• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

জন্ম থেকে বধির বিশ্বের সাড়ে তিন কোটি শিশু, আপনার বাবু শুনতে পায়?

লাইফস্টাইল ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

  ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৪:১০
The baby's hearing test
শিশুর শ্রবণ পরীক্ষা

আজ বিশ্ব বধির দিবস। সেপ্টেম্বর মাসের শেষ রোববার বিশ্ব জুড়ে দিনটি পালন করা হয়। বিশ্বের প্রায় ১৩০টি দেশে এই দিবটি পালন করছে আজ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫ শতাংশ মানুষের শ্রবণ ক্ষমতার ঘাটতি আছে। অর্থাৎ বিশ্বের প্রায় ৪৬ কোটি ৬০ লাখ মানুষ কানে কম শোনেন।

বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ২০৫০ সালে সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়াবে ৯০ কোটিতে। বিশ্বের প্রায় ৩ কোটি ৪০ লাখ শিশুর শ্রবণ প্রতিবন্ধকতা আছে। এর মধ্যে ৬০ শতাংশের এই প্রতিবন্ধকতা প্রতিরোধ করা সম্ভব ছিল। তবে সচেতনতার অভাবে এ সব শিশুদের বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন হয়ে দিন পার করতে হচ্ছে।

ভারতীয় নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বৈপায়ন মুখোপাধ্যায় বলেন, পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১০০ জন শিশুর মধ্যে ৪ জন স্বাভাবিকভাবে শুনতে পায় না। ইউরোপ আমেরিকায় সদ্যোজাত শিশুর শ্রবণ ক্ষমতা পরীক্ষার করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু ভারতীয় উপমহাদেশে এই সংখ্যা নগণ্য। জন্মের সময় শিশুর শ্রবণ শক্তি স্বাভাবিক থাকলেও ৩/৪ বছর বয়সে মেনিনজাইটিস, টাইফয়েড বা এনকেফেলাইটিস হলেও শ্রবণ ক্ষমতা কমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।

এছাড়া গর্ভাবস্থায় হবু মায়ের কোনও অসুখ যেমন মাম্পস, রুবেলা, হারপিস, চিকেন পক্স বা টক্সোপ্লাসমোসিসের মতো ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণ হলে শিশু জন্মগত ভাবে শ্রবণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। গর্ভাবস্থায় মা যদি এমন কিছু ওষুধ খান, যার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে, তখন বাচ্চা বধির হয়ে জন্মাতে পারে।

গর্ভাবস্থায় হবু মায়ের চোট লাগলেও শিশুর শ্রবণযন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কানের গঠনগত কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি থাকলে বাচ্চা বধির হয়ে জন্মায়। অনেকে আবার ছোট বয়সে নানা শারীরিক কারণে শ্রবণ ক্ষমতা লোপ পায়।

আবার জন্মের পর নানা কারণে শ্রবণ ক্ষমতা কমে যেতে পারে। যে সব বাচ্চা নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই ভূমিষ্ঠ হয় ও স্বাভাবিকের থেকে অনেক কম ওজন নিয়ে জন্মেছে, তাদের ক্ষেত্রে এমন সমস্যা হতে পারে।

আঘাত বা অন্য কোনও কারণে কানের পর্দা ক্ষতিগ্রস্ত হলে এবং সময়মতো চিকিৎসা না হলে বাচ্চার কানে শোনার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। বাচ্চাদের কানে কিছু ঢুকলে এবং তা কানের মধ্যে থেকে গেলে শ্রবণযন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

যদি ১৫ মাস বয়সে বাচ্চারা মা, বাবা, দাদা ইত্যাদি বলতে না শেখে তাহলে বুঝতে হবে সমস্যা আছে।

যা করবেন-

পরীক্ষা করে যদি জানা যায় শ্রবণ সহায়ক নার্ভ দুর্বল, তবে আপনার বাবুকে ছোট থেকে ‘হিয়ারিং এড’ দিতে হবে। উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ‘ডিজিটাল হিয়ারিং এড’ কানে শোনার সব ঘাটতি দূর করতে পারে। যদি কোনও বাচ্চার ককলিয়ার নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে ‘হিয়ারিং এড’ দিয়েও কোনও লাভ হয় না। এদের শ্রবণ ক্ষমতা ফিরিয়ে আনার এক মাত্র উপায় ককলিয়ার প্রতিস্থাপন।

পাঁচ বছর বয়সের মধ্যে বাচ্চার শোনার ক্ষমতা ফিরিয়ে না আনলে স্বাভাবিক ভাবে কথা শিখতে ও বলতে অসুবিধা হয়। বাচ্চাদের পাশাপাশি বেশি বয়সেও নানা কারণে শ্রবণ ক্ষমতা লোপ পেতে পারে।

সূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা

জিএ

মন্তব্য করুন

daraz
  • লাইফস্টাইল এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয়
লাইলাতুল কদরে যা করণীয়
রোজায় পানিশূন্যতা এড়াতে করণীয়
পবিত্র রমজান মাসে রোজাদারের করণীয় ও বর্জনীয়
X
Fresh