কোরবানির প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম
ঈদ মানেই আনন্দ। তবে কোরবানির ঈদের কথা আলাদা। এটি আমাদের মাঝে ত্যাগের মহিমা নিয়ে হাজির হয়। পশু কোরবানির মাধ্যমে সে ত্যাগ স্বীকার করে থাকি আমরা। ঈদের দিন পশু জবাই থেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ অনেক ঝামেলাই পোহাতে হয়। তবে পশু কোরবানির রয়েছে অনেক ধাপ। যেমন পশু জবাই, রাখার উপকরণ ঠিক করা, পরিমাপ করা এবং স্থানটিকে পরিচ্ছন্ন করা।
আবার কোরবানি করতে প্রয়োজন হবে ছুরি ও চাপাতি। তেমনি চামড়া ছাড়াতে, মাংস বানাতে প্রয়োজন হবে ছুরি, চাকু, দা, কুড়াল, কাঠের গুঁড়ি। তবে প্রতিটি ছুরি, কুড়াল, চাকু ও দা যাই বলি না কেন সবই আগেভাগে সংগ্রহ করে রাখতে হবে। তা না হলে ঈদের দিন পড়তে হবে ভারি ঝামেলায়। তাই এসব ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকতে হলে কোরবানির প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কিনে ফেলুন এখনই।
চাপাতি
কোরবানির পশু জবাইয়ের কাজে ব্যবহার করা হয় চাপাতি। তবে গরুর চামড়া যদি মোটা হয় তবে চামড়া ছাড়ানোর কাজেও ব্যবহার করা যায়। এটি কিছুটা আকারে বড় তাই বহনের সময় সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। রেডিমেড বা অর্ডার দিয়ে বানিয়ে নেওয়া যায়।
দা
দা দুই ধরনের। একটি সাধারণ অন্যটি রামদা। রামদা কিছুটা চাপাতির কাজ করে। তবে দা মাংস বানানোর কাজে লাগে। এর সাইজ বা আকৃতি বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। এর হাতল কাঠ বা লোহার হতে পারে।
ছুরি-চাকু
পশুর চামড়া ছাড়ানোর জন্য ছুরি-চাকুর প্রয়োজনীয়তা অনেক। তবে চাকু যেন অনেক ধারালো হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। তা ছাড়া হাড় থেকে মাংস ছাড়াতে ছুরি ব্যবহার করা হয়। ছোট থেকে বড় অনেক সাইজের ছুরি-চাকু বাজারে পাওয়া যায়।
কুড়াল
সাধারণত মোটা হাড়গুলোকে পিস করতে এটি ব্যবহার করা হয়। তবে কুড়াল না থাকলে ভারী দা দিয়ে কাজ চালাতে পারেন।
এ ছাড়া বেশকিছু সরঞ্জামের প্রয়োজন হয়। কাঠের গুঁড়ি। সাধারণত মাংস এটির ওপর রেখে কাটতে ব্যবহার করা হয়। আরও লাগে চাটাই, মোটা পলিথিন, দাঁড়িপাল্লা ও দড়ি।
এসব প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আগে থেকেই সংগ্রহ করে রাখতে হয়। না হলে প্রয়োজনের সময় হাতের কাছে পাওয়া যাবে। আর না পাওয়া গেলে স্বাদের ঈদটাই মাটি হয়ে যেতে পারে।
আরকে/এমকে
মন্তব্য করুন