নখ কাটার সময় অনেকেই যে ভুলগুলো করেন
শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ নখ। আমরা যখন নখে আঘাত প্রাপ্ত হই এর গুরুত্ব বোঝা যায়। নখের মধ্যে জমে থাকা ময়লা যে খাবারের সঙ্গে পেটে যায়, এই কথা ছোট থেকেই আমরা শুনছি। নিয়ম করে ম্যানিকিওর করলে এতে নখ ও কিউটিকল বা নখের নিচের চামড়া শক্তপোক্ত হয়। তবে ব্লেড বা অন্যান্য কোনও ধারালো বস্তু নয়, নেলকাটার দিয়ে সঠিকভাবে নখ কাটা দরকার।
যদি সঠিকভাবে নখ কাটা না হয়, তাহলে হ্যাঙ্গনেলস, ওনিকোলাইসিস, ইনগ্রোন নেলস (যা বেশিরভাগ পায়ের নখে হয়) ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। দাঁত দিয়ে নখ কাটলেও নখের ক্ষতি হয়।
নখ কাটলে বা ট্রিম করলে নখ থেকে আর্দ্রতা হারিয়ে যায়। এতে নখ শুষ্ক ও ভঙ্গুর হয়ে যায়। তাই নখ কাটার পর হাতে একটু ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে হাল্কা মাসাজ করে নিতে হবে।
নখ আমাদের শরীরের এক ধরনের ফাইবারযুক্ত টিস্যু। তাই নখ সহজে ফেটে যায়। এই ফাটল নখ দুর্বল করে দেয়, নখকে আরও ভঙ্গুর করে তোলে।
নখ ফাইলিং করা একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ। ফাইলিং করার সময় একটা কথা মাথায় রাখতে হবে। ফাইলিং সব সময় একদিক থেকে করা উচিৎ।
যদি নখ বাদামের মতো খোঁচা করে কাটা হয়, তাহলে নখ দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তাই গোলাকারভাবে নখ কাটতে হবে।
- আরো পড়ুন...
- করোনায় বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ১৬ লাখ ৮১ হাজার ছাড়িয়েছে
- ভ্যাকসিন নিলেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স
- যুক্তরাষ্ট্রে মডার্নার টিকা অনুমোদন
- উচ্চশব্দে গান বাজিয়ে ধর্ষণ
-
ভাস্কর্য অবমাননার মূল পরিকল্পনাকারী বিএনপি: কাদের
-
জয়পুরহাটে ট্রেন দুর্ঘটনা তদন্তে ৪ সদস্যের কমিটি
নখ যদি খুব বড় রাখতে না ইচ্ছে করে, তা হলে মোটামুটি দৈর্ঘ্য রেখে নখ কাটতে হবে। খুব ছোট করে নখ কাটলে নখের নিচের চামড়া বেরিয়ে আসবে। এতে রক্তপাত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে।
নিজস্ব ব্যক্তিগত নেলকাটার না থাকলে নেল কাটিং এর সমস্ত জিনিস জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে। অ্যালকোহলযুক্ত কোনও স্যানিটাইজার দিয়ে এগুলো ধুয়ে নিতে হবে। শুকিয়ে গেলে তবে ব্যবহার করতে হবে।
যদি দেখা যায় নখ খুব শক্ত হয়েছে, তাহলে না কাটাই ভালো। কয়েক মিনিট গরম পানিতে হাত চুবিয়ে নিয়ে তারপর কাটা উচিৎ।
নেলকাটার দিয়ে কখনও কিউটিকল কাটা উচিৎ নয়। কিউটিকল হল নখের নিচের পাতলা টিস্যু। এর কাজ হল নখের গোড়া মজবুত রাখা ও নখে ময়লা ঢুকতে না দেয়। নেলকাটার দিয়ে কিউটিকল কাটলে সংক্রমণ হতে পারে। এর জন্য ব্যবহার করতে হবে কিউটিকল পুশার। এটা দিয়ে স্ক্র্যাপ করে এই চামড়া তুলতে হবে। যদি হ্যাঙ্গনেল হয় তা হলে সেটা কেটে দিতে হবে। টেনে দিলে বা ছিঁড়ে দিলে সংক্রমণ হতে পারে। কিউটিকল শক্ত হয়ে গেলে কিউটিকল অয়েল দিয়ে নরম করে দিতে হবে।
সূত্র- নিউজ এইটিন
জিএ
মন্তব্য করুন