। সামান্য লবণ, মরিচ ও চিড়া ঢেলে দিয়ে কয়েক মিনিট মাঝারি আঁচে নাড়তে থাকুন। চিড়া ভাজা হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে নিন। সঙ্গে ভাজা বাদাম দিয়ে দিন। তারপর বৃষ্টির দিনে পরিবারের সবাইকে নিয়ে খেয়ে নিন মচমচে মজাদার চিড়া ভাজা।
মন্তব্য করুন
চুলে রং করার ঘরোয়া উপায়
চুলে রং করতে গিয়ে রাসায়নিক ব্যবহারে, চুলের গোড়া নরম হয়ে যায়, চুল উঠে আসে। রাসায়নিক রং করার পর থেকেই চুলের গোড়া শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায়। কমে যায় চুলের ঘনত্ব। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে আরও বড় ক্ষতির আশঙ্কাও তৈরি করে এই রাসায়নিক। চুলে রাসায়নিক ব্যবহার করলে ক্ষতির আশঙ্কা থেকেই যায়, তাই সতর্ক করেন চিকিৎসকরাও।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চুল ভালো রাখতে খুব সামান্য কয়েকটি নিয়ম মানাই যথেষ্ট।
কী কী সেই নিয়ম জেনে নিন—
দাঁড়চিনির সঙ্গে কন্ডিশনার মিশিয়ে নিতে পারেন। এই দুটি মিশিয়ে নিয়ে প্যাক তৈরি করুন। চেষ্টা করুন প্রতিটি চুলের গোড়া অবধি যেনও পৌঁছতে পারে এই দাঁড়চিনি ও কন্ডিশনারের প্যাক। তবে এই প্যাক বানিয়ে চুলে দেওয়ার পর, এক থেকে দুই ঘণ্টা ধৈয্য ধরে বসুন, এরপর শ্যাম্পু করে নিন।
বিটের টুকরোর সঙ্গে মধু এবং নারকেল তেল মিশিয়েও প্যাক তৈরি করতে পারেন। পাকা চুল ঢাকতে বা রঙ করতে বিটের টুকরোর সঙ্গে হেনা মিশিয়েও দিতে পারেন।
লেবুর রসের সঙ্গে কন্ডিশনার ও সমান পরিমাণে পানি মিশিয়েও চুলে হাইলাইট করা সম্ভব।
যে ৫ খাবারেই দ্রুত ঝরবে মেদ
শরীরের প্রয়োজনেই কিছুটা ফ্যাট থাকা প্রয়োজন, তা না হলে হারিয়ে যাবে শরীরের আর্দ্রতা। সেই সঙ্গে শরীরও শুকনো হয়ে যায়। কিন্তু ফ্যাট যদি স্বাভাবিকের তুলনায় বেশ খানিকটা বেড়ে হাতের নাগালের বাইরে চলে যায় তাহলেই কিন্তু ঘোরতর বিপদ। আর সেই ফ্যাট ঝরাতেও বেশ সময় লাগে। ফ্যাট বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হলো আমাদের সচেতনতার অভাব। কোনও কিছু যতক্ষণ পর্যন্ত না বিপদ সীমার ওপর দিয়ে যাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত কিন্তু মানুষ সচেতন হয় না। পেটে মেদ জমলে সেখান থেকে হার্টের সমস্যা আসে, সেই সঙ্গে বাড়ে স্ট্রোকের ঝুঁকিও। আর এই ভুঁড়ি যদি ক্রমবর্ধমান হয়, তাহলে তা কিন্তু গুরুতর সমস্যার ইঙ্গিত দেয়।
আজকাল সকলেই নানা কাজে ব্যস্ত থাকেন। সেই সঙ্গে শারীরিক ও মানসিক চাপ উভয়ই ঊর্ধ্বমুখী। ফলে খাওয়ার যেমন নির্দিষ্ট সময় থাকে না তেমনই কিন্তু শরীরচর্চার জন্যেও ধরাবাঁধা কোনও সময় নেই। সময় বাঁচাতে ভরসা সেই পিৎজা, বার্গার ও স্যান্ডউইচ। দিনের পর দিন কোল্ড ড্রিংক, ফাস্টফুড, তেল-মশলাদার খাবার খেলে কিন্তু ওজন বাড়বেই। ওজন কমাতে অনেকেই না খেয়ে থাকেন। কিন্তু এই ধারণা একেবারেই ঠিক নয়। যত বেশি খালি পেটে থাকবেন, ততই কিন্তু ওজন বাড়বে। ফ্যাট জমবে। সেই সঙ্গে বাড়ে রক্ত শর্করার পরিমাণও। আর তাই সহজ কয়েকটি টিপস দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা।
এই টিপস মেনে চলতে পারলে কিন্তু ওজন কমবেই—
মিল স্কিপ নয়: কোনও ভাবেই খাবার বাদ দেবেন না। সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়েছে বলেই যে কোনও রকমে লাঞ্চ সেরে বেরিয়ে যাবেন এমনটা নয়। ব্রেকফাস্ট অবশ্যই করবেন। ব্রেকফাস্ট স্কিপ করলে সেখান থেকে কিন্তু আসতে পারে একাধিক সমস্যা। এতে রক্তে সুগারের পরিমাণ বাড়ার যেমন সম্ভাবনা থাকে তেমনই কিন্তু বাড়তে পারে কোলেস্টেরলও। তিন থেকে ৪ ঘন্টা অন্তর খাবার খান। সারাদিনের খাবারকে কয়েকটা ভাগে ভাগ করে নিন। সব সময় যে পেটপুরেই খাবার খেতে হবে এমন কিন্তু নয়।
প্রোটিন খান: প্রতিদিনের ডায়েটে প্রোটিনের পরিমাণ বাড়ান। এতে অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভর্তি থাকে। সেই সঙ্গে একাধিক শারীরিক সমস্যাও কিন্তু দূরে থাকে। খাবারের সঙ্গে আমাদের মেটাবলিজম জড়িয়ে। মেটাবলিজম কমে গেলে কিন্তু ওজন ঝরাতেও অনেক বেশি সময় লাগে। এছাড়াও পেশির গঠনে ভূমিকা রয়েছে প্রোটিনের। সেই সঙ্গে প্রোটিন শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কিন্তু বাড়ায়।
ডিনার হোক হালকা: রাতের বেলায় খুব বেশি ভারী খাবার খাবেন না। হালকা খাবার খান। রাত ৯ টার মধ্যে ডিনার সেরে ফেলুন। সেই সঙ্গে কত ক্যালোরির খাবার খাচ্ছেন সেদিকেও কিন্তু নজর দেওয়া জরুরি। কোনও রকম মশলাদার কিংবা ভাজা খাবার রাতে নয়। এতে ওজন ঝরাতে বেশ সমস্যা হয়।
ক্যালোরি মেপে খান: সারাদিনে কতটা ক্যালোরি খরচ করছেন আর কতটা ক্যালোরির খাবার খাচ্ছেন তা কিন্তু মাপতে ভুলবেন না। এতে যেমন ক্যালোরি কম খাওয়া হয় তেমনই কিন্তু ওজনও কমে তাড়াতাড়ি।
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং: ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এখন অন্যতম জনপ্রিয় ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং। এই পদ্ধতি মেনে নির্দিষ্ট সময়ের গ্যাপে খাবার খেতে হয়। ১৬ ঘন্টা না খেয়ে আর ৮ ঘন্টা খাওয়া এইভাবে খেতে পারলে কিন্তু ওজনও কমবে। বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা দিয়েছে এইভাবে ডায়েট করলে মেদ ঝরে তাড়াতাড়ি।
বাড়ছে ‘মাঙ্কিপক্স’র প্রকোপ, যেসব লক্ষণে সাবধান হবেন
কোভিডের মর্মান্তিক স্মৃতি এখনও কারও মন থেকেই মুছে যায়নি, তার মধ্যে নতুন করে মাঙ্কিপক্সের চিন্তা। এই নিয়ে দু’বছরে দুইবার মাঙ্কিপক্স নিয়ে জরুরি অবস্থার ঘোষণা করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আফ্রিকায় আক্রান্তের সংখ্যা ইতোমধ্যেই ছাড়িয়েছে ১৭ হাজারের বেশি। এই পরিস্থিতিতে কী দেখলে বুঝবেন আপনি মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত।
চলুন জেনে নিই—
> প্রবল জ্বর হতে পারে। মাঙ্কিপক্সের ফলে শরীরে ব্যথাও হতে পারে। ত্বকে র্যাশ দেখা যেতে পারে। সেই র্যাশ আবার সময়ের সঙ্গে সঙ্গে লাল ফোঁড়ার মতো আকার ধারণ করতে পারে। হাত, পা, পায়ের পাতা, মুখ এবং শরীরের নানা অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে এই র্যাশ।
> কোভিডের মতোই ছোঁয়াছে এই রোগ। পশু থেকে মানুষে বা মানুষ থেকে মানুষে ছড়াতে পারে সংক্রমণ। আক্রান্তের ক্ষত বা দেহ তরলের সংস্পর্শে আসা জামাকাপড় থেকেও কিন্তু ছড়াতে পারে এই মাঙ্কিপক্স।
এই রোগের উপসর্গ দেখলে যা করবেন:
> প্রথমেই এই রোগের উপসর্গ দেখলে পরীক্ষা করাতে হবে। জ্বর, ক্লান্তি, গা ব্যথা, লসিকা গ্রন্থি ফুলে যাওয়া ও ত্বকে ক্ষত তৈরির মতো উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
> মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ সাধারণত সংক্রমণের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে দেখা যায়। যদি এই ভাইরাসে আক্রান্ত কারও সংস্পর্শে আসেন, তবে আগে থেকেই আলাদা থাকা ভালো। তাতে বাকিদের মধ্যে সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে।
> আলাদা থাকার সঙ্গেই গোসলের গামছা, তোয়ালে আলাদা করতে হবে। যতক্ষণ না পরীক্ষার ফল হাতে আসছে, ততক্ষণ সতর্ক থাকতে হবে।
ইউরিক অ্যাসিডে কুমড়া খাওয়া কি ভালো
দেশে হোক বা বিদেশ, সব জায়গায় সহজলভ্য সবজির মধ্যে কুমড়া অন্যতম। এটি থেকে অনেক ধরনের খাবার তৈরি করা হয়। কুমড়াতে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। ফলে স্বাস্থ্যের জন্য তা উপকারী বলাই চলে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কুমড়ায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়া এর ব্যবহারে শরীরের নানা ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এখন এমন পরিস্থিতিতে এই প্রশ্নটা নিশ্চয়ই অনেকের মনেই থাকতে পারে যে, তারা যদি ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগে থাকেন। তাহলে কুমড়া খাওয়া নিরাপদ কি না, আসুন বিশেষজ্ঞদের মতামত জেনে নিই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিরাও কুমড়ো খেতে পারেন। কুমড়াতে পিউরিন মেটাবলিজম ত্বরান্বিত হয়, যার কারণে শরীরে দ্রুত ডিটক্স হয়।
চলুন জেনে নেওয়া যাক ইউরিক অ্যাসিডে কুমড়া খাওয়া কতটা উপকারী—
রক্তে ফাইবারের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে কুমড়া।
কুমড়া আদপে ইউরিক অ্যাসিডের যম। কুমড়া খেলে তার ফাইবারের জন্য ইউরিক অ্যাসিড জমতে পারে না।
কুমড়ার প্রদাহনাশী উপাদানের কারণে কুমড়ো খেলে যারা গাঁটের ব্যথায় ভোগেন, তাদেরও অনেকাংশে আরাম মেলে।
বাতের ব্যথা হলে উচ্চ মাত্রার প্রোটিন, চর্বিযুক্ত ও চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলার উপদেশ দেন চিকিৎসকেরা।
কুমড়ার বীজ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা হজমের এনজাইম বাড়ায় এবং প্রোটিন হজম করতে সাহায্য করে।
কিন্তু কুমড়া এই সময় খাওয়াই যায়। তবে সবই খেতে হবে তেল-মশলা ছাড়া। কুমড়োর তরকারি বা স্যুপ এক্ষেত্রে খুবই উপকারী।
তবে যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাদের ক্ষেত্রে শুধু গাঁটের ব্যথা কমানোর জন্য কুমড়া বেশি বেশি খেলে সমস্যা হতে পারে।
মিষ্টি কুমড়ায় শর্করা থাকায় তা আমাদের রক্তে শর্করা মাত্রা এক ধাক্কায় বাড়িয়ে দিতে পারে। আর তা ক্ষতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।
হিমালয়ের ১৮ হাজার ফুট উঁচু থেকে লাফ দিয়ে বিশ্ব রেকর্ড
বিশ্ব রেকর্ড করার জন্য নেপালের হিমালয় পর্বত থেকে স্কিইং করার সময় বিশাল লাফ দিয়েছেন ব্রিটেনের একজন নির্ভীক মানুষ। এই ব্যক্তির নাম জোশুয়া ব্রেগম্যান, বয়স ৩৪ বছর। এই ভয়ানক প্রচেষ্টা করার কারণে, জোশুয়া বিশ্বের সর্বোচ্চ স্কি-বেস জাম্পের জন্য একটি নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন।
যেভাবে এই অনন্য কীর্তিটি করলেন তিনি:
জোশুয়া, সবসময় দুঃসাহসিক কার্যকলাপ পছন্দ করেন এবং একটি ভ্যানেই জীবন কাটান। এই দুর্দান্ত প্রচেষ্টার জন্য, সহকর্মীদের সঙ্গে, দুই সপ্তাহ আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন জোশুয়া। স্কিইং করার সময় জোশুয়া যে পাহাড় থেকে লাফ দিয়েছিলেন তার নাম মেরা পিক। এর জন্য তিনি প্রথমে মেরা পিক পর্যন্ত হাইকিং করেন, উচ্চতায় পৌঁছে ক্যাম্পিং করেন। উল্লেখ্য, মেরা পিকের উচ্চতা ১৮ হাজার ৭৫৩ ফুট অর্থাৎ ৫ হাজার ৭১৬ মিটার। স্কি করার পর প্যারাসুট ব্যবহার করে মাটিতে নেমেছিলেন জোশুয়া। এই বিস্ময়কর কৃতিত্বের মাধ্যমে এখন গিনেস বুকে নাম লিখিয়েছেন তিনি।
এসেছিল অনেক বাধা
জোশুয়া এবং তার সঙ্গীরা যখন প্রথম নিজেদের সম্ভাব্য স্কি স্পটে পৌঁছেছিলেন, তখন তারা একটি বড় পাথুরে ঢাল দেখতে পেয়েছিল। এর পরে জোশুয়ার মনে হয়েছিল যে তাঁর প্রচেষ্টা হয়ত ব্যর্থ হয়েছে। পরের বছর আবার চেষ্টা করতে হবে। তবে শীঘ্রই তিনি আশার আলো দেখতে পান। কিছু সময় পর, জোশুয়া স্কি করার জন্য সঠিক ঢাল খুঁজে পেয়ে, প্রথমে এটি পরিষ্কার করেছিলেন তিনি। জোশুয়া বলেছেন, এই রেকর্ড তৈরি করতে আমরা সবাই খুব পরিশ্রম করেছি। অক্সিজেনের অভাব, ক্রমাগত মাথাব্যথা এবং প্রায় ৬,০০০ মিটার উচ্চতায় ক্লান্ত শরীরকে দুর্বল করে দিয়েছিল। তবুও সব প্রতিকূলতা সামলে, দুই দিন পরে, জোশুয়া স্কিইং করার সময় লাফ দিয়ে ২০১৯ সালে তৈরি করা পুরনো রেকর্ড ভেঙে ফেলেছেন।
স্কি-বেস জাম্পিং কী
বেস জাম্পিংয়ের ঝুঁকির সঙ্গে স্কিইংয়ের রোমাঞ্চকে একত্রিত করে স্কি-বেস জাম্পিং। এর জন্য অনন্য বশক্তি এবং নমনীয়তার প্রয়োজন। এক কথায় বলতে গেলে, স্কি-বেসজাম্পিং হলো এমন একটি চরম খেলা, যেখানে উঁচু পাহাড় থেকে এক লাফে স্কি করতে হয়। বাতাসের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্যারাসুট নিয়ে মাটিতে অবতরণ করতে হয়।
জোশুয়া মানব পাচার সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন: জোশুয়া এই রেকর্ডের মাধ্যমে একটি চ্যারিটি সংস্থার জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে চেয়েছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল নেপালে মানব পাচারের সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া।
জানা গিয়েছে, এই অনন্য রেকর্ড তৈরির পুরো খরচ জোশুয়া নিজেই বহন করেছিলেন। এর জন্য তিনি তার বন্ধুদের কাছ থেকে সেকেন্ড-হ্যান্ড স্কি সরঞ্জাম ধার নিয়েছিলেন এবং সস্তা পোশাকই পরতেন। এ প্রসঙ্গে জোশুয়া বলেছেন, ‘কিছু অর্জন করতে দামী জিনিস লাগে না, সাহস লাগে।’
সূত্র: অনলাইন
বন্যায় বিপদ এড়াতে প্রস্তুতি ও করণীয়
টানা বৃষ্টি ও ভারতের উজানের পানিতে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় কবলিত হয়েছে দেশের ১১ জেলা। তলিয়ে গেছে দেশের নিম্নাঞ্চলের অসংখ্য বসতবাড়ি। অসংখ্য মানুষের দিন কাটছে পানির নিচে। বন্যা হচ্ছে আকস্মিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এই দুর্যোগ কিছু অঞ্চলের জন্য প্রতিবছরই অবধারিত। কিন্তু এই বছর বন্যার চিত্র ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দেশের একাংশ তলিয়ে গেছে পানির নিচে। অনাহার আর বিশুদ্ধ পানির অভাবে আঁকড়ে ধরছে রোগবালাইও। বন্যা পরিস্থিতি সবার জন্যই ভীতিকর হলেও এ সময় সবার শান্ত থেকে ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বন্যা পরবর্তী সময়ে নিজেকে ও পরিবারকে বাঁচাতে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
বন্যাকবলিত অঞ্চলগুলোতে কিছু প্রস্তুতির প্রয়োজন হয়। যা স্বাস্থ্য সুরক্ষা আর জীবন বাঁচাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বন্যার সময় এবং বন্যা পরবর্তী সময়ে আমাদের করণীয় কিছু বিষয় নিয়ে জানুন এই আয়োজনে।
বন্যার সময় করণীয়—
বন্যার পানি বাড়িতে প্রবেশ করলেই বাড়ির শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি, গর্ভবতী নারী, প্রতিবন্ধীদের দ্রুত বন্যামুক্ত নিরাপদ স্থানে কিংবা আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে রেখে আসুন।
দলিল, সনদপত্র, লাইসেন্সের মতো প্রয়োজনীয় ও জরুরি কাগজপত্র একাধিক পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে বন্যামুক্ত এলাকায় কোনো আত্মীয়-স্বজন বা পরিচিত ব্যক্তির কাছে রাখতে পারেন। বাড়ির উঁচু স্থানেও এসব কাগজ রাখা নিরাপদ নয়। কারণ, যেকোনো সময় বন্যা বড় আকার বাড়তে পারে। পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
বাড়িতে উঁচু স্থান থাকলে দামি এবং পানিতে নষ্ট হয়ে যাবে এমন প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো সেখানে দ্রুত সরিতে রাখুন। উঁচু স্থান না থাকলে একটি উঁচু মাচা তৈরি করতে পারেন। চাইলে বন্যামুক্ত এলাকায় সরিয়ে নিতে পারেন।
বন্যা মোকাবিলায় সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য ব্যবহার করা। কারণ, বন্যায় অধিকাংশ রোগই পানি ও খাদ্যবাহিত। তাই বিশুদ্ধ পানি পান করা জরুরি। পানি ছেঁকে কমপক্ষে আধাঘণ্টা ফুটিয়ে ঠান্ডা করে পান করুন। এই ব্যবস্থা না থাকলে ফিটকিরি, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট দিয়েও পানি বিশুদ্ধ করা যায়।
এ সময় নোংরা পানি, আবহাওয়া, টানা বৃষ্টির কারণে নানা স্বাস্থ্যসমস্যা দেখা দেয়। সবচেয়ে বেশি দেখা দেয় ডায়রিয়ার প্রকোপ। হাতের কাছে খাবার স্যালাইন রাখুন। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য স্যাভলন ও ব্যান্ডেজ রাখতে পারেন।
বন্যার পানি ধেয়ে আসলে ঘরের সকল বিদ্যুতের সুইচ এবং মেইন সুইচ বন্ধ করে দিন। এতে বিদ্যুৎ ঘটিত সাম্ভাব্য দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে।
দুর্যোগের মধ্যেই রাত কাটাতে হবে। তাই হাতের নাগালে দেশলাই, মোমবাতি, হারিকেন, টর্চ লাইট রাখুন।
বন্যার সময় মনোবল শক্ত রাখুন। নিকটস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যান। নিরাপদে থাকুন। জিনিসপত্রের কথা ভেবে ঘরে থেকে যাবেন না। হঠাৎ পানির স্রোত বাড়লে বিপদে পড়বেন।
বন্যার সময় বীজতলা গেলে নানানভাবে চারা উৎপাদনের ব্যবস্থা জানুন। কলাগাছের ভেলা বানিয়ে সেই ভেলার ওপর কাদামাটির প্রলেপ দিয়ে বীজ ছিটিয়ে দিন। বীজতলায় চারা থাকলে তা মাটিসহ তুলে উঁচু স্থানে নিয়ে যান।
বন্যার শঙ্কা থাকলে গবাদিপশুকে টিকা দিয়ে নিতে হবে। বন্যায় যদি কোনো গবাদিপশুর প্রাণহানি হয়, তবে তাকে পানিতে ভাসিয়ে দেওয়া যাবে না। মাটিতে পুঁতে ফেলুন।
বন্যা পরবর্তী সময়ে করণীয়—
বন্যার চাইতে বন্যা পরবর্তী সময়টাই সবচেয়ে কঠিন সময়। তাই সে সময়ে কর্তৃপক্ষের কথা শুনুন। তারা অনুমতি দিলেই বা নিরাপদ বলার পরেই বাড়ি ফিরবেন।
একটি সারভাইভাল কিট প্যাক করুন। সেখানে কমপক্ষে তিন দিনের জন্য পর্যাপ্ত খাবার ও পানি নিন। প্রত্যেকের জন্য একটি করে পোশাক, প্রয়োজনীয় ওষুধ রাখুন।
জরুরি তথ্যের জন্য রেডিও, স্থানীয় পরিবর্তনকারী সিস্টেম বা সরকারী নির্দেশাবলী শুনুন।
বন্যা পরবর্তী সময়ে বন্যার পানিতে হাঁটবেন না, সাঁতার কাটবেন না বা গাড়ি চালাবেন না। কারণ ৬ ইঞ্চি পানির স্তরেও আপনি নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারেন।
ভেজা বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি থেকে দূরে থাকুন, এতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঝুঁকি আছে।
বাড়িতে ঢোকার আগে দেখে নিন কোনো কাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে কি না।
বৈদ্যুতিক জিনিসপত্র পরিদর্শন করার আগে পাওয়ার চালু করবেন না।
সাপ ও বিভিন্ন প্রাণী আপনার বাড়িতে থাকতে পারে, তাই সতর্ক থাকুন। সম্ভব হলে গ্লাভস ও বুট পরুন।
বন্যা-দূষিত প্রতিটি ঘর পরিষ্কার, জীবাণুমুক্ত ও শুকিয়ে নিন।
আপনার যদি কোনো বীমা থাকে তাহলে নিশ্চিত করুন যে বীমা দাবির নথি হিসেবে ছবি বা ভিডিও আছে কি না।
কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে সহজেই করুন ত্বকের পরিচর্যা
কোনো অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে পার্লারে গিয়ে হাজার হাজার টাকা খরচ করতে পিছপা হন না অধিকাংশই। তবে জানেন কি, ত্বকের হাল ফেরাতে সব সময়ই যে এত টাকা খরচ করার প্রয়োজন পড়ে তা কিন্তু নয়, কারণ আমাদের হাতের কাছে থাকা বেশ কিছু প্রাকৃতিক উপাদানের গুণে ত্বকের হারিয়ে যাওয়া উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনা যায় নিমেষে। আর তাতে খরচ হয় নামমাত্র।
সেই সব উপকারী প্রাকৃতিক উপাদানের তালিকায় একেবারে প্রথম সারিতে রয়েছে কর্নফ্লাওয়ার। এই উপাদানই ক্লিনজারের কাজ করে। ত্বকের যত্নের জন্য এই ময়দা যে খুব উপকারী একটি জিনিস, তা হয়তো অনেকেই জানেন না। নরম, মোলায়েম, পেলব ত্বক পেতে সাহায্য করবে ময়দা। এর গুণে ত্বকের দাগছোপ মলিন হতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে ত্বকে যাতে অতিরিক্ত মাত্রায় তেল নিঃসরণ না হয়, সেদিকেও নজর রাখে। এমনকী প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবেও কর্নফ্লাওয়ারের জুড়ি মেলা ভার। কর্নফ্লাওয়ারের উপস্থিত ভিটামিন বি ত্বকের অন্দরে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসেবে কাজ করে, যা জমে থাকা টক্সিনকে সহজেই বের করে দেয়। কিন্তু কর্নফ্লাওয়ার রুক্ষ-শুষ্ক ত্বকে ব্যবহার না করাই শ্রেয়। তাতে ত্বকের আরও বেশি মাত্রায় ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে তৈলাক্ত ত্বকে ময়দা ব্যবহার করলে হাজারও উপকার মিলবে।
জেনে নিন, সহজেই কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে ত্বকের পরিচর্যা করার নিয়ম—
দুধ কিংবা পানির সঙ্গে কর্নফ্লাওয়ার মিশিয়ে তার মধ্যে দিন সামান্য পাতিলেবুর রস ও মধু। এই মিশ্রণ মিনিট ১৫ ত্বকে লাগিয়ে রাখতে হবে। আলতো হাতে ম্যাসাজ করে নিন। তারপর পরিষ্কার ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে নিলেই হবে। সপ্তাহে তিনদিন এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারবেন। এর মাধ্যমে ত্বকে উজ্জ্বলতা ফিরে পাবেন আপনি। ত্বক থাকবে মোলায়েম। সেই সঙ্গে দূর হবে ত্বকের কালচে দাগছোপও।
টকদই, সামান্য চিনি আর কর্নফ্লাওয়ার মিশিয়ে বাড়িতেই তৈরি করে নিতে পারবেন ফেস স্ক্রাব। এই মিশ্রণ আপনার ত্বক থেকে ডেড স্কিন সেল অর্থাৎ ত্বকের মরা কোষ ঝরিয়ে ফেলতে সাহায্য করবে। এর ফলে ত্বক দেখতে ঝকঝকে লাগবে। চোখের নীচের কালচে দাগও দূর করতে পারবে এই ফেস স্ক্রাব।
ত্বকের জন্য হলুদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপকরণ। কর্নফ্লাওয়ারের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে নেওয়া যাবে। এই ফেসপ্যাক সপ্তাহে দু থেকে তিনদিন ব্যবহার করা যেতে পারে। ত্বকের যাবতীয় অ্যালার্জি, র্যাশ দূর করবে এই ফেসপ্যাক। ব্রণের সমস্যাও কমাবে। ত্বক উজ্জ্বল রাখতেও সাহায্য করবে এই ফেসপ্যাক। গোসলের আগে মিনিট ১০-১৫ এই ফেসপ্যাক লাগিয়ে রাখুন ত্বকে। তারপর পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন মুখ। গলার অংশে, কাঁধেও এই ফেস প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
গ্রিন টি, মধু, কাঁচা ডিম, অ্যালোভেরা জেল- এই চারটি উপকরণ আলাদা আলাদা করে কর্নফ্লাওয়ারের সঙ্গে মিশিয়ে তৈরি করতে পারেন ফেসপ্যাক। এই ফেসপ্যাক সপ্তাহ দু থেকে তিনবার ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের অনেক সমস্যাই দূর হবে। ঝকঝকে, মোলায়েম, উজ্জ্বল ত্বক পাবেন আপনি।