• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

৬ গুণে সৎ মা হয়ে যাবে সন্তানের আপন মা

লাইফস্টাইল ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

  ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৮:৩২
ফাইল ছবি

রূপকথা, গল্প, নাটক কিংবা সিনেমায় বারবার এটাই স্পষ্ট দেখানো হয় যে, ‘সৎ মা’ মানেই খারাপ। নিজ সন্তান ছাড়া অন্য সন্তানদের একদমই পছন্দ করেন না সৎ মা কিংবা বাবা। সেসব সন্তানদের ক্ষতি নিয়েই সবসময় ব্যস্ত থাকেন সৎ মা বা বাবা। এছাড়াও বুঝানো হয় বাবার সকল সম্পত্তি সৎ মায়ের সন্তানরাই পাবেন। বাকিদের জীবন অনিশ্চয়তায়।

সাধারণত সমাজে ‘মা’ শব্দের আগে ‘সৎ’ শব্দটি জুড়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু সমাজ ভুলে যায় যে, সন্তানের ভালো-মন্দ দেখার দায়িত্ব তার মা-বাবার। কোনো মানুষই কখনো খারাপ হয় না। এছাড়া কেউ যে খারাপ হবে বা খারাপ কিছু করবে তা ভেবে নেয়াও ঠিক নয়। হতে পারে সেই মানুষটা প্রকৃত অর্থে ভালো কিন্তু আপনি তাকে সবসময় খারাপ ভেবে তার সঙ্গে মিশেন না। তবে সম্পর্ক গভীর হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। তবেই ‘মা’ তার ‘মা’-এর মতো আচার ব্যবহার করবে।

* সন্তান ছোট অবস্থায় কখনও তাকে অবহেলা করবেন না। এই সময়টা মানুষের জীবনে দ্বিতীয়বার ফিরে আসে না। এছাড়া ছোটবেলাতেই সন্তানের সঙ্গে বাবা-মা’র সম্পর্ক গভীর হয়। একজন মা বা বাবা হিসেবে আপনি সবসময় সন্তানের সঙ্গে সেই দায়িত্ব পালন করুন। তাকে খাওয়ানো, ঘুম পাড়িয়ে দেয়া, পড়াতে বসানো, স্কুলে নেয়া ইত্যাদি।

* সন্তান কেমন খাবার পছন্দ করে, কী গান শুনতে চায়, তার ভালো লাগা-মন্দ লাগাকে গুরুত্ব দিন। এতে করে সন্তানের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর হবে। তার কাছে কখনোই মনে হবে না আপনি তার ‘সৎ’ বাবা কিংবা মা।

* সন্তানকে দিয়ে কখনো জোর করে কোনো কিছু করাবেন না। ধীরে ধীরে তার বন্ধু হয়ে ওঠার চেষ্টা করুন। তবে এটা ঠিক যে, কোনো সন্তানই তার নিজের মা ব্যতীত অন্য কাউকে মা হিসেবে মেনে নিতে পারেন না। তার মধ্যে বিভিন্ন মানসিক পরিবর্তন চলতে থাকে। তাই বলে সন্তানের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা যাবে না।

* সন্তান বেড়ে উঠার ক্ষেত্রে পরিবেশ, শিক্ষা, খেলাধুলা ও বিনোদনের প্রয়োজন রয়েছে। তাই সন্তানের বিকাশ ঘটাতে তাকে পিতা-মাতা হিসেবে আপনার করনীয়টুকু পালন করুন।

* সন্তান ধীরে ধীরে বেড়ে উঠার সময় বা তার মানসিক বোধ শক্তি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে বুঝাতে থাকেন যে আপনি তার আপন মা বা বাবা নন। তবে প্রথম দিনই তাকে সব বলবেন না। তোর প্রতিক্রিয়া জানুন। সেভাবে কথা সামনের দিকে এগিয়ে নিন। সে যদি আপনাকেই তার আপন বাবা বা মা হিসেবে বিশ্বাস করে তাহলে তার সঙ্গে দ্বিতীয়বার এ নিয়ে কথা বলবেন না। তাহলে সে খুব আঘাত পাবে। সন্তান যদি কখনো বাজে কোনো মন্তব্য করে তাহলে তাকে বুঝান। যেন সে আপনার আড়ালেও কখনো এরকম মন্তব্য না করে।

* সর্বশেষ মনে রাখবেন যে, অন্যের সন্তানকে কখনো নিজের সন্তানের সঙ্গে তুলনা করবেন। নিজের সন্তানকেও না। আচার-ব্যবহারে কখনো অন্যের সন্তানকে অন্যের বলে উল্লেখ করবেন না। যাতে তার কাছে মনে না হয় যে, আপনি তার আপন মা বা বাবা নন। সহানুভূতিশীল হয়ে উঠুন। দেখবেন সন্তানের কাছে কখনোই মনে হবে না আপনি তার সৎ মা। সে সবসময় ভাববে মা মানেই মা, বাবা মানেই বাবা।

এসআর/ এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • লাইফস্টাইল এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
আ.লীগের এমপি-মন্ত্রীর সন্তান-স্বজনদের উপজেলা নির্বাচন করতে মানা
নিখোঁজের ২০ বছর পর মা-বাবার কাছে ফিরলেন সন্তান 
‘বাউন্ডুলে মানুষের সন্তানের খবর নেওয়ার দরকার আছে নাকি’
সখীপুরে প্রবাসীর স্ত্রীর একসঙ্গে ৬ সন্তান জন্ম, বেঁচে নেই কেউ
X
Fresh