ট্যুরিস্ট ভিসা চালুর ঘোষণা ভারতের
ভারতে করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা ট্যুরিস্ট ভিসা আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে চালু হতে যাচ্ছে।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, দেড় বছর পর বিদেশি পর্যটকদের জন্য ভারতীয় সীমান্ত খুলে দেওয়া হচ্ছে। পর্যটন খাতে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ভিসা পুনরায় চালুর ঘোষণা দিয়েছে। আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে বিদেশিদের নতুন করে পর্যটন ভিসা দেওয়া শুরু করবে ভারত।
দেড় বছর পর ট্যুরিস্ট ভিসা চালুর বিষয়ে দেশটির কল্যাণবিষয়ক মন্ত্রণালয় বলছে, ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়, পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং রাজ্য সরকারের মতো অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সূত্র: এনডিটিভি
এফএ/টিআই
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ঘুরে ভারতে যেয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার স্প্যানিশ নারী
স্বামীর সঙ্গে বাইকে করে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ ঘুরে ভারতে যেয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক স্প্যানিশ নারী।
শনিবার (২ মার্চ) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। শুক্রবার (১ মার্চ) রাতে ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যে এ ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ওই স্প্যানিশ নারী স্বামীর সঙ্গে বাইকে করে এশিয়া ভ্রমণে বের হয়েছিলেন। পাকিস্তান ও বাংলাদেশ ঘুরে ভারতে গিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিনি। সাত ধর্ষকের মধ্যে শনিবার তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। শুক্রবার (১ মার্চ) বাইকে করে দুমকা হয়ে বিহারের ভাগলপুরের দিকে যাচ্ছিলেন ওই ভুক্তভোগী দম্পতি। পথে হান্সদিহা এলাকায় তাঁবুতে রাত কাটানোর সিদ্ধান্ত নেন। আর সেখানেই ঘটে এ ঘটনা। এ সময় ওই স্প্যানিশ দম্পতিকে নির্যাতনও করা হয়েছে।
এ বিষয়ে দুমকার পুলিশ সুপার পিতাম্বর সিং খায়েরওয়ার বলেন, বাইকার ওই দম্পতি পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসার পর ঝাড়খণ্ডের অঞ্চল দিয়ে নেপালের দিকে যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় দুমকার কুঞ্জি গ্রামে একটি অস্থায়ী তাঁবু স্থাপন করে তারা কাটানোর সিদ্ধান্ত নেন। সেখানেই ঘটনাটি ঘটে। রাতে টহল পুলিশ ওই দম্পতিকে সড়কের ওপর থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে।
তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগী নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। অধিকতর তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদেরও নিয়োগ করা হয়েছে। শুক্রবার রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিল পুলিশ। মামলার তদন্ত চলছে এবং আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ওই নারী বর্তমানে সরিয়াহাট কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
দাম্পত্য কলহ বাড়াচ্ছে ‘প্রেমের বিয়ে’
প্রেম করে বিয়ে করলে দাম্পত্য কলহের আশঙ্কা বেশি থাকে। অনেক ক্ষেত্রে তা বিবাহবিচ্ছেদ পর্যন্ত গড়ায়, এমনটিই মন্তব্য করেছেন ভারতের এলাহাবাদ হাইকোর্ট। এ কারণে হিন্দু বিবাহ আইন সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেছেন ভারতের আদালত।
রোববার (৩ মার্চ) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এ সংবাদ জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমে জানা যায়, গতকাল শনিবার এক যুবকের বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন মঞ্জুর করার সময় এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক কুমার বিড়লা এবং বিচারপতি দোনাদি রমেশের ডিভিশন বেঞ্চ এসব মন্তব্য করেছেন। এ সময় তারা হিন্দু বিবাহ আইন সংশোধন করার জন্য সরকারকে অনুরোধও করেন।
শুনানির সময় এই বেঞ্চ আরও বলেন, ১৯৫৫ সালে হিন্দু বিবাহ আইন প্রণয়ন করার সময় ভারতীয় সমাজের বৈবাহিক অবস্থা যেমন ছিল, এখন তা নেই। সেই আবেগ, অনুভূতি ও শ্রদ্ধাবোধের পরিবর্তন হয়েছে। এখন প্রেমের বিয়ে অনেক সহজ হয়েছে, আগে যা ছিল না। সমাজ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি মুক্ত ও স্বাধীন হয়েছে। সুতরাং সময়ের সঙ্গে আইন সংস্কার হওয়া প্রয়োজন।
তবে প্রেমের বিয়ের কারণে ভারতীয় সমাজে দাম্পত্য কলহ আগের তুলনায় বেড়েছে বলেও পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন বিচারপতি বিবেক কুমার বিড়লা এবং বিচারপতি দোনাদি রমেশের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতিদের এই বেঞ্চ বলেন, প্রেমের মাধ্যমে যেসব বিয়ে হচ্ছে, সেসব বৈবাহিক সম্পর্ক একটা পর্যায়ে গিয়ে শিথিল হয়ে পড়ছে, নানা ধরনের বিবাদ তৈরি হচ্ছে এবং শেষে তারা আলাদা থাকতে শুরু করছে।
আদালতের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, বিয়ের এই বদলকে প্রভাবিত করেছে শিক্ষা, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, জাতপাতের বাঁধ ভাঙা, আধুনিকতা এবং পশ্চিমা সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ। সমাজ এখন আরও বেশি উদার, স্বাধীন হয়ে উঠেছে। যে কারণে বিয়েতে আর আগের মতো আবেগের প্রয়োজন হয় না। এ ধরনের কিছু বিষয় বর্তমানে দাম্পত্য জীবনকে প্রভাবিত করছে। তাই বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আইনে বদল আনা প্রয়োজন।
বাংলাদেশের চেয়েও ভারতে বেকারত্বের হার বেশি : রাহুল গান্ধী
নরেন্দ্র মোদির আমলে ভারতে বেকারত্বের হার বিগত ৪০ বছরের মধ্যে ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এ সময় বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ভারতের তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার পাকিস্তানের প্রায় দ্বিগুণ এবং বাংলাদেশ, ভুটানের মতো দেশের চেয়েও বেশি।
রোববার (৩ মার্চ) মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে ‘ভারত জোড়ো ন্যায়যাত্রা’য় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন রাহুল।
আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠনের (আইএলও) এক পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, ভারতে তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার এখন ২৩ শতাংশ। মোদির জিএসটি এবং নোটবন্দি নীতির কারণেই ভারতে ক্ষুদ্র ব্যবসা কার্যত শেষ হয়ে গেছে।
আইএলও’র ২০২২ সালের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের নিরিখে গোটা বিশ্বে যে ৬টি দেশ একেবারে পেছনের সারিতে রয়েছে, তার মধ্যে ভারত অন্যতম। এই ৬টি দেশের মধ্যে ভারতের সঙ্গে রয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া, আর্মেনিয়া, লেবানন, ইয়েমেন ও ইরান।
ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে এই পরিসংখ্যান তুলে ধরে এক্স-এ পোস্ট করেছিলেন বিশ্বব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু। রাহুল সেই পরিসংখ্যানই তুলে ধরেছেন। ২০২২ সালের ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানের বেকারত্বের হার ১১ দশমিক ৩ শতাংশ এবং বাংলাদেশে বেকারত্বের হার ১২ দশমিক ৯ শতাংশ।
কংগ্রেসের এ নেতার অভিযোগ, ২০১৪ সালে মোদি সরকার যখন ক্ষমতায় আসে, তখন ভারতে তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার ছিল ২১ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০১৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৬ শতাংশ। ২০১৯ সালে কিছুটা কমলেও করোনার বছর ২০২০ সালে বেকারত্বের হার ৩০ শতাংশ পার হয়ে গিয়েছিল ভারতে। এখন কিছুটা কমে ২৩ শতাংশে। এরপরেও মোদি বলেন যে, তিনি গরিবদের জন্য কাজ করছেন।
স্ত্রীর ভয়ে বিমানবন্দরে বোমাতঙ্ক ছড়ালেন বাংলাদেশি যুবক!
