• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

শিশুকে ঈদের মূল্যবোধ শেখান

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৬ জুন ২০১৭, ১৩:১১

ঈদ হচ্ছে মুসলমানদের সবচে’ বড় ধর্মীয় একটি উৎসব। তবে এই ধর্মীয় উৎসবেরও আছে কিছু মূল্যবোধ। নিজেদের পাশাপাশি শিশুদেরও এ মূল্যবোধ শেখানো উচিৎ।

এতে আপনার শিশুটি ছোট থেকেই নিজের মূল্যবোধ সম্পর্কে ধারণা পাবে। তবে এটি শেখাতে গিয়ে শিশুর প্রতি কঠিন হওয়া যাবে না।শিশুর মধ্যে এ মূল্যবোধ তৈরি করতে পারলে দেখবেন শিশুর ঈদ আনন্দ আরো বেড়ে যাবে।

শিশুকে ঈদের মূল্যবোধ শেখাতে তার পরিবারকেই কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে।

সৌহার্দ্য : শিশুকে সৌহার্দ্য ভ্রাতৃত্ব শেখান। তাকে সকলের সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়টি শিখিয়ে দিন। ধর্মীয় উৎসবগুলো শুধু নিজে উদযাপন করতে হবে এমনটা নয়। নিজের আনন্দ অন্যের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার মাঝেও কিন্তু এক ধরনের আনন্দ বিরাজ করে।তাকে সেই আনন্দের সঙ্গে অংশগ্রহণ করতে শেখান।

অপরের সঙ্গে সৌহার্দ্য বজায় রাখতে তাকে শেখান সুন্দর ব্যবহার। উৎসাহিত করুন ভালো কাজ করতে।

দান : ঈদ কিন্তু ধনী গরিব কারো জন্য আলাদা নয়। ঈদের আনন্দ সবাইকে ছুঁয়ে যায়। আপনার আমার শিশুটি ঈদে অনেকের কাছ থেকে ঈদ সালামি পেয়ে থাকে। কিন্তু এমন অনেক শিশু আছে যারা ঈদে নতুন জামা পরারও সুযোগ পায় না। আপনার সন্তানকে শেখাতে পারেন নিজের জিনিস থেকে গরিব শিশুটিকে কিছু দান করতে। তাহলে সেই গরিব শিশুটির ঈদও সুন্দর হতে পারে।

যখন নিজের সন্তানটি ওই গরিব শিশুটির ঈদের আনন্দের অংশীদার হতে পারবে, দেখবেন আপনার শিশুটির ঈদও আনন্দময় হয়ে উঠবে কয়েকগুণে।

তাছাড়া শিশুদের দান করতে উৎসাহিত করলে আপনার শিশুটি ভালো কাজ করতে উৎসাহও পাবে। এছাড়া ভবিষ্যতে তার মধ্যে অন্যের জন্য কিছু করার বিষটি কাজ করবে।

শিশুকে দান করতে উৎসাহিত করতে তার হাত দিয়েই পৌঁছে দিতে পারেন ওই সব শিশুর জন্য উপহার।আপনার সামর্থ্য যেমনই হোক না কেনো সেই অনুযায়ী না হয় অল্প করেই সাহায্য করলেন।

কিন্তু এভাবে আপনি তার মাঝে দয়া, সহানুভূতির বীজ বপন করতে পারেন। একই সঙ্গে যোগ করতে পারেন কৃতজ্ঞতা। আমাদের শিশুদের মধ্যে দিন দিন কৃতজ্ঞতাবোধ কমে যাচ্ছে।

আপনার সন্তান যখন অপরের দুরবস্থা নিজ চোখে দেখবে তখন তার মধ্যে এই বোধ তৈরি হবে যে অন্যেরা তার চে’ খারাপ আছে এবং নিজের অবস্থার জন্য তার খুশি হওয়া উচিৎ।

নিঃস্বার্থ সেবা : শিশুকে উৎসাহিত করুন নিঃস্বার্থ সেবা দানে। মসজিদে গেলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে খেয়াল রাখা, অন্যরা যে কাজ করলে বিরক্ত হন সে রকম কাজ থেকে বিরত থাকা এ ধরনের কাজগুলো তাকে শেখাতে হবে।

আপাতদৃষ্টিতে এটি ধর্মীয় শিক্ষা মনে হলেও শুধু নিজ ধর্মচর্চার ক্ষেত্রে নয় এর প্রভাব পড়বে তার সামাজিক জীবনেও।

শিশু শিখবে কিভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হয়, নিজের কাজ নিজেই করতে হয় এবং অন্যের কাজে বাধা দেয়া অনুচিত।

সামাজিক মূল্যবোধ একটি শিশুর বিকাশে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি সেগুলো তার ভেতরে জাগ্রত করতে পারি তাহলেই পরবর্তী প্রজন্ম সুন্দর একটি সমাজ তৈরি করতে নিজের ভূমিকা রাখবে।

এতে করে আমাদের মাঝে সুন্দর একটি পরিবেশ তৈরি হবে।

আরকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • লাইফস্টাইল এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh