• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

সন্তানের ভবিষ্যৎ ভেবে যে কাজগুলো তার সামনে করবেন না

লাইফস্টাইল ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

  ১৮ নভেম্বর ২০২০, ১৩:২৬
Family (Photo-Collected)
পরিবার (ছবি- সংগৃহীত)

বড়দের কাছ থেকে শেখে ছোটরা। এছাড়াও বাড়ির সংস্কৃতির প্রভাবও পড়ে একটা বাচ্চার বেড়ে ওঠার পেছনে। তবে একসঙ্গে পরিবারে চলতে গেলে নিজেদের মধ্যে মাঝেমধ্যে অমিল বা ঝগড়া হয়। আর সেটা সন্তানের সামনে হলে প্রভাব পড়ে সন্তানের ওপর।

সন্তানের কাছে মা-বাবা উভয়েরই গুরুত্ব সমান। আর তাই খেয়াল রাখবেন আপনাদের হার-জিতের মাশুল যেন বাচ্চাকে গুনতে না হয়। বাবা-মায়ের দাম্পত্যে অশান্তি হলে বাচ্চাই চলে যায় ডিপ্রেশনে।

ব্যক্তিগত সংঘাত, শ্বশুর-শাশুড়ি, টাকাপয়সা সংক্রান্ত সমস্যা ইত্যাদি কারণে সংসার কখনো কখনো হয়ে ওঠে রণক্ষেত্র। এই ঝগড়া অনেক সময় চলে যায় সীমারেখার বাইরেও। কিন্তু সন্তানের সামনে এই ঝগড়ায় দাড়ি টানা প্রয়োজন। কারণ বাচ্চারা চারাগাছের মতো, আপনি যেভাবে বড় করবেন সেই ভাবেই মানুষ হবে।

মা-বাবার মধ্যে অশান্তি হলে তার ছাপ বাচ্চার মধ্যেও পড়ে। তার শৈশব একেবারেইনষ্ট হয়ে যায়। তাই বাচ্চার সামনে বেশ কিছু বিষয় কঠোরভাবে মেনে চলবেন।

শিশুরা তার ব্যবহারের প্রথম পাঠ পায় বাবা-মায়ের কাছ থেকে। পরস্পরের প্রতি অশ্রদ্ধা, অন্যের মতকে গুরুত্ব না দেওয়া, এসব দেখে দেখে যখন সে বড় হয়ে ওঠে তখন ভবিষ্যতে তার ব্যক্তিগত জীবনের আচরণেও সেটার ছাপ থাকে। আর এই তিক্ততা থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে।

প্রতিদিনের ঝগড়া, চেঁচামেচি, সমালোচনা, ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ শিশুদের মনে নানারকম প্রভাব ফেলে। তারা অকারণ জেদ করতে থাকে।

বাবা-মায়ের সম্পর্ক স্বাভাবিক নাহলে শিশুরা ভীষণভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। খুব অসহায় মনে করে নিজেদের। ঝগড়া দেখে দেখে ক্লান্ত শিশুটি বুঝতেও পারে না, সে কার পক্ষ নেবে। এসব কারণে ছোট থেকেই সে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে থাকে। এতে করে ভবিষ্যতেও তার সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হতে পারে।

প্রয়োজনে নিজেদের ঝামেলা সন্তানের আড়ালে অন্য কোথাও বসে মিটিয়ে ফেলুন। কিন্তু কখনই সন্তানকে বাইরে রেখে দরজা বন্ধ করে ঝগড়া করবেন না।

বাবা-মায়ের একজন যদি অন্যমনস্কভাবেও কোনো একজন সম্পর্কে খারাপ কিছু শেখান, তাহলেও তা সন্তানের আত্মসম্মানবোধ গড়ে উঠতে সমস্যা হবে।

কাজের চাপ, পরস্পরকে সময় না দেওয়া বা বোঝাপড়ার অভাব ইত্যাদি কারণে স্বামী-স্ত্রী দুজনের মধ্যে কথাবার্তা কম হয়। আর এর কারণে দুজনের ভেতর অশান্তিও বাড়তে থাকে। তাই নিজেদের সম্পর্ক ভালো রাখতে পরস্পরকে সময় দিন। এমন কিছু করবেন না, যাতে সন্তান আপনাদের থেকে দূরে চলে যায়। সন্তানের বেড়ে উঠতে দুজনেরই প্রয়োজন। সুস্থ স্বাভাবিক সম্পর্ক যাতে বজায় থাকে সেদিকে দেখভালের দায়িত্ব আপনার।

সূত্র- এই সময়

জিএ

মন্তব্য করুন

daraz
  • লাইফস্টাইল এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মাহির ছেলের জন্মদিনে যে বার্তা দিলেন পরীমণি
নিজ সন্তানকে বিক্রি করতে বাজারে তুললেন মা!
চলন্ত ট্রেনে সন্তান জন্ম দিলেন মা
ভাগনের সঙ্গে পালালেন চার সন্তানের মা
X
Fresh