স্ত্রীর ভয়ে ই-মেইলের মাধ্যমে ভারতের দিল্লি বিমানবন্দরে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছেন নজরুল ইসলাম (২৯) নামের এক বাংলাদেশি যুবক।
সোমবার (৪ মার্চ) কলকাতার নিউমার্কেটের একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ।
জানা গেছে, স্ত্রীর কাছে মিথ্যা বলে ধরা পড়ার ভয়ে ভারতের দিল্লি বিমানবন্দরে বোমাতঙ্ক ছড়ান নজরুল। দিল্লি-কলকাতাগামী একটি ফ্লাইটে বিস্ফোরক নিয়ে বিমানবন্দরে ভুয়া ই-মেইল পাঠানোর অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তাকে দিল্লি পুলিশ রিমান্ডে নিয়েছে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারির এ ঘটনার জেরে তদন্ত করে দিল্লি পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখা ও স্পেশাল টাস্ক ফোর্স।
যুক্তরাষ্ট্রে গবেষণার কাজে যুক্ত রয়েছেন এমন মিথ্যা বলে ২০২৩ সালে সোনিয়া নামে নয়াদিল্লির এক নারীকে বিয়ে করেন নজরুল। পাঞ্জাবের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়ার সময় সোনিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয় তার। মাস্টার্স শেষে ২০২০ সালে নজরুল বাংলাদেশে ফিরলেও তাদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। বিয়ের পর থেকে নজরুলের স্ত্রী সোনিয়াকে বারবার যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়ার কথা বললে বিষয়টি এড়িয়ে যেতে শুরু করেন তিনি। দিল্লিতে চলমান কৃষক আন্দোলনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরতে পারছেন না বলে স্ত্রীকে জানান। স্ত্রীর সন্দেহ হলে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ভাইকে কলকাতায় নজরুলের থাকার বিষয়টি সত্যতা যাচাই করতে পাঠাতে চায়। বিষয়টি নজরুল জেনে যায়। শ্যালককে বিমানবন্দরেই আটকাতে এক যাত্রী বোমা বহন করছেন বলে দিল্লি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে ভুয়া ই-মেইল পাঠান। আর এতেই বোমাতঙ্ক ছড়ায় বিমান বন্দরজুড়ে।
নজরুলকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, নজরুল কলকাতার নিউমার্কেটের একটি হোটেলে প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে ছিলেন। সে বাংলাদেশ থেকে আনা প্রায় ৫০ লাখ টাকা প্রতারণা করে লুকিয়ে রাখতেই কলকাতায় থাকেন। তার পাসপোর্ট, ফোন এবং ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। নজরুল ভুয়া ই-মেইল পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তাকে ট্রানজিট রিমান্ডে দিল্লি নেওয়া হয়েছে এবং ভুয়া ই-মেইল পাঠানোর দায়ে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
দিল্লি পুলিশ কর্মকর্তা রাংনানি জানান, এভিয়েশনের ওপর একটি কোর্স করেছেন বলে জানিয়েছেন নজরুল। পাওনাদারদের কাছ থেকে বাঁচতে তিনি ভারতে থাকছেন।
ভারতে প্রথম নদীর নিচে মেট্রোরেল
ভারতের কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গবাসীর দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান হলো। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগেই গঙ্গার নিচ দিয়ে চলল মেট্রোরেল।
বুধবার (৬ মার্চ) সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ রুটের উদ্বোধন করেন।
জানা গেছে, এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন থেকে গঙ্গার নিচের মেট্রোরেল রুটের উদ্বোধন করেন নরেন্দ্র মোদি। দক্ষিণ কলকাতার তারাতলা থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত সম্প্রসারিত অংশেরও উদ্বোধন করেছেন তিনি। উদ্বোধনের পরেই গঙ্গার নিচে মেট্রো সফর করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এরপরই দলীয় নির্বাচনী প্রচারে রাজ্যের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসাতের উদ্দেশ্যে রওনা হন মোদি।
গঙ্গার নিচের মেট্রো রুটের উদ্বোধনে মাধ্যমে হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড রুট ছাড়াও, নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত অরেঞ্জ লাইন মেট্রো রুট, এবং জোকা-তারাতলা পার্পল লাইনে মেট্রো পরিষেবা চালু হলো।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।
শরীরটা পুরুষের, হাত দুটো শুধু নারীর
পেশায় ছিলেন চিত্রশিল্পী, রঙ-তুলিই ছিল তার জীবন। ছবি এঁকেই উপার্জন করতেন অর্থ। আর সেই দুই হাতই ট্রেন দুর্ঘটনায় কাটা পড়ে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল জীবন। আয়-রোজগার নেই, সংসারও চালাতে হয় বহু কষ্টে।
আর এমন অবস্থাতেই এক নারীর দান করা দুটি হাত জোড়া লাগল ওই ব্যক্তির কাটা পড়া হাতের সঙ্গে। মূলত ব্রেথ ডেড এক নারীর দান করা হাতই জোড়া লেগেছে ৪৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির শরীরে।
