• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

হিমালয়কন্যায় যেভাবে যাওয়া যাবে

আরটিভি নিউজ

  ২৩ মার্চ ২০২১, ১৩:৫৮
How to go to the Himalayas
হিমালয়কন্যা নেপাল

হিমালয়কন্যা! নামটা শুনে চলে যেতে ইচ্ছে করে সবার। নেপালকে বলা হয় হিমালয়কন্যা। এমন প্রশ্নের উত্তর আমাদের সবার কম-বেশি জানা আছে। তবে বাংলাদেশিরা সেখানে যাওয়ার জন্য কোনও ধরনের ভিসার প্রয়োজন হয় না সেটাই বা কম কিসের। আর এই জক্কি-জামেলা ছাড়া যদি কম খরছে কোনও ধরনের ভিসা ছাড়া ঘুরে আসা যায়, তাহলে ব্যাপারটা মন্দ না। আর বাসে চড়েও সড়কপথে কম খরচে নেপাল ঘুরে আসা সম্ভব। শুধু প্রয়োজন ভারতের টানজিট ভিসা। চাইলে প্লেনেও চলে যাওয়া নেপালে।

যারা ভ্রমণ করেন তারা সবসময় খোঁজ রাখেন কীভাবে কম খরচে ঘুরে আসা যায়। হিমালয়কন্যার সৌন্দর্য ও আবহাওয়া কীভাবে উপভোগ করা যায়।

হিমালয়েরকন্যা দেখতে বাসে যাওয়ার উপায়:

সড়কপথে নেপাল যেতে ভারতের ট্রানজিট ভিসা নিতে হবে। এতে এন্ট্রি এবং এক্সিট পোর্ট দেবে চ্যাংড়াবান্ধা/ রাণীগঞ্জ। এরপর নেপালে পৌঁছালেই মিলবে অন অ্যারাইভাল ভিসা। এ স্টিকার ভিসা মিলবে এন্ট্রি পোর্টেই। বাসে প্রথমে বুড়িমারি বর্ডারে চলে যেতে হবে সরাসরি। সেখানে ইমিগ্রেশনের যাবতীয় কাজ শেষ করে প্রবেশ করবেন চ্যাংড়াবান্ধায়। সেখানে কাজ শেষে যেতে হবে রাণীগঞ্জ বর্ডারে। এরপর সেখান থেকে যেতে হবে নেপালের কাঁকড়ভিটায়। শিলিগুড়ি থেকেও বাসে সরাসরি চলে যেতে পারেন কাঁকড়ভিটা। ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করে কাঁকড়ভিটা থেকে পাবেন পোখারার বাস। জনপ্রতি ১ হাজার ৫০০ রুপির মতো পড়বে খরচ। সময় লাগবে ১২ ঘণ্টার বেশি।

এ ছাড়াও শ্যামলী ট্রাভেলসের বাস এখন ঢাকা থেকে বাংলাবান্ধা, ফুলবাড়ি, শিলিগুড়ি পার হয়ে ভারতের কাকরভিটা সীমান্ত দিয়ে সরাসরি নেপালের কাঠমন্ডু যায়। এভাবেও যেতে পারবেন।

নেপালে দেখার জন্য আরও রয়েছে, মাউন্ট এভারেস্ট, শত বছরের পুরনো মন্দির, আকাশচুম্বী পর্বতমালা, জলপ্রপাত, বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি। অন্নপূর্না কিংবা এভারেস্ট জয়ের জন্য সারা বছরই ভ্রমণকারীরা ভিড় করেন। আবার আপনি যদি একা একা নিজেকে সময় দিতে চান তাহলেও নেপাল অন্যতম।

