• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

শীতকালীন জ্বরে সতর্ক থাকুন অভিভাবকরা

লাইফস্টাইল ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

  ০৫ জানুয়ারি ২০২১, ২২:৫৮
শীতকালীন জ্বরে সতর্ক থাকুন অভিভাবকরা
ফাইল ছবি

ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অনেকে হালকা জ্বর বা সর্দি জ্বরে ভুগেন। আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে কিছুটা সময়ও লাগে। মহামারি করোনাভাইরাস বিশ্বে হানা দেয়ার পর থেকে জ্বর আসলেই মানুষের মধ্যে দুশ্চিন্তা কাজ করছে। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে ঋতু পরিবর্তনের সময় জ্বর আসলে করোনা উপসর্গ ভেবে নেয়া কতটা যুক্তিযুক্ত। এর মধ্যে অবশ্যই পার্থক্য রয়েছে। সাধারণ জ্বর ১০০-১০১ ডিগ্রির মধ্যে থাকে। আর এ জ্বর ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই বিদায় নেয়।

সাধারণ জ্বর হলে ক্ষেত্র বিশেষে অনেক সময় ওষুধ খেতে হয়। এ জ্বরের লক্ষণ হিসেবে বলা যেতে পারে চোখ, নাক দিয়ে পানি পড়া, হাত-পা ও শরীর ব্যথা, মাংস পেশিতে টান ধরা ইত্যাদি।
করোনার উপসর্গ হলে খাবারে কোনও স্বাদ ও গন্ধ পাবেন না এবং চোখ-নাক দিয়ে পানি পরবে না। জ্বর দীর্ঘস্থায়ী হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

মহামারি করোনার জন্য শীতে শিশুদের মধ্যে আতঙ্ক বৃদ্ধি দেখা যায়। কেবল করোনার কারণে শিশুরা বর্তমানে বাইরের জগত থেকে বিচ্ছিন্ন। তারা এখন ঘরবন্দী। শীতের সময় হঠাৎ আবহাওয়াজনিত কারণে শরীরে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বৃদ্ধি পেলে বা শরীরে হালকা কম্পন অনুভূত হলেই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বিভাগীয় প্রধান রঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ঋতু পরিবর্তনের সময় জ্বর আসলেই করোনার ভয়ে অনেকে আতঙ্ক হচ্ছেন। পরিবারের শিশু থেকে অভিভাবকসহ সবাই বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন বিষয়টি। তবে এ বিশেষজ্ঞের মতে আতঙ্ক না হয়ে অনাক্রমতা বা ইমিউনিটি বৃদ্ধির জন্য শিশুসহ পরিবারের সবাইকে ফল, সবজি, ভিটামিন ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। এতে করে করোনার আশঙ্কা হ্রাস পায়।

শীতে জ্বর হলেই তাকে করোনার উপসর্গ হিসেবে ধরে নেয়া যাবে না। দুর্বল হয়ে পড়া যাবে না। বরং এই সময় রোগ প্রতিরোধ খাবার বেশি বেশি খেতে হবে। প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে। শিশুদের জন্য বেবি ফুড, এনার্জি ড্রিঙ্ক বা ফুড সাপ্লিমেন্ট কনও বিকল্প হতে পারে সুষম আহারের। দিনে সূর্যের আলোয় সময় কাটালে উপকার আসবে। তবে ফ্রিজের ঠাণ্ডা জাতীয় খাবার, এসি এসব যতটা সম্ভব এড়ানো উচিত।

বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মতে শীতে সাধারণ জ্বর হলে প্যারাসিটামল জাতীয় ট্যাবলেটই যথেষ্ট। ওষুধ না খেলেও সাধারণ জ্বর ৭২ ঘণ্টার বেশি অবস্থান করে না। বিশেষ ক্ষেত্রে প্যারাসিটামলের প্রয়োজন হয়। তবে জ্বরের মাত্রা বেড়ে গেলে বা লক্ষণ বদলাতে থাকলে যত দ্রুত সম্ভব বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

এসআর/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • লাইফস্টাইল এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
তীব্র গরমে জনজীবনে দুর্ভোগ, বাড়ছে জ্বর-ডায়রিয়া
গরমে বাড়ছে জ্বর-ডায়রিয়া, অসুস্থদের অধিকাংশই শিশু
হঠাৎ বেড়েছে সর্দি-কাশি-জ্বর, নিরাময়ে কিছু ঘরোয়া উপায়
জ্বর-পেটব্যাথা নিয়ে দুর্গম বরকলে আড়াই মাসে ৫ মৃত্যু
X
Fresh