• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

যেসব লক্ষণে বুঝবেন গর্ভে যমজ সন্তান

আরটিভি নিউজ

  ১৩ মে ২০২২, ০৯:৫০
যেসব লক্ষণে বুঝবেন গর্ভে যমজ সন্তান
ছবি : সংগৃহীত

অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার সঙ্গে শরীরে নানা রকম পরিবর্তন আসে। বহু হরমোনের ক্ষরণ শুরু হয়। গর্ভে যমজ সন্তান রয়েছে কি না, তা পাকাপাকি ভাবে জানার একমাত্র উপায় আলট্রাসাউন্ড স্ক্যান। কিন্তু অনেকেই মনে করেন, কিছু লক্ষণ দেখলে আগাম বুঝা যায়, গর্ভে একাধিক ভ্রূণ রয়েছে কি না। সে লক্ষণগুলো কী, জেনে নিন—

ক্লান্তি
অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অন্যতম লক্ষণ ক্লান্তি। অনেকেই প্রথম মাসে এই ধরনের ক্লান্তি অনুভব করেন। ঘন ঘন প্রস্রাব পাওয়ার রাতের টানা ঘুম হয় না। তাই শরীরও পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম পায় না। যাঁদের এই ক্লান্তি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়, তাঁদের সম্ভাবনা থেকে যায় যমজ সন্তানের। তবে কেউ খুব বেশি ক্লান্ত মানেই যে গর্ভে যমজ সন্তান, এমনটার কোনও নিশ্চয়তা নেই।

বমির প্রবণতা
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় নানা রকম হরমোনের ক্ষরণ শুরু হয়। তাতেই অনেকের বমি ভাব বা বমির প্রবণতা শুরু হয়। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার চার সপ্তাহ পর থেকেই এই লক্ষণ দেখা দেয়। অনেক সময়ে ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার আগেই এমন অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। এই সমস্যা দিনের যে কোনও সময়ে হতে পারে। যাঁদের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ১৪ সপ্তাহ পর্যন্ত এই সমস্যা থেকে যায়, তাঁদের গর্ভে একাধিক ভ্রূণ থাকতে পারে।

দ্বিতীয় হৃদস্পন্দন
৮ থেকে ১০ সপ্তাহের মাথায় সন্তানের হৃদস্পন্দন শোনা যায়। যদি আপনার চিকিৎসক মনে করেন, দ্বিতীয় কোনও হৃদস্পন্দন শোনা যাচ্ছে, তবে তা যমজ সন্তানের ইঙ্গিত হতে পারে। নিশ্চিত হওয়ার জন্য বেশির ভাগ চিকিৎসক আলট্রাসাউন্ড স্ক্যান করতে বলবেন।

উচ্চ এইচসিজি
এইচসিজি বা হিউম্যান কোরিওনিক গোনাডোট্রপিন নামের হরমোনের ক্ষরণ শুরু হয় অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায়। প্রেগন্যান্সি কিটে এই হরমোন ধরা পড়ে প্রস্রাবে। তবে রক্তে কতটা এইচসিজি রয়েছে, তা নির্ধারণ করতে পারে না এই পরীক্ষাগুলো। রক্ত পরীক্ষা করালে অবশ্য তা বোঝা যায়। ২০১৮ সালে করা এক সমীক্ষা বলছে, যাঁদের যমজ সন্তান ছিল গর্ভে, তাঁদের রক্তে এইচসিজি-র পরিমাণে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটা বেশি ছিল।

ওজন অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া
অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার প্রথম ১২ সপ্তাহ তেমন ওজন বাড়ে না। মোটামুটি ২ কেজি অবধি বাড়তে পারে। তবে যাঁদের যমজ সন্তান হয়েছে, তাঁরা অনেকে জানিয়েছেন, প্রথম ১২ সপ্তাহেই তাঁদের তুলনামূলক ভাবে বেশি ওজন বেড়েছিল।

স্ফীত পেট
মোটামুটি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ২০ সপ্তাহ পরই কারও স্ফীত পেট দেখে বোঝা সম্ভব যে তিনি মা হতে চলেছেন। কিন্তু অনেকে যাঁরা যমজ সন্তানধারণ করেছেন, তাঁরা জানিয়েছেন, ২০ সপ্তাহের আগেই নাকি তাঁদের পেট স্ফীত হওয়া শুরু করেছিল। তবে বলে রাখা ভালো, কারও পেট ঠিক কোন সময়ে স্ফীত হবে, তা একেক জনের ক্ষেত্রে আলাদা হতেই পারে।

মন্তব্য করুন

daraz
  • লাইফস্টাইল এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
এগারো বছর পর জন্ম নেওয়া যমজ সন্তানকে হত্যা করল ইসরায়েল
মায়ের বিরুদ্ধে যমজ সন্তানকে ‘চুবিয়ে’ মারার অভিযোগ
X
Fresh