শ্বশুরবাড়ি নিজেকে মানিয়ে নেয়ার সহজ উপায়, সম্পর্ক হবে মধুর!
প্রেম করে নিজ পছন্দে বা পারিবারিকভাবে আয়োজন করে যেভাবেই বিয়ে হোক। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে নিজেকে মানিয়ে নিতে কম-বেশি সকলেরই একটু সময় লাগে। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে এটা কষ্টসাধ্য। চেনা কিংবা অচেনা মানুষকে স্বামী হিসেবে পাওয়ার পর সম্পূর্ণ অপরিচিত একটি পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিতে হয়। শ্বশুরবাড়ি গিয়ে একটু হেরফের হলে কখনো কখনো কোনো কোনো পরিবার ছেলের বউকে কটু কথাও বলে থাকে (সব পরিবার এক নয়)। এমন পরিস্থিতিতে নারীরা চাইলে সামান্য কিছু পন্থা অবলম্বন করে নিজেকে খুব সহজেই মানিয়ে নিতে পারেন শ্বশুরবাড়ি।
-
আরও পড়ুন... শবে বরাতের সরকারি ছুটি পরিবর্তন
বিয়ের পর নতুন পরিবেশে সময় বের করা নিয়েই চিন্তায় পড়ে যান নতুন বউ। চাকরিজীবী হলে আরও সমস্যা। অফিস, নিজের কাজ ও সংসার সামলানো কম কথা নয়। আবার নতুন জীবনে সঙ্গিনীকে জানতে-বুঝতে একটু সময় দেয়া দরকার। তাই শত ব্যস্ততা থেকেই একটু সময় বের করুন এবং সময়ের সঠিক ব্যবহার করুন।
একে অপরের বন্ধুদের সঙ্গে পারিবারিকভাবে সময় কাটান। এক্ষেত্রে কখনো বাধা সৃষ্টি করবেন না। এমনকি কোনো অভ্যাস পরিবর্তনেরও চেষ্টা করবেন না। বরং সময় থাকলে শ্বশুরবাড়ির পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাইরে থেকে ঘুরে আসবেন। সবার সঙ্গে এতে সম্পর্ক দৃঢ় হবে।
-
আরও পড়ুন... হিমালয়কন্যায় যেভাবে যাওয়া যাবে
বিয়ের পর অনেক পরিবারেই অশান্তির সৃষ্টি হয়। এই অশান্তি এড়াতে কেউ কেউ পরিবার থেকে আলাদা থাকেন। কিন্তু প্রতিটি পরিবার থেকেই আশায় থাকে ছেলে ও ছেলের বউকে নিয়ে একসঙ্গে থাকবেন। তাই ছেলে বা ছেলের বউকে কখনো পরিবার থেকে আলাদা থাকা উচিত নয়। একসঙ্গে থেকে শ্বশুরবাড়ির পছন্দের রান্না করে তাদের খাওয়ান। তারা আপনার প্রশংসা করবে। আপনিও তাদের প্রশংসা করুন।
একে অপরের কাজে সহায়তা করুন। এ কাজ ছেলেদের বা মেয়েদের এসব বলে ভেদাভেদ সৃষ্টি করবেন না। বরং একে অপরের সঙ্গে কাজ ভাগাভাগি করার মাধ্যমে পরস্পর ভালোবাসা বাড়বে। সম্পর্ক আরও গভীর হবে। এছাড়াও পরিবারের যেকোনো অনুষ্ঠানে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে অংশগ্রহণ করুন। স্বামীর বাবা-মাকে নিজের বাবা-মা’র মতো ভাবতে শিখুন। দেখবেন সবই সহজ ও সবার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হবে। তবে এসব শুধু নারীদের ক্ষেত্রে নয়। পুরুষদেরও উচিত পরস্পর সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ থেকে সম্পর্ক গভীর রাখার জন্য হাত বাড়িয়ে দেয়া।
এসআর/
মন্তব্য করুন