১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অপারেশন চলার পর দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালের চিকিৎসকদের দক্ষতায় নতুন এই দুই হাত পেলেন ওই চিত্রশিল্পী। বুধবার (৬ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রেন দুর্ঘটনায় দুই হাত হারিয়ে আর কোনওদিন রঙ-তুলি ধরতে পারবেন না ভেবেই অবসাদে চলে যাচ্ছিলেন ৪৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। কিন্তু জীবন তাকে নতুন সুযোগ দিলো। চিকিৎসকদের দক্ষতায় নতুন দুই হাত পেয়েছেন তিনি। আর এতে করে আবারও তিনি ধরতে পারবেন রঙ-তুলি।
সংবাদমাধ্যম বলছে, দিল্লিতে এই প্রথম হাত প্রতিস্থাপনের অপারেশন হলো। দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে ব্রেন-ডেথ রোগীর দুই হাত নিয়ে তা সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয় ওই চিত্রশিল্পীর কেটে বাদ দেওয়া দুই হাতের জায়গায়।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দাতার থেকে নেওয়া হাতের শিরা-ধমনী, হাড়-মজ্জা-মাংস সব নিখুঁতভাবে জোড়া লেগেছে গ্রহীতার হাতের সঙ্গে। দাতার থেকে নেওয়া হাত চিত্রশিল্পীর শরীরে মিলেও গেছে। নতুন দুই হাত দিয়ে এখন সব কাজই করতে পারবেন এই শিল্পী।
এর আগে ২০২০ সালে ট্রেন দুর্ঘটনায় দুই হাত হারিয়েছিলেন ওই চিত্রশিল্পী। তিনি বলছেন, দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে হাত প্রতিস্থাপন সম্ভব বলে জানিয়েছিলেন। শুধু দাতার খোঁজ করতে হবে। সে সুযোগও এসে যায়। মীনা মেহতা নামে ব্রেন-ডেথ এক রোগীর দুই হাত নিয়েই প্রতিস্থাপন করার পরিকল্পনা করেন চিকিৎসকরা।
দক্ষিণ দিল্লির একটি স্কুলের প্রশাসনিক প্রধান ছিলেন মীনা। তিনি লিখিতভাবেই তার অঙ্গ প্রতিস্থাপনের অনুমতি দিয়ে গিয়েছিলেন। এরপরই মীনার লিভার, কিডনি, হার্ট নেওয়ার পাশাপাশি দুই হাতও প্রতিস্থাপন করার কথা ভাবেন ডাক্তাররা। ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা অপারেশনে নিখুঁতভাবে মীনার দুই হাত চিত্রশিল্পীর কাটা হাতের জায়গায় জুড়ে দেওয়া হয়।
চিকিৎসকরা বলছেন, লিভার, কিডনি প্রতিস্থাপনের মতোই হাত প্রতিস্থাপনও খুবই জটিল প্রক্রিয়া। দাতার হাত গ্রহীতার শরীর গ্রহণ করবে কিনা সেটাই আসল ব্যাপার। অনেক সময় দেখা যায়, হাড়-মাংস বা ধমনী জুড়লেও শরীরে সেই হাত ঠিকমতো কাজ করতে পারছে না বা নতুন বসানো হাতে রক্ত সরবরাহ হচ্ছে না। তখন বিপদ বাড়তে পারে।
মূলত এই ধরনের অপারেশনের ক্ষেত্রে শিরা, ধমনী, স্নায়ু ও টেন্ডন (শক্ত ও মোটা তন্তু) সব ঠিকঠাক ভাবে জুড়তে হয়। প্লাস্টিক সার্জারি, অর্থোপেডিক, নেফ্রোলজি-সহ অনেকগুলো বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দরকার হয়।
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই প্রতিস্থাপনের পরবর্তী অধ্যায়ও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ গ্রহীতার শরীর কতটা সেই অঙ্গ গ্রহণ করবে, সে দিকে খুব সতর্ক ভাবে নজর রাখতে হয়। শরীর যাতে ওই অঙ্গকে প্রত্যাখ্যান না করে, সে জন্য গ্রহীতাকে সারা বছর ইমিউনো থেরাপি নিতে হবে যেন তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
৪৫ বছর বয়সী ওই চিত্রশিল্পীকে আগামীকাল স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
সূত্র : এনডিটিভি
বিয়ের আগমুহূর্তে ছেলেকে হত্যা করে বাবা
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে বিয়ের কয়েক ঘণ্টা আগে অন্তত ১৫ বার ছুরিকাঘাতে বরকে হত্যা করেছে তার বাবা। এ ঘটনায় বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৮ মার্চ) পুলিশের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে এনডিটিভি। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দিল্লির দেবলি এক্সটেনশনের নিহত যুবকের বাড়িতেই এ ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহত ২৯ বছর বয়সী গৌরব সিংগাল একটি জিমের মালিক। তার বাবা রঙ্গলাল সিংগালকে প্রতিদিন বিভিন্নভাবে অপমান করতেন তিনি। রাগের বশবর্তী হয়ে নিজের ছেলেকে হত্যা করেছে রঙ্গলাল। গৌরবের মুখে এবং বুকে অন্তত ১৫ বার ছুরিকাঘাত করেন তিনি। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ (দক্ষিণ দিল্লি) অঙ্কিত চৌহান জানিয়েছেন, গৌরব সিংগালকে বৃহস্পতিবার রাজু পার্কে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। ঘটনার পর গৌরবের বাবা রঙ্গলাল গাঢাকা দেন। সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।