• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সপ্তাহে তিন দিন ছুটি!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

  ০২ অক্টোবর ২০২১, ১৭:৩৩
সপ্তাহে তিন দিন ছুটি!

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বছরের পর বছর কাজ করলেও কর্মীরা একটানা কয়েক দিনের ছুটি পান না। এমনকি কোনো কর্মী একটানা ১০ থেকে ২০ দিনের ছুটি চাইলে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ ওই কর্মীকে সুনজরে দেখেন না। আবার অনেক সময় কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মী ছুটি চাইলে তাকে চাকরি ছাড়ার নোটিস পর্যন্ত দেওয়া হয়।

অন্যদিকে সরকারি চাকরিতে নিয়মমাফিক ছুটি ছাড়া বাড়তি ছুটি নেওয়ার সুযোগ কম। সরকারি-বেসরকারি কর্মীদের ছুটি দেওয়ার এই টানাপোড়নের মধ্যেই তথ্যপ্রযুক্তি একটি সংস্থা সপ্তাহে টানা চার দিন কাজ ও টানা তিন দিন ছুটির ব্যবস্থা করেছে।

আমাদের দেশে সরকারি চাকরিতে সপ্তাহে সাত দিনের মধ্যে দু’দিন ছুটি থাকলেও বেসরকারি চাকরিতে সপ্তাহে মাত্র এক দিন ছুটি। তবে কর্মীদের দক্ষতা ও সৃজনশীলতা বাড়াতে একটি বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা সপ্তাহে ৩ দিনের ছুটির ব্যবস্থা করেছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সাইবার সিকিউরিটি সংস্থা টিএসি সিকিউরিটির কর্মীরা সপ্তাহে সোম থেকে বৃহস্পতিবার এই চার দিন কাজ করেন। আর শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত টানা তিন দিন ছুটি কাটান। করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে গত সাত মাস ধরে এ নিয়মে চলছে টিএসি সিকিউরিটির অফিস।

টিএসি সিকিউরিটির সদর দপ্তর আমেরিকার সানফ্রান্সিসকোতে, ভারতের মুম্বাইয়ে টিএসি সিকিউরিটি অফিস আছে। এই প্রতিষ্ঠানে কমবেশি ২০০ জন কর্মী কাজ করেন।

প্রতিষ্ঠানটি গত সোমবার বিবৃতি দিয়ে অফিসের কর্মদিবস ও ছুটির কথা জানিয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির এ প্রতিষ্ঠানের দাবি, এই নিয়মে কর্মীদের কর্মদক্ষতা ও সৃজনশীলতা আরও বৃদ্ধি পায় এবং কর্মীরা খুশি থাকেন, তাহলে মুম্বাই অফিসে স্থায়ীভাবে চার দিন কাজের নিয়ম কার্যকর করা হবে। চার দিন ছুটির বিষয় মাথায় রেখেই এগিয়ে চলে প্রতিষ্ঠানের কর্মপরিকল্পনা। তাদের ভাষ্য, এতে কর্মীরা অফিস ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারবেন।

টিএসি সিকিউরিটির সিইও ও প্রতিষ্ঠাতা ত্রিশনেত অরোরা বলেন, কর্মীদের কর্মদক্ষতা ও সৃজনশীলতা বাড়াতে আমরা লক্ষ্যে অবিচল। এই প্রতিষ্ঠানের বেশির ভাগ কর্মীদের বয়স কম। তাই কর্মীদের চাপ কমাতে চার দিন কর্ম অফিস ও টানা তিন দিন ছুটির ব্যবস্থা করে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করতেই পারি। কর্মদক্ষতা ও সৃজনশীলতার মান বজায় রেখেও কর্মীদের স্বাস্থ্য এবং ভালো থাকা আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার পায়।
প্রতিষ্ঠান একটি জরিপ চালিয়ে দেখে, কর্মীদের ৮০ শতাংশই চার দিন অফিসে কাজ করতে আগ্রহী। কারণ, এর ফলে তিন দিন ছুটি মেলে। এসময় পারিবারিক কাজ ও পেশা দক্ষতার জন্য বিভিন্ন কোর্সও করা যায় অথবা পড়াশোনা করা যায়। আর এতে কর্মীদের দক্ষতা বাড়লে প্রতিষ্ঠানেরই লাভ।

এফএ

মন্তব্য করুন

daraz
  • ভারত এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
হিলিতে শিক্ষক-কর্মচারী ইউনিয়নের বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত
মতিঝিল আইডিয়ালের গভর্নিং বডির সদস্য নির্বাচিত মহি উদ্দিন
অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের প্রতিনিধি দলের ঢাকা সফর
স্কুল-কলেজ সাত দিন বন্ধ ঘোষণা
X
Fresh