সন্তান প্রতিবন্ধী কিনা বুঝবেন কিভাবে, কী তার চিকিৎসা?
মাটিতে পা রাখা মাত্রই লাফিয়ে চলছে চার কি পাঁচ বছরের বাচ্চা। ওর ভাব দেখে মনে হচ্ছে যেন কাঁটা ফুটছে পায়। এমন হলেই যে সন্তান প্রতিবন্ধী তা কিন্তু নয়। এমনটাও হতে পারে তার ত্বকে স্পর্শকাতরতা রয়েছে। অনেক অভিভাবকই বুঝতে পারেন না সন্তান আসলে প্রতিবন্ধী হচ্ছে, নাকি সুস্থ-স্বাভাবিক আছেন। যে কারণে অভিভাবকরা সঠিক সময়ে সন্তানকে বিশেষজ্ঞদের কাছে নিয়ে যেতে পারেন না বা স্বাভাবিক থাকার পরও বিশেষজ্ঞের দ্বারে ভিড় জমান।
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ থেকে মনোবিদ, অকুপেশনাল থেরাপিস্ট থেকে স্পিচ থেরাপিস্টরা নিজ নিজ জায়গা থেকে পরামর্শ দিয়ে থাকেন যে, সন্তান জন্মের পর তার চলাফেরা ও আচার ব্যবহারে দৃষ্টি রাখতে হবে। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের কাছে নিয়ে যেতে হবে। শুরুর দিকে প্রথম কয়েক বছর একটু সচেতন ও সতর্ক থাকলে বাকি জীবন এ নিয়ে ভুগতে হয় না। তবে যাদের সন্তান প্রতিবন্ধী হয় তাদের অনেক ভুগতে হয়। বিভিন্ন থেরাপিস্ট বা অটিজম সেন্টারে সময় কাটাতে হয়।
আজকাল অধিকাংশ বাবা-মা জানেন প্রতিবন্ধী থেকে নিরাময়ের এখনো কোনো উপায় বের হয়নি। তবে তার অর্থ এই নয় আপনাকে হতাশ হয়ে বসে থাকতে হবে। শিশুর চলাফেরা ও আচরণে নজর রাখা উচিত। সাধারণত ২ মাস থেকে শুরু করে শিশু চারপাশের মানুষদের দেখার পর প্রতিক্রিয়া জানায়। মা-বাবা বা আশেপাশের পরিচিতজনদের সঙ্গে চোখে চোখ মেলানো বা না মেলানো বিষয়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য সুস্থ-স্বাভাবিক শিশুর সঙ্গে আপনার সন্তানের মিল-অমিল খোঁজার চেষ্টা করুন। তবে সব শিশুর যে একরকম সমস্যা থাকবে তা কিন্তু নয়। শিশুর মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু বুঝতে পারা মাত্র অভিভাবকের উচিত থেরাপিস্টের সঙ্গে আলোচনা করা। অনেক ক্ষেত্রে থেরাপিস্টের দ্বারা অনেক বিষয় থেকে মুক্তি পাওয়া যায় কিংবা বড় বড় সমস্যা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
এমন সন্তানের সঙ্গে শুরু থেকে ভালো ব্যবহার করতে হবে। বিশেষ করে পাঁচ বছর থেকে পরবর্তী সময়ে বেড়ে উঠার সময়। সে যখন দেখবে কেউ তার সঙ্গে মিশছে না, খেলাধুলা করছে না তখন তার ভেতরে খুব খারাপ লাগার পরও সে হয়তো কাউকে বুঝাতে পারবে না। সন্তানের চাওয়া-পাওয়ার দিকে পরিবারের সকল সদস্যকে খেয়াল রাখতে হবে। আবার এমনও হতে পারে তার মধ্যে বিশেষ কোনো গুণ রয়েছে। এমনটা হলে তাকে সে দিকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে এবং তাকে তার মতো উৎসাহ দিতে হবে।
সূত্র : ইন্ডিয়া টাইমস
এসআর/
মন্তব্য করুন