• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

লকডাউন : জার্মানিতে কিভাবে রোজা রাখছেন মুসলিমরা?

লাইফস্টাইল ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

  ২৩ এপ্রিল ২০২১, ১৪:৩১
লকডাউন : জার্মানিতে কিভাবে রোজা রাখছেন মুসলিমরা?
লকডাউন : জার্মানিতে কিভাবে রোজা রাখছেন মুসলিমরা?

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের মধ্যেই আরও একটি রমজান। করোনা সংক্রমণের জন্য পুরো বিশ্ব এখন বিপর্যস্ত। বিশ্বের অনেক দেশ ও অঞ্চলেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। এদিকে রোজা এসেছে। বিশ্ব মুসলিমবাসীর জন্য এ মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেসব দেশে লকডাউন চলছে সেসব দেশে মুসলিমরা কিভাবে রমজান পালন করছে- এ প্রশ্ন মনের মধ্যে জেগে উঠা স্বাভাবিক। জার্মানির জনসংখ্যার ৬ শতাংশ মানুষ মুসলমান। তারা লকডাউনে কিভাবে রমজান পালন করছে?

বুধবার (২১ এপ্রিল) জার্মানভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ডয়চে ভেলে এ বিষয়ে ছবিঘরে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এবার পাঠকদের জন্য সেখান থেকে কিছু অংশ তুলে ধরা হলো-

জার্মানিদের রোজা সম্পর্কে ধারণা : দেশটির এক মুসলিম শিক্ষার্থী বলেন, আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীই রোজা বা রমজান মাস সম্পর্কে কিছু জানে না। তাই তাদের অনেকেই মাঝে মধ্যে প্রশ্ন করে যে, পানিও খাও না। এটা ক্ষতি করে না স্বাস্থ্যের? তোমার মা-বাবা কী এসব করার জন্য বাধ্য করে তোমাকে?

লকডাউনে ঘরবন্দী থাকার সুবিধা : জার্মানির পিউ রিসার্চের ২০১৬ সালের এক প্রতিবেদন বলছে, দেশটির মোট জনসংখ্যা ৬ শতাংশ মুসলিম ধর্মাবলম্বীর। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ভিসবাডেনের ছাত্র হুমা সুবিধার বিষয়ে বলেন, সারাদিন পরিবারের সঙ্গে থাকায় রোজা রাখতে তার ভালো লাগছে। সবার সঙ্গে ঘরে উপবাস থাকা আরামদায়ক।

স্কুল-পড়ুয়াদের অসুবিধা : মিউনিখের ১৬ বছর বয়সী স্কুলছাত্র এমিনের প্রতিদিন মাস্ক পরে স্কুলে যেতে হয়। সারাদিন মাস্ক পরে থাকতে হয় বলে তার রোজার কষ্ট বেড়ে গেছে। তার ভাষ্যমতে, মাস্ক পরলে এমনিই অস্বস্তি লাগে, আবার এই অবস্থায় রোজা মোটেও স্বস্তিদায়ক নয়।

কম্পিউটারে কষ্ট : পরিবারের সঙ্গে যারা একত্রে রোজা রাখছেন তাদের জন্য আরামদায়ক হলেও অনেকের অসুবিধা হচ্ছে। এ বিষয়ে ১৯ বছর বয়সী হুমা উল্লাহ বলেন, লেখাপড়া বা জুম কনফারেন্স কিংবা অ্যাসাইনমেন্টের জন্য দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারের সামনে বসে থাকা অনেক ক্লান্তিকর। একপর্যায় মনে হয় পানি কিংবা অন্য কিছু খেয়ে নিজেকে একটু চাঙা করা প্রয়োজন।

ইফতারে বিধিনিষেধ : লকডাউনের জন্য জার্মানিতে এক পরিবার অন্য পরিবারের সর্বোচ্চ পাঁচজনের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পায়। এতে অন্যান্যবারের মতো এবার একসঙ্গে ইফতারের সুযোগ নেই। তাই বিধিনিষেধের ইফতারে এবার পরিপূর্ণ মজা পাচ্ছে না।

নামাজেও কড়াকড়ি : করোনা রোধে সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একারণে নামাজের ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি থাকছে। দেশটির নর্থ রাইন ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যের মসজিদে নামাজ পড়ার জন্য জায়নামাজ নিয়ে যেতে হয় মুসল্লিদের। এছাড়া নামাজের আগে নাম লেখিয়ে নিতে হয়। শারীরিক দূরত্ব হিসেবে ২ মিটার দূরত্ব বজায় রাখাও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

সূত্র : ডয়চে ভেলে

এসআর/

মন্তব্য করুন

daraz
  • লাইফস্টাইল এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রক্তদানে কি রোজা নষ্ট হয়? 
রমজানে জাল টাকা প্রতিরোধে নতুন নির্দেশনা
আরটিভিতে আজ যা দেখবেন
মুখরোচক খাবারই নিরব ঘাতক, হতে পারে মরণব্যাধিও (ভিডিও)
X
Fresh