মনকে সুস্থ ও ফুরফুরে রাখতে করণীয়
শরীরের সুস্থতায় আমরা কত কী করি। কিন্তু মনের সুস্থতায় কজনই বা খেয়াল রাখি। দেহের সুস্থতা যেমন জরুরি মনের সুস্থতা তেমন জরুরি। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে তার প্রভাব পড়বে শরীরের ওপর। শরীরের জন্য আমরা কত ধরনের ওষুধ, থেরাপি, ডাক্তার কত কিছুর শরণাপন্ন হয়ে থাকি। মন সুস্থ রাখতে করণীয়—
মন খুলে কথা বলা
প্রত্যেক মানুষের জীবনে কখনো সুখকর আবার কখনো দুঃখের ঘটনা ঘটবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু মনের ভাব, আবেগ প্রকাশ না করে নিজের মধ্যে চেপে রাখলে তা মানসিক অস্বস্তির সৃষ্টি করে। সুখ, দুঃখ যাই হোক আপনজনের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেওয়ার চেষ্টা করুন। এতে নিজেকে অনেকটা হালকা ও ভারমুক্ত মনে হবে।
পর্যাপ্ত-ভালো ঘুম
মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ঘুম অত্যন্ত বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সুস্থ ও সুন্দর থাকার জন্য ঘুমের বিকল্প নেই। যারা নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমান, তাদের শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকে। ঘুম পর্যাপ্ত না হলে কোনো কাজেই মনোযোগ বসে না। মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও মারাত্মক প্রভাব পাড়ে। তাই সারাদিন কর্মব্যস্ততা থাকলেও ঘুম যেন পর্যাপ্ত হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।
শরীরচর্চা
শরীরচর্চা যেমন শরীরের জন্য উপকারী তেমনি মনের জন্যও উপকারী। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে শরীর সুস্থ ও সতেজের সঙ্গে মনও সুস্থ ও সতেজ মনে হয়। নিয়ম করে সপ্তাহে কয়েক দিন শরীরচর্চা করুন। জিমে গিয়ে ভারী কোনো ব্যায়াম না করতে চাইলে সহজ ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করুন।
মেডিটেশন
মনের সর্বজনীন ব্যায়াম হচ্ছে মেডিটেশন। নিয়মিত মেডিটেশন চর্চায় মনের রাগ, ক্ষোভ, দুঃখ, হতাশা, টেনশন, স্ট্রেস বা মানসিক চাপ দূর হয়। নেতিবাচকতা থেকে ইতিবাচকতায় বদলে যায় দৃষ্টিভঙ্গি। তাই নিয়মিত মেডিটেশন করার অভ্যাস করুন।
ঘোরাঘুরি
রোজ একটি নির্দিষ্ট রুটিনের মধ্যে আমাদের দিন পার হয়। দিনের পর দিন সকাল থেকে রাত একই রুটিনে চলতে থাকলে একঘেয়েমি চলে আসা স্বাভাবিক। আর জীবনে একঘেয়েমি চলে আসলে তা সরাসরি আপনার মনের ওপর প্রভাব ফেলবে। তাই মাঝেমধ্যে স্বাভাবিক রুটিনের বাইরে গিয়ে ঘোরাঘুরি করুন।
স্বাস্থ্যকর খাবার
মন ও শরীর একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। শরীর সুস্থ না থাকলে তার সরাসরি প্রভাব পরে মনের ওপর। সুস্বাস্থ্যের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার বিকল্প নেই। কারণ, আপনার গ্রহণকৃত খাবার থেকেই শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেয়ে থাকে। তাই স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে স্বাভাবিকভাবেই শরীর সুস্থ থাকে।
মন্তব্য করুন