হাত ধুয়েছেন তো
হাত ধোয়া জীবাণুমুক্ত থাকার অন্যতম একটি উপায়। কারণ, আমরা নিজের অজান্তে অনেককিছু ছুঁয়ে ফেলি। দেখা যায় এসব জায়গা থেকে অজান্তেই জীবাণু আমাদের শরীরে প্রবেশ করে।
বাথরুম ব্যবহারের পর এবং খাওয়ার পূর্বে হাত ধুতে হবে। একাধিক ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিস ব্যবহার, হাঁচি কিংবা কাশির পর অবশ্যই হাত ধুতে হবে। এ বিষয়ে পরিবারের ছোটদেরও সচেতন করতে হবে ওদেরও হাত ধোয়ার সঠিক নিয়ম শেখাতে হবে।
হাত ধোয়ার ক্ষেত্রে বাজারে উন্নতমানের যে লিকুইড হ্যান্ডওয়াশ পাওয়া যায় সেটি ব্যবহার করাই উত্তম হবে। পাশাপাশি জেনে রাখতে হবে হাত ধোয়ার নিয়মাবলী।
কখন হাত ধুবেন :
# খাবার তৈরির পূর্বে এবং পরে
# খাওয়ার পূর্বে
# অসুস্থ কারো জন্য কিছু নিয়ে যাওয়ার আগে এবং পরে
# কাটা বা ক্ষতচিহ্নের চিকিৎসার আগে ও পরে
# টয়লেট ব্যবহার করার পর
# বাচ্চার ডায়াপার পরিবর্তন বা মল-মূত্র পরিষ্কারের পর
# হাঁচি বা কাশির পর
# কোনো পশু বা প্রাণীর খাবার, বর্জ্য বা ওই পশু বা প্রাণীকে ছোঁয়ার পর
# পোষা পশু-পাখিকে খাবার দেয়ার বা চিকিৎসা করার পর
# আবর্জনা নাড়াচাড়ার পর
কীভাবে হাত ধুবেন : পরিষ্কার পানিতে (উষ্ণ কিংবা ঠাণ্ডা) আপনার হাত ভিজিয়ে নিন। এবার হাতে সাবান কিংবা লিকুইড হ্যান্ডওয়াশ মাখুন। তারপর দুই হাত ভালো করে ঘষুন। নিশ্চিত হন যে সাবান কিংবা লিকুইডের ফেনা আপনার আঙুলের মধ্যে এবং নখের ভেতরে পৌঁছেছে। এভাবে দুই হাত অন্তত ২০ সেকেন্ড ঘষুন। এবার পানি দিয়ে হাত ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
আরকে/এম
মন্তব্য করুন