রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও ইমিউনিটির উন্নতিতে মুলার ভূমিকা
শীতের শুরু থেকে বাজারে নতুন নতুন সবজি আসা শুরু করেছে। এসবের মধ্যে মুলা অন্যতম একটি পুষ্টিগুণ এবং উপকারী সবজি। কিন্তু খুব কম সংখ্যক মানুষ খাবার তালিকায় মুলা রাখেন। খাবার তালিকায় মুলা রাখার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-
ইমিউনিটির উন্নতি : মুলা এবং এর পাতায় থাকা আয়রন এবং ফসফরাস মানবদেহে প্রবেশের পর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তুলে। এতোটাই শক্তিশালী হয় যে, এর ধারের কাছে কোনো রোগই ভিড়তে পারে না। এতে করে শরীরের ক্লান্তি ভাবটাও দূর হয়।
রক্তে অক্সিজেন বৃদ্ধি : খাবার তালিকায় মুলা রাখলে রক্তে অক্সিজেন বৃদ্ধি পায়। রক্তের লোহিত কণিকা ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখে মুলা। এভাবে রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়তে থাকে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ : মুলায় পটাশিয়াম রয়েছে। এ উপাদানটি পটাশিয়ামের চাহিদা পূরণ করে শরীরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখে এবং রক্তপ্রবাহ ঠিক রাখে। উচ্চ রক্তচাপে যারা ভোগেন তারা শীতে সবজি খেতে পারেন। এছাড়াও আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বলা হয়েছে, রক্ত শীতলকারী প্রভাব রয়েছে মূলায়।
শরীরে আর্দ্রতা ধরে রাখা : মুলায় জলীয় পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। এতে করে শরীর অনেক আর্দ্র থাকে।
হজমশক্তি বৃদ্ধি : মুলায় ফাইবার উপাদান রয়েছে। এ উপাদানটি হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধেও সহায়ক ভূমিকা রাখে। এছাড়াও মুলা শাক হজমশক্তিতে কাজ করে। পাশাপাশি ডায়রিয়া রোগীদের জন্য উপকারী। মূত্রনালির সংক্রমণ প্রতিরোধে অনেক কার্যকর মুলার জোস। এমনকি কিডনির সুরক্ষায়ও কাজ করে।
ডায়েট : যারা ডায়েট করতে চান তাদের জন্য মুলা অনেক উপকারী। এতে থাকা ফাইবার ও পানি থাকায় খাওয়ার পর পেট ভরা অনুভূত হয়। ফলে বেশি খাওয়ার ইচ্ছে জাগে না। এভাবে ধীরে ধীরে ওজন কমাতে সাহায্য করে মুলা।
সূত্র: বোল্ড স্কাই ও আনন্দবাজার।
এসআর/এম
মন্তব্য করুন