করোনার জীবাণুনাশক স্প্রে আপনার শরীরে যে ক্ষতি করছে
করোনা পরিস্থিতিতে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে জীবাণুনাশক স্প্রের ব্যবহার বেড়েছে মাত্রাতিরিক্তভাবে। কিন্তু আমরা করোনাভাইরাস থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে জীবাণুনাশক স্প্রে ব্যবহার করে শরীরের দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি করে ফেলছি। এই সত্যটি আমরা অনেকেই জানি না। আবার জানলেও অনেকেই মানি না।
জীবাণুনাশক স্প্রে কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারে ক্ষতিকারক দিকগুলোর কথা বলেছেন কলকাতার জনস্বাস্থ্য বিষয়ক চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী।
আমাদের শ্বাসনালীতে নিয়মিতভাবে এই ধরনের স্প্রে’র উপাদান প্রবেশ করলে, তা আমাদের সহজে সংক্রমিত হওয়ার প্রবণতাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই যতদূর সম্ভব সাবধান হয়েই জীবাণুনাশক স্প্রে ব্যবহার করা উচিত। তবে হ্যান্ড স্যানিটাইজারও যদি অতিমাত্রায় হাতে ব্যবহার করা হয়, তবে তা হাতের ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। সেক্ষেত্রে হাতে স্যানিটাইজার ব্যবহারের পর ময়েশ্চারাইজার বা কোনও ক্রিম ব্যবহার করলে ক্ষতি কম হবে।
জীবাণুনাশক স্প্রে যখন বাতাসে ছড়ানো হবে তখন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে, মুখ নাক মাস্কে ঢেকে নেওয়া ভালো। যাতে তা শ্বাসনালীর মাধ্যমে শরীরের ভিতরে ঢুকতে না পারে। হাতে গ্লাভস পরে নেওয়া উচিত। তাতে ক্ষতিকর উপাদান সরাসরি হাতে লাগবে না। হাতের মাধ্যমে শরীরেও প্রবেশ করবে না। আর সতর্ক থাকতে হবে শিশুদের ব্যাপারে। কোনওভাবেই ঘরে কমবয়সি কিংবা শিশু থাকলে এই স্প্রে ব্যবহার করা যাবে না।
জীবাণুনাশক স্প্রে বাতাসে যখন আমরা ছড়িয়ে দিই, তখন সেই স্প্রে-র উপাদান বাতাসের ধূলিকণা বা এয়ারোসলে লেগে যায়। সেই ধূলিকণা কোনও জীবাণুযুক্ত ধূলিকণার সংস্পর্শে এলে তাকেও জীবাণুমুক্ত করবে, এই সম্ভাবনা কম।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
পি
মন্তব্য করুন