• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

তিমির পেটে গিয়েও প্রাণে বেঁচে ফিরলেন তিনি!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

  ১২ জুন ২০২১, ১৪:৫০
মাইকেল প্যাকার্ড

মাইকেল প্যাকার্ড নামের এক লবস্টার শিকারিকে আস্ত গিলে ফেলেছিল বিশাল আকৃতির একটি হ্যাম্পব্যাক তিমি। প্যাকার্ড সাগরের গভীরে লবস্টার বা বড় চিংড়ি মাছের সন্ধান করছিলেন। আর তখনই তিমিটি গিলে ফেলে তাকে। এরপর প্রায় ৩০-৪০ সেকেন্ড সেই তিমির পেটের ভিতরের পৃথিবীতে অবস্থান করেন তিনি। আর এই ঘটনাটি ঘটে যুক্তরাষ্ট্রে।

জানা গেছে, এক পর্যায় তিমিটি তার মুখ থেকে লালার সঙ্গে বের করে তাকে। এতে প্যাকার্ডের পায়ের গোড়ালি মচকে যাওয়া ছাড়া বড় কোনো ক্ষতি হয়নি। প্রায় ৪০ বছর ধরে এই ডুবুরি পেশায় নিয়োজিত মাইকেল প্যাকার্ড (৫৬)। তবে তার স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে এ চাকরি ছাড়ার জন্য অনুরোধ করছেন তাকে।

প্যাকার্ড জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে সহযোগীদের নিয়ে নৌকা করে হেরিং কোভে যান। সেখানকার পরিবেশ অনেক সুন্দর ছিল এবং পানিতে দৃষ্টিসীমা প্রায় ২০ ফুট পর্যন্ত ছিল। স্কুবা গিয়ার নিয়ে পানিতে নেমে ডুব দেয়ার একটু পরই বিশাল ধাক্কা অনুভব করেন এবং তার কাছে সবকিছু অন্ধকার মনে হয়। প্রথমে ভেবেছিলেন হয়তো সাদা বড় তিমির হামলার শিকার হয়েছেন। এসব তিমি ওই এলাকায় সাঁতরে বেড়ায়। এরপর আশপাশে অনুভব করেন কোনো দাঁত নেই। তখনই বুঝতে পারেন তিনি তিমির ভিতরে। তিমিটি তাকে গিলে ফেলার জন্য চেষ্টা করছে। আর এখনই হয়তো মারা যাবেন তিনি।

প্যাকার্ড আরও বলেন, আমি স্ত্রী ও দুই পুত্রের কথা ভাবতেই হঠাৎ তিমিটি পানির ওপরে ভেসে উঠে মাথা নাড়তে থাকে। আমাকে বাতাসে ছুঁড়ে ফেলা হয় আর আমি পানিতে পড়ে যাই। পানিতে কিছুক্ষণ ভেসে রইলাম। কিন্তু কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। তবে বেঁচে ফিরে নিজেকে অনেক সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে।

হ্যাম্পব্যাক তিমি প্রায় ৫০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এসব তিমির ওজন হয়ে থাকে প্রায় ৩৬ টন। এছাড়া ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফ ফান্ডের তথ্য বলছে, বিশ্বজুড়ে এমন তিমির সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার। সমুদ্র বিজ্ঞানীরা বলছেন, হ্যাম্পব্যাক সাধারণত হা করে মাছ, ক্রিল বা অন্যান্য খাবার খেয়ে থাকে। তবে প্যাকার্ডের ক্ষেত্রে যা হয়েছে তা হয়তো কেবলই দুর্ঘটনা। সূত্র : সিবিএস বোস্টন

এসআর/

মন্তব্য করুন

daraz
  • যুক্তরাষ্ট্র এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh