• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বাবার অবসর জীবনে সঙ্গী হন

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১২:৪৯

বাবা। একটি মহান বৃক্ষের নাম। আমাদের জীবনে বড় অবদান থাকে এই মানুষটার। এই মানুষটাকে দেখি, চাকরি করছেন আমাদের মানুষের মতো মানুষ করে তুলবার প্রত্যয় নিয়ে। আমরা ছোট থেকে বড় হই। কিন্তু একটি সময় আসে যখন বাবার চাকরির মেয়াদ ফুরিয়ে যায়। বাবা চলে যান অবসরে। আমরা চাকরিজীবনে ঢুকে পড়ি। নিয়ম মেনে অফিস করা মানুষটার যখন আর নিয়মমাফিক অফিসে যাবার তাড়া থাকে না তখন তিনি বেশ একা হয়ে যান।

সময়গুলো তার কাছে নিঃসঙ্গ হয়ে ওঠে। সন্তান হিসেবে বাবার প্রতি আমাদের দায়িত্ব থাকেই। বাবার অবসরে চলে যাবার দিনগুলো থেকেই আমাদের সেই দায়িত্ব পালন করা জরুরী হয়ে পড়ে।

কারণ অনেক দিনের অভ্যস্ততা থেকে হুট করে অবসর জীবন সবাই কিন্তু চাইলেও মেনে নিতে পারেন না। মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই এই সময় বাবার পাশে থাকুন, মানসিকভাবে শক্তি জোগান। যেমন ছায়া হয়ে শক্তি যুগিয়েছিল এই মানুষটা আপনার জীবনে। আজ বাবার এই অবসর জীবনে আপনি হোন ছায়াসাথী।

কিছু বিষয় জেনে রাখুন বাবা যখন অবসরে চলে যাবেন তখন তার প্রতি কিভাবে খেয়াল রাখবেন।

# কর্ম ব্যস্ত থেকে একেবারে বাসায় বসে থাকলে শারীরিক, মানসিক অনেক রোগে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি থাকে। তাই বাবাকে তার সাধ্য আর ইচ্ছা অনুযায়ী কাজে ব্যস্ত থাকার পরামর্শ ও উৎসাহ দিন। বই পড়ার আগ্রহ থাকলে তার জন্য ঘরের কোণে সেলফ বানিয়ে নতুন নতুন বই কিনে দিতে পারেন। কোনো কোনো পাড়ায় বয়স্কদের ক্লাব থাকে, বাবাকে সেখানে যোগ করিয়ে দিন। নিজের বয়সী মানুষদের সঙ্গে চলাফেরা করলে মন ভালো থাকবে।

# অবসর নেয়ার পর অনেকেই হীনম্মন্যতায় ভোগেন যে, এখন সে পরিবারকে অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করতে পারছে না তাই তার গুরুত্ব কমে গেছে বা নাই। এই হীনম্মন্যতা যেন কখনোই গড়ে না ওঠে। সেজন্য বাবা অবসরে যাবার পরও আগের মতোই সকল ক্ষেত্রে তার কথাকে মন দিয়ে শুনলে বা গুরুত্ব দিলে তার মনে হীনম্মন্যতা গড়ে উঠলেও তা দূর হয়ে যাবে। তাকে এটা উপলব্ধি করাতে হবে, সন্তানের কাছে বাবার গুরুত্ব সব সময়ই অনেক এবং একই রকম। তার কর্ম থাকা বা না থাকা এখানে প্রভাব ফেলে না।

# অবসরটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হলেও কর্মব্যস্ত জীবন থেকে একেবারে অবসরে চলে যাওয়াটা অনেকেই মানসিকভাবে মেনে নিতে পারেন না। প্রতিদিনের রোজকার ব্যস্ততাতে অভ্যস্ত মানুষটা তখন নিজেকে সবচেয়ে বেশি নিঃসঙ্গতা ভাবে। তাই পরিবারের সদস্যদের প্রথম কাজ তার মনে এই অনুভূতিটা যেন জন্ম না নেয়। আর এই ভূমিকাটা পালন করতে হবে সন্তানদেরই। সন্তানদের দৈনন্দিন যার যার ব্যস্ততার মাঝে কিছু সময় বাবাকে দেয়া উচিত। তার পাশে বসে তার সঙ্গে গল্প করুন, খবর দেখুন। বাবা দূরে থাকলে প্রতিদিন কয়েকবার তাকে কল দিন, তার খোঁজ নিন।

# যার কষ্টের উপার্জনে পরিবারের সব কিছু ঠিকঠাক মতো চলতো, সেই মানুষটা অবসরে গেলে সন্তানদের উচিত বাবাকে আর্থিকভাবে সমর্থন দেয়া। বাবার কি প্রয়োজন তা জেনে তা পূরণ করা। যে মানুষটা সন্তানের সকল আবদার নির্দ্বিধায় পূরণ করে গিয়েছে সেই মানুষটা সন্তানদের কাছে কিছু চাইতে লজ্জাবোধ করতে পারে।তাই বাবা না চাইলেও প্রতিমাসে কিছু টাকা তার হাতে দিন। নয়তো তার নামে ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন।তাকে বলে দিন, যখন যা প্রয়োজন সেখান থেকে তুলে নিতে।

আরকে/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • লাইফস্টাইল এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh