• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

যৌবন ধরে রাখতে ও থাইরয়েড চিকিৎসায় হীরক 

জ্যোতিষ শাস্ত্রী ফকির ইয়াসির আরাফাত

  ০৯ অক্টোবর ২০২০, ১৩:১৮
diamond, gemstone,
হীরা।

হীরা বিত্ত বৈভব, সৌন্দর্য, ভালোবাসার মূর্ত প্রতীক। অতি মূল্যবান এ রত্নটি পৃথিবীর বুকে এক আশ্চর্য সম্পদ। এর সাথে জড়িয়ে রয়েছে রমণী হৃদয় থেকে রাজ্য জয় এর গল্প। অতীব কঠিন, উজ্জ্বল ও জ্যোতির্ময় এ রত্ন ইংরেজি নাম Diamond এসেছে গ্রীক শব্দ “এডামাস” থেকে। যার অর্থ কঠিন বা অপরাজেয়। এ পৃথিবীতে হীরা সবচেয়ে দুর্লভ। তাই এর মূল্য এত বেশি।

উজ্জ্বল আলোয় এর ঝলমলে বৈশিষ্ট্যর কারণে যে কারো চিত্ত হরণ করতে এর জুরি মেলা ভার। লক্ষ লক্ষ বছর পূর্বে মৃত্তিকার অভ্যন্তরে নিখাদ কার্বন থেকে ভূ-আভ্যন্তরীণ চাপ ও তাপের কারণে কার্বন পরিবর্তিত হয়ে হীরায় রূপান্তর হয়। তাই কয়লা খনিতেই হীরা প্রাপ্তি। কাঠিন্যর দিক থেকে হীরা সবার উপরে। এর কাঠিন্য ১০।

খাঁটি হীরা শীতল ও পিচ্ছিল ধরনের। খনি থেকে আহরণকালে এর উজ্জ্বল জ্যোতির্ময় রূপটি থাকে না। একে বিভিন্ন আকৃতিতে কেটে, ঘষে পোলিশ করে এর জ্যোতির্ময় রূপটি বের করা হয়।

উপাদান- কৃষ্টালীন ও কার্বনের রাসায়নিক উপাদান। এর কাঠিন্যের কথা আগেই বলা হয়েছে।

হীরার ইতিহাসের সাথে শুধু সৌন্দর্যই জড়িয়ে নেই, রয়েছে ষড়যন্ত্র, বিশ্বাস ঘাতকতা, প্রতারণা, লোভ ও রক্তপাতের ইতিহাস। মানব সভ্যতার আশ্চর্য সব ঘটনার সাথে যুক্ত রয়েছে হীরা। এর জন্য মানব হৃদয়ে যেমন ভালোবাসা জেগেছে, আবার হয়েছে যুদ্ধ ও অমূল্য প্রাণহানি। কিন্তু মানব হৃদয়ে এর আকাঙ্ক্ষা কমেনি এতটুকু। বরং ভালোবাসায়, ভোগে, বিবাহে, বিলাসে চিকিৎসায় এর ব্যবহার হচ্ছে হবে।

বিশ্বের শ্রেষ্ঠ কিছু হীরার জন্মস্থান কিন্তু ভারত বর্ষে। অন্ধ্রপ্রদেশ অঞ্চলের কৃষ্ণা নদীর অববাহিকার গোলকোন্ডার খনিতে পাওয়া গেছে ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ হীরা কোহিনূর, দ্য গ্রেট মোগল। এছাড়াও বিখ্যাত হোপ ডায়মন্ড, রিজেন্ট বা পিট, শাহ অব পার্সিয়া, মুন অব দ্য মাউন্টেন, নিজাম ডায়মন্ড। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার কিম্বার্লী খনিতে পাওয়া গেছে আরো কিছু মূল্যবান হীরা।

প্রাপ্তি স্থান- বর্তমানে কানাডা,যুক্তরাষ্ট্র,আফ্রিকার সিয়েরালিয়ন, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা,ঘানা,কঙ্গো, অস্ট্রেলিয়া, পাপুয়া-নিউগিনি, ভারত, ব্রাজিলসহ বহু দেশে এ মূল্যবান রত্নটি পাওয়া যায়।

জ্যোতিষ শাস্ত্র ও চিকিৎসা শাস্ত্রে হীরার ব্যবহার

যৌবন ধরে রাখতে যে সকল হরমোন কাজ করে তার মধ্যে অন্যতম হলো ১। ট্রায়ওডোথায়রনিন বা টি থ্রি, ২। থায়রক্সিন বা টি ফোর, ৩। ক্যালসিটনিন।
এ সকল হরমোনের ঘাটতি হলে বয়স্কদের ক্ষেত্রে দৈহিক ও মানসিক শক্তির ঘাটতি বা দুর্বলতা, হজমের সমস্যা, মুটিয়ে যাওয়া, অল্পতেই ক্লান্তি অনুভব, মনোযোগের ঘাটতি,কোষ্ঠকাঠিন্য, ঠাণ্ডাজনিত পীড়া, হৃৎস্পন্দন কমে যাওয়া, ত্বকে ভাজপড়া বা পুরু হয়ে যাওয়া, শুষ্ক হয়ে ঝুলে পড়া, কণ্ঠস্বরের কর্কশতা, শুষ্ক ও ভঙ্গুর চুল, যৌনক্ষমতা হারিয়ে ফেলা ও বিষন্নতা ভালো লাগার অভাব দেখা দেয়।

হীরককে এমনিতেই বলা হয় রুপ লাবণ্য ও যৌবনের রত্ন। দেখা যায় জ্যোতিষ শাস্ত্রর কোষ্ঠী বিচার শাখায় যার জন্ম সময়ে শুক্র দুর্বল থাকে তার মাঝে উপরিউক্ত সমস্যাগুলো কম বেশি থাকে। পাশাপাশি দাম্পত্য সুখ ও প্রেমে সাফল্য তার কপালে জোটে না। ভালোবাসার মানুষটি তাকে নিয়ে বিক্রি করে দেয় জঘন্য স্থানে। আবার জ্যোতিষ শাস্ত্রের হস্ত রেখা বিচারেও শুক্রর ক্ষেত্রে অশুভ চিহ্ন বা জাল থাকলেও এ সমস্যাগুলো জাতক বা জাতিকার মধ্যে দেখা যায়। সহজ হিসাবে দেখবেন জীবনে যৌবনের পূর্ণতায় হাতের শুক্র ক্ষেত্র থাকে বলিষ্ঠ ও পুষ্ট, গোলাপী আভাযুক্ত ও সজীব। কিন্তু প্রৌর কালে শুক্রর ক্ষেত্র মলিন, দুর্বল, ভাজ যুক্ত কুৎসিত ও বিবর্ণ হয়ে যায়। আবার আকু প্রেশার শাস্ত্রে করতলের এ শুক্রর ক্ষেত্র থেকে থাইরয়েড প্যারাথাইরয়েড বিচার করা হয়।

উপরিউক্ত সমস্যাগুলোর কারণে দাম্পত্য জীবনে অতৃপ্ততা, ভালোবাসায় প্রতারণা সবচেয়ে বেশি দেখা যায় সন্তান লাভে বাধা, জাতকের ক্ষেত্রে সিমিন কাউন্টিং কম হওয়া, নারী হলে তার গর্ভাশয়ের পীড়া, মেয়েলী জটিলতা, সম্পর্কে ভালোবাসার অভাব দেখা দেয়। এর খারাপ প্রভাবে দেখা যায় যৌন বিকৃত মনোভাব, বা পরকীয়া নামক অনৈতিক সম্পর্কের জটিলতা, অথবা বিভিন্ন ধরনের যৌন ব্যাধি।

যারা শিল্প কলা,সাহিত্য, অভিনয় জগতের সাথে জড়িত তারা তাদের সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে অবশ্যই এ রত্নটি ধারণ করতে পারেন। প্রেমের ক্ষেত্রে এ রত্নটি আকর্ষণীয় ক্ষমতা অপরিসীম।

আপনি যদি এ সকল সমস্যায় ভুক্তভোগী হোন তা হলে দ্রুত আপনার জ্যোতিষীর সাথে আলাপ আলোচনা করে হীরক ধারণ করুন। তবে নকল হীরক নয়। এতে লাভের চেয়ে ক্ষতি অনেক বেশি। নকল হীরার কারণে বহু সংসার জ্বলে পুড়ে ছারখার হতে দেখেছি। বহু প্রেমের পরাজয় দেখেছি, আর দেখেছি সকল কলা নিপুণা অভিনেতা বা অভিনেত্রী বা শিল্পী হয়েও ভাগ্যের হাতের পুতুল হয়ে থাকতে।

ধারণের জন্য নূন্যতম ৫০+ সেন্ট থেকে ১.৫ সেন্ট সাদা দানার হীরাই উত্তম।

বিখ্যাত কিছু নারী যারা হীরা ধারণ করেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন রানী এলিজাবেথ, জেনিফার লোপেজ, প্যারিস হিল্টন, লেডি গাগা, ব্রিটিশ পুত্রবধূ মেগান মার্কেল, কিম কার্দাশিয়ান, শিল্পা শেঠি, দীপিকা পাড়ুকোন, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, আনুশকা শর্মা, সোনম কাপুর, ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চন।

সকলের মঙ্গল কামনায় আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।

আপনাদের জ্যোতিষ ইয়াসির আরাফাত
প্রয়োজনে- ০১৭১৬৬০৮০৮২।

এম

মন্তব্য করুন

daraz
  • লাইফস্টাইল এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh