• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

ক্যাপসিকাম লাল না সবুজ, কোনটি খাবেন?

আরটিভি নিউজ

  ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২৩:১৮
ক্যাপসিক্যাম

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ক্যাপসিকাম কয়েকটি রঙের হলেও আমাদের দেশে লাল ও সবুজ ক্যাপসিকাম বেশি দেখা যায়। ধীরে ধীরে বাড়ছে এই সবজির চাষ। লাল ও সবুজ ক্যাপসিকামের মধ্যে কোনটি বেশি উপকারী? এ সম্পর্কে কী বলছেন পুষ্টিবিদেরা। এখন সেটিই জেনে নিই।

ক্যাপসিকামের গুণাগুণ প্রচুর। ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে থাকে। তাই অতিরিক্ত তাপমাত্রায় ক্যাপসিকাম রান্না করলে এর ভিটামিন সি অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। বরং কাঁচা খেলেই এর পুষ্টিগুণ পুরোপুরি পাওয়া যায়।

উচ্চ তাপমাত্রায় বেশিক্ষণ রান্না না করাই ভালো। এতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টসও ভরপুর থাকে, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ভিটামিন ই, এ-ও পাওয়া যায় ক্যাপসিকাম থেকে। তাই চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও এটি সহায়ক। এছাড়া ক্যাপসিকাম চুল ও ত্বকের জন্যও খুব ভালো। হাড় ও হার্ট দুই-ই ভালো রাখে। পটাসিয়াম, ফোলেট ইত্যাদি উপাদানও প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। তাই শরীরের আয়রন গ্রহণ করার ক্ষমতাও বাড়ায়। দীর্ঘদিন ফ্রিজে রেখে বেল পেপার না খাওয়াই ভালো। বাজার থেকে কিনে দু'তিন দিনের মধ্যে খেয়ে নিলেই উপকার বেশি।

লাল ও সবুজ ক্যাপসিকামের মধ্যে লালটি বেশি পুষ্টিগুণসম্পন্ন। এতে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি থাকে। লাল ক্যাপসিকামে ত্বকের স্বাভাবিকতা বজায় থাকে। চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। চোখ ভালো থাকে। এতে কোলেস্টেরল কম থাকার কারণে মোটা হওয়ার প্রবণতা কমে যায়।

ত্বক পরিষ্কার রাখতে ক্যাপসিকাম বেশ উপকারী। ত্বকের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত রোগের ক্ষেত্রে ক্যাপসিকাম রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে। বিশেষ করে ত্বককে ব্রণের হাত থেকে রক্ষা করে। লাল ক্যাপসিকাম যে কোনও ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। ক্যাপসিকাম খেলে মাথার তালুর রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে। নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে ক্যাপসিকাম। খনিজের অভাব পূরণ করে। পটাশিয়াম বেশি থাকার কারণে বয়স্কদের জন্য লাল ক্যাপসিকাম খাওয়াই ভালো। বিভিন্ন উপকরণ বেশি থাকার কারণে বাজারে লাল ক্যাপসিকামের চাহিদা তুলনামূলক বেশি।

তবে সবুজ ক্যাপসিকামও বিভিন্ন পুষ্টি উপকরণে ভরপুর। এই ক্যাপসিকামটি একটু অল্পবয়সীদের জন্য উপকারী। এ ক্যাপসিকামে ক্যাপসাইসিনস নামক উপাদান ডিএনএর সঙ্গে যুক্ত হয়ে ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদানের সংযুক্ত হওয়াতে বাধা দেয়। এটি ক্যানসার প্রতিরোধে কাজ করে। এটি মাইগ্রেন, সাইনাস, ইনফেকশন, দাঁতে ব্যথা, অস্টিওআর্থ্রাইটিস ইত্যাদি ব্যথা দূর করতে কাজ করে। সবুজ ক্যাপসিকাম শরীরের বাড়তি ক্যালরি পূরণে কাজ করে। ফলে চর্বি জমে না, একই সঙ্গে ওজনও বৃদ্ধি পায় না। সবুজ ক্যাপসিকাম রক্তের অণুচক্রিকা উদ্দীপিত করে সংক্রমণ রোধ করে থাকে।

এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • লাইফস্টাইল এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
জেলের দুর্বিষহ অত্যাচারের বর্ণনা দিলেন অভিনেত্রী
X
Fresh