পর্যটকেরাও সাধারণেত পাহাড়ি কন্যার দেশে হিমালয়ের পাশ থেকে সূর্যোদয় কিংবা সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখতে যান। অন্নপূর্না পর্বতের শুভ্র চূড়া দেখতেও কেউ কেউ ভিড় করেন সেখানে। প্রত্যেক বছর হাজারো পর্যটক ভ্রমণ করেন নেপালে। এ ছাড়াও কাঠমান্ডু, পাটান কিংবা ভক্তের মতো মধ্যযুগীয় শহরে ঘুরে বেড়াতেও পছন্দ করেন অনেকে। এ দেশের থামেল এবং পোখারার ট্রেকিংয়ের দোকান, বেকারি কিংবা অন্যান্য দোকানে ঘুরতে ঘুরতে মনে হতে পারে আপনি ডিজনিল্যান্ডে আছেন।

অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাস এখানে ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে ভালো সময়। আকাশ পরিষ্কার থাকে, হিমালয়ও তার অপূর্ব সৌন্দর্য তুলে ধরে।

দর্শনীয় স্থানসমূহ

নেপালের মূল আকর্ষণ কাঠমান্ডু, নাগরকোট, পোখারা। কাঠমান্ডু নেপালের রাজধানী, একই সঙ্গে নেপাল ভ্রমণের গেটওয়ে। কাঠমান্ডুতে দেখতে পারবেন বসন্তপুর দরবার স্কয়ার, শম্ভুনাথ মন্দির, পাঠান দরবার স্কয়ার, ভক্তপুর দরবার স্কয়ার, বুদ্ধনাথ মন্দির ইত্যাদি।

খরচ:

নেপালে খাবার খরচ কম। তাই থাকা-খাওয়া ও বেড়ানোর খরচ মিলিয়ে কমের মধ্যে হয়ে যাবে। জনপ্রতি ৩০-৪০ হাজার টাকার মধ্যে খুব ভালোভাবে এসব দর্শনীয় স্থান ঘুরে আসতে পারেন।

কোথায় থাকবেন?

থাকতে হলে থামেলের চেয়ে উপযুক্ত স্থান আর দ্বিতীয়টি নেই। কারণ পুরো থামেলের গলি ঘুপচিতে অসংখ্য হোটেল/ ব্যাকপ্যাকার হোস্টেল রয়েছে। ১০০০ থেকে ১৮০০ রুপির মধ্যে ভাল ডাবল রুমের বাজেট হোটেল এখানে পাওয়া সম্ভব। ৪০০ রুপিতে সিঙ্গেল রুমের হোটেল ও এখানে আছে।

খাবারের ব্যবস্থা কোথায়?

নেপালের লোকাল খাবার হিসেবে তারা ভাতের থালিকেই প্রাধান্য দেয়। তাই কাঠমান্ডুর যেখানেই যাওয়া হোক না কেন ভাত না খেয়ে থাকা অসম্ভব। ভাতের সঙ্গে ডাল, মাছ, মুরগি, সালাদ, রায়তা, শাক ও পাঁপড় থালিতে থাকে।

কেনাকাটা

থামেল হলো কাঠমান্ডু থেকে কেনাকাটা করবার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান। কারণ এখানে এতো বেশি দোকান ও তার মনোহর সামগ্রী যে তা কাঠমান্ডুর অন্য কোথাও দেখতে পাওয়া যায় না।

এই হিমালয়কে দেখার জন্য অবশ্যই আপনাকে সময় নিয়ে বের হতে হবে। তা না হলে নেপালের মনোরম ঘুরে শেষ করা যাবে না।

এমআই

মন্তব্য করুন

daraz
  • লাইফস্টাইল এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ছবি তুলতে গিয়ে আগ্নেয়গিরিতে পড়ে পর্যটকের মৃত্যু
বাংলাদেশ-নেপালের বিদ্যমান বাণিজ্য সম্পর্কে সন্তুষ্টি সচিবদের
পর্যটকদের মারধর, এএসপি বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন
সীতাকুণ্ডের ঝরনায় পর্যটকের মৃত্যু
X
Fresh