দুধ পানে যেসব উপকার, কিন্তু ঠাণ্ডা না গরম দুধে?
আধুনিক এই জীবনে সঠিকভাবে খাওয়া-দাওয়া করা হয় না মানুষের। বিপরীতে ক্রমশ ফাস্টফুড ও জাঙ্কফুড খাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে মানুষের। ব্যস্ততম জীবনে সঠিক সময়ে খাওয়া হচ্ছে না, আবার যা খাওয়া হচ্ছে তা স্বাস্থ্যকর নয়। ফলে স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। অনেকে তো শরীর ঠিক রাখতে নিয়মিত দুধ পান করেন। কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য গরম দুধ উপকারী না ঠাণ্ডা দুধ তা অনেকেরই অজানা। এবার তাহলে স্বাস্থ্যের জন্য কোন দুধ উপকারী তা জেনে নেয়া যাক-
শরীরের জন্য দুধ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। নিয়মিত দুধ খাওয়ার ফলে শরীরে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ভিটামিন-ডি এর চাহিদা পূরণে সহায়তা করে। স্লিপ অ্যাপনিয়া থাকলে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধ পান করা খুবই উপকারী। দুধে উপস্থিত ট্রিপটোফান নামক অ্যামিনো অ্যাসিড যা সেরোটোনিন এবং মেলাটোনিন নামক রাসায়নিক উপাদান তৈরি করে। ফলে ঘুম আরও ভালো হয়।
গরম দুধ পানের ফলে সহজেই হজম হয়। তবে যাদের ল্যাকটোজ হজমে সমস্যা রয়েছে তাদের ঠাণ্ডা দুধ পান করার ফলে সমস্যা হতে পারে। কেননা, ঠাণ্ডা দুধ পানের ফলে শরীরে পানির অভাব পূরণ হয়। এছাড়াও জ্বর-সর্দি-কাশির মতো সমস্যা থাকলেও ঠাণ্ডা দুধ এড়িয়ে চলা উচিত। ঠাণ্ডা দুধ পানের ফলে পানির শূন্যতা পূরণ হয়। তবে ঠাণ্ডাজনিত কোনও সমস্যা থাকলে কখনোই ঠাণ্ডা দুধ পান করবেন না।
অ্যাসিডজনিত সমস্যায় অনেকে আজকাল ভুগে থাকেন। এক্ষেত্রে খাওয়ার পর হাফ গ্লাস ঠাণ্ডা দুধ পান করার ফলে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে অম্লতাজনিত জ্বালা থেকেও মুক্তি দিতে সহায়তা করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে খুব বেশি গরম দুধ পান করা উচিত নয়। তাই বলে ফ্রিজে থাকা ঠাণ্ডা দুধ পান করবেন না। স্বাস্থ্য উপকার পেতে প্রয়োজনে দুধ হালকা গরম করে পান করুন। ফ্রিজ থেকে বের করেই সরাসরি ঠাণ্ডা দুধ পান করবেন না।
সূত্র : পিঙ্কভিলা ও এনডিটিভি
এসআর/
মন্তব্য করুন