• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

ব্যথার ওষুধ ব্যবহারে সতর্ক থাকুন

লাইফস্টাইল ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ১০ জুলাই ২০১৭, ১৫:০১

ওষুধ আমাদের জীবনধারণের একটি অতি দরকারি উপাদান। সঠিক নির্দেশনা অনুযায়ী ওষুধ ব্যবহার যেমন রোগমুক্তিতে সহায়তা করে তেমনই না জেনে ওষুধ সেবনে আমরা হতে পারি ভয়ানক ক্ষতির সম্মুখীন। এক গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যে তিনভাগের এক ভাগ মানুষ বাজারে প্রচলিত ব্যথানাশক ওষুধ ব্যবহারবিধির পার্থক্য সম্পর্কে জানেন না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকস্থলীতে সহনশীল হওয়ায় ব্যথানাশক হিসেবে প্যারাসিটামল তাদের প্রথম পছন্দ। আমাদের দেশে সাধারণত ব্র্যান্ড নামেই ওষুধ চিনে থাকি এবং ওষুধের দোকান থেকে ব্র্যান্ড নামেই ওষুধ কিনি, কখনো জানতে চাই না ওষুধটির উপাদান, ব্যবহারবিধি, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে। ব্যথানাশক ওষুধের ব্যবহারবিধির পার্থক্য দেখি তাহলে দেখা যাবে;

  • প্যারাসিটামল ব্যথা ও তাপমাত্রা কমায়, অ্যাসপিরিন ব্যথানিরোধক, তাপমাত্রা হ্রাস ও প্রদাহনাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
  • একটি বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি যে, অ্যাসপিরিন ১৬ বছরের নিচে অপ্রাপ্তবয়স্কদের কোনোভাবেই খাওয়ানো যাবে না।
  • আইবুপ্রোফেন অ্যাসপিরিনের মত কাজ করে তবে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কিছুটা কম।
  • ইদানীং বাজারে অধিক কার্যকারিতার জন্য প্যারাসিটামলের সঙ্গে ক্যাফেইন যোগ করে দেয়া হয়। এ জাতীয় প্যারাসিটামল মাত্রাতিরিক্ত বা দীর্ঘদিন ব্যবহারে লিভারের ক্ষতি হয়। কারণ লিভারে ই.কলি নামক ব্যাকটেরিয়া প্যারাসিটামলকে ভেঙ্গে বিষাক্ত উপাদান তৈরি করে যা লিভারের ক্ষতিসাধন করে।
  • অ্যাসপিরিন খুবই জ্বালাময়ী, দীর্ঘদিন ব্যবহারে পাকস্থলীতে রক্তপাত ঘটায় এবং আলসার তৈরি করে।
  • যারা বাতের ব্যথায় আইবুপ্রোফেন, ইনডোমিথাসিন জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করে থাকেন তাদের হ্নদরোগ ও স্ট্রোক এর ঝুঁকি বেড়ে যায়।
  • তাই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে, ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাবেন না। জেনে, বুঝে, সঠিক নিয়মে ওষুধ খান, নিরাপদ থাকুন।

এইচএম

মন্তব্য করুন

daraz
  • লাইফস্টাইল এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh