সীমান্তে অসম্পন্ন বেড়া তৈরি নিয়ে আলোচনা
বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্বের সম্পর্ক পুরনো। দুই দেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের কার্যক্রম চালাতে পারবে না কেউ। সেজন্য সীমান্তে অসম্পন্ন বেড়া তৈরির কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে উভয় পক্ষই একমত হয়েছেন।
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ-ভারতের ১৯তম স্বরাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে এসব আলোচনা হয়। দিল্লির প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন ও ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় কুমার ভাল্লা।
বৈঠকে উভয় সচিব সীমান্তে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও জোরদারে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
এফএ
মন্তব্য করুন
আটক সোমালিয়ান জলদস্যুদের বিচার করবে ভারত
সোমালিয়ার উপকূল থেকে উদ্ধার করা জাহাজ এমভি রুয়েন থেকে আটক ৩৫ জলদস্যুকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশে রওনা হয়েছে দেশটির নৌবাহিনী। আটক এই সোমালিয়ান দস্যুদের বিচারের মুখোমুখি করবে ভারত।
বুধবার (২০ মার্চ) বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন ভারতীয় নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তা।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আটক সোমালিয়ান জলদস্যুদের নিয়ে মাল্টার পতাকাবাহী জাহাজটি আগামী শনিবার (২৩ মার্চ) ভারতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। নৌবাহিনীর ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ভারতে আনার পর জলদস্যুদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ওই নৌ কর্মকর্তা। এছাড়া জলদস্যুদের বিরুদ্ধে কী ধরনের অভিযোগ আনা হবে, তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার নয় বলে জানান তিনি।
এর আগে, গত ১৬ মার্চ ভারতীয় নৌবাহিনীর কমান্ডোরা সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাত থেকে মাল্টার পতাকাবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি রুয়েনকে উদ্ধার করে। পাশাপাশি জাহাজে থাকা ৩৫ জলদস্যুকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করে কমান্ডোরা।
জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর সোকোত্রা থেকে ৪৫০ নটিক্যাল মাইল পূর্বে উত্তর আরব সাগরে মাল্টার এই জাহাজটি ছিনতাই করে সোমালিয়ান দস্যুরা।
রয়টার্স বলছে, সোমালিয়ার জলদস্যুদের এই ধরনের ছিনতাইয়ের ঘটনা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিল ২০১১ সালে। ওই সময় এ অঞ্চলের জলদস্যুদের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রায় ৭০০ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়। এর মধ্যে কয়েক মিলিয়ন ডলার তাদের কাছে গিয়েছিল মুক্তিপণ হিসেবে।
জলদস্যুদের ছিনতাইয়ের ঘটনা সর্বোচ্চে পৌঁছানোর ওই সময় বড় ধরনের হামলায় জড়িত জলদস্যুদের বিচার করে কারাগারে বন্দি করতো ভারত। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় নৌবাহিনী আটককৃত জলদস্যুদের সমুদ্রে ছেড়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। দেশটির নৌবাহিনীর ওই কর্মকর্তা বলেছেন, এমভি রুয়েন ছিনতাইয়ে জড়িত জলদস্যুদের বিচারের মাধ্যমে কয়েক বছর পর প্রথমবারের মতো ফের জলদস্যুদের বিচার করবে ভারত।
আসামে দুই আইএস জঙ্গি গ্রেপ্তার
বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশের সময় আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে আসাম পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। তারা দুজনই ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআইএ)-মোস্ট ওয়ান্টেড লিস্টে ছিলেন।
বুধবার (২০ মার্চ) ভোরে ধুবড়ির ধর্মশালা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার দুই জঙ্গির নাম হরিশ আজমল ফারুকি ওরফে হরিশ আজমল ফারুখি ও অনুরাগ সিং ওরফে রেহান। ফারুকি উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনের বাসিন্দা এবং অনুরাগ সিং হরিয়ানার পানিপথের বাসিন্দা। অনুরাগ সিং ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন এবং তার স্ত্রী বাংলাদেশি নাগরিক।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও এর সহযোগী এজেন্সিগুলোর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এসটিএফের একটি দলকে ধুবরি সেক্টরে ওই জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করে। তারা ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার মোস্ট ওয়ান্টেড লিস্টে ছিলেন।
আসাম পুলিশের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণবজ্যোতি গোস্বামী জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার দুই জঙ্গিকে গুয়াহাটিতে এসটিএফ অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
অবশেষে কেজরিওয়াল কারাগারে
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দর কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় নয়বার ইডির সমন এড়াতে সক্ষম হলেও এবার তিনি ধরা দিয়েছেন। বাজেয়াপ্ত করা হয় তার ফোন। ভারতের ইতিহাসে কেজরিওয়ালই প্রথম, যিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকাকালীন গ্রেপ্তার হলেন।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাতে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) তাকে গ্রেপ্তার করে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে তল্লাশি শুরু করে ইডি। এরপরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় কেজরিওয়ালের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন নেতাকর্মীরা। রাজধানীজুড়েই প্রতিবাদ শুরু করেন তারা। পরিস্থিতি জটিল হলে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে বাসভবনের সামনে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ইডি অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে মদ নীতি কেলেঙ্কারি মামলার ‘ষড়যন্ত্রকারী’ বলে অভিহিত করা হয়েছে।
ইডি বলেছে, মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও আম আদমি পার্টির নেতা মণীশ সিসোদিয়া এবং সঞ্জয় সিং মদ নীতি তৈরিতে ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছিলেন ভারত রাষ্ট্র সমিতির (বিআরএস) নেতা কে. কবিতা।
পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করল ভারত
অনির্দিষ্টকালের জন্য পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
শনিবার (২৩ মার্চ) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে গত বছর ডিসেম্বরে পেঁয়াজ রপ্তানিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ভারত। যার মেয়াদ ছিল ৩১ মার্চ পর্যন্ত। তবে শনিবার দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পরবর্তী আদেশ আসার আগ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি স্থগিত থাকবে।
মুম্বাইভিত্তিক একটি পেঁয়াজ রপ্তানি সংস্থার এক কর্মকর্তা বলেন, এই আদেশ পুরোপুরি অপ্রয়োজনীয়। এমনিতেই দেশের অভ্যন্তরে পেঁয়াজ এখন পানির দামে বিক্রি হচ্ছে, তার ওপর আর কিছুদিন পর নতুন ফসল আসবে। তখন কী হবে? ডিসেম্বরে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আগ পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের পাইকারি বাজারগুলোতে প্রতি ১০০ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৫০০ রুপিতে। এরপর দাম কমতে কমতে বর্তমানে প্রতি ১০০ কেজি পেঁয়াজের পাইকারি মূল্য নেমেছে ১ হাজার ২০০ রুপিতে। রপ্তানিতে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা আসায় সামনের দিনগুলোতে দাম আরও নেমে যাবে।
প্রসঙ্গত, ভারত বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ পেঁয়াজ রপ্তানিকারক দেশ। বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, নেপাল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ভারতীয় পেঁয়াজের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। তবে মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশেও ভারতীয় পেঁয়াজ রপ্তানি করা হয়।
গত ডিসেম্বরে ভারত রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর থেকে বিশ্ববাজারে হু হু করে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা থেকে ৭০ টাকা দরে। কয়েক দিন আগে এর দাম প্রতি কেজি ১২০ টাকায় উঠেছিল।
দিল্লি হাইকোর্টে মুক্তির আবেদন করলেন কেজরিওয়াল
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তার এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশকে অবৈধ বলে আদালতের কাছে আবেদন করেছেন তিনি। একই সঙ্গে তাকে দ্রুত মুক্তি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।
শনিবার (২৩ মার্চ) তিনি এ আবেদন করেন। খবর এনডিটিভির।
এছাড়া ইডি হেফাজতে থাকাকালে নিজ দল আম আদমি পার্টির (আপ) নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে চিঠি লিখেছেন তিনি।
চিঠিটি পড়ে শোনান তার স্ত্রী সুনিতা কেজরিওয়াল। এতে তিনি বলেন, আপনারা সমাজের জন্য কাজ চালিয়ে যান। বিজেপির কাউকে ঘৃণা করবেন না। তারা সবাই আমাদের ভাইবোন। ভারতের ভেতরে ও বাইরে অনেক শক্তি রয়েছে, যেগুলো আমাদের দেশকে দুর্বল করে তুলছে। কোনো কারাগারই বেশি দিন আমাকে আটকে রাখতে পারবে না। আমি শিগগিরই বেরিয়ে আসব এবং প্রতিশ্রুতিগুলো পূরণ করব।
কেজরিওয়াল চিঠিতে আরও বলেন, কারাগারের ভেতরে বা বাইরে যেখানেই থাকি না কেন, আমার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত দেশের সেবার জন্য উৎসর্গ করেছি। রক্তের প্রতিটি ফোঁটা দেশের জন্য বিলিয়ে দিয়েছি।
এদিকে কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তারের পর বিজেপি সরকার আম আদমি পার্টির নেতা-কর্মীদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলে দাবি করেছেন দলটির নেতা ও দিল্লির মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ।
বিষাক্ত মদ্যপানে ২১ জনের মৃত্যু
ভারতে বিষাক্ত মদ্যপানে অন্তত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
রোববার (২৪ মার্চ) এক প্রতিবেদনে দেশটির এ খবর জানিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে। গত বুধবার (২০ মার্চ) পাঞ্জাবের সাংরু জেলায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঞ্জাবের সাংরুতে বিষাক্ত মদ্যপানে অসুস্থ হয়ে পড়েন ৪০ জনের বেশি। এর মধ্যে অন্তত ২১ জনের মৃত্যু হওয়ায় জেলাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় বাকিরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র বেআইনি মদের কারবার রমরমিয়ে চলছিল। এলাকাবাসীরা এটি বন্ধে উদ্যোগ নিলেও তার ব্যর্থ হন।
পাঞ্জাব পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চক্রের মূলহোতাদেরকে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের দেওয়া তথ্যে যে বাড়িতে মদ তৈরি হতো সেখানে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২০০ লিটার ইথানল উদ্ধার করা হয়েছে।।
ভারতের উত্তর প্রদেশে নিষিদ্ধ হলো মাদরাসা
ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তর প্রদেশের মাদরাসাগুলো নিষিদ্ধের আদেশ দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। দেশটিতে লোকসভা নির্বাচনের আগে মাদরাসার ওপর এমন নির্দেশ দেওয়ার ফলে মুসলিমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর থেকে আস্থা হারাবেন।
শুক্রবার (২২ মার্চ) বিচারপতি সুভাষ বিদ্যার্থী এবং বিবেক চৌধুরী এ রায় দেন।
এ রায়ের মাধ্যমে উত্তর প্রদেশে মাদরাসা পরিচালনাকারী ২০০৪ সালের আইন বাতিল করা হলো। রায়ে বলা হয়েছে, এই আইন ভারতের সাংবিধানিক ধর্মনিরপেক্ষতাকে লঙ্ঘন করে। এ ছাড়া মাদরাসার শিক্ষার্থীদের প্রচলিত স্কুলে স্থানান্তরেরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
উত্তর প্রদেশের মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের প্রধান ইফতিখার আহমেদ জাভেদ জানিয়েছেন, আদালতের এই আদেশের পর মাদরাসাগুলোতে দেওয়া সরকারি অনুদান বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে বিপাকে পড়বেন রাজ্যের ২৫ হাজার মাদরাসার ২০ লাখ ৭০ হাজার শিক্ষার্থী এবং অন্তত ১০ হাজার শিক্ষক। রাজ্যের ২ কোটি ৪০ লাখ মানুষের এক পঞ্চমাংশই মুসলমান বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
উত্তরপ্রদেশে মাদরাসা বোর্ডের সাংবিধানিকতার বৈধতা নিয়ে অংশুমান সিং রাঠোর নামে এক ব্যক্তির দায়ের করা মামলায় এই রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। এই রাঠোর কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত কি না তা নির্ধারণ বা তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি রয়টার্স।
ভারতে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত সাত দফায় শুরু হতে যাচ্ছে সাধারণ নির্বাচনে। এতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্ট-বিজেপি আবারও জয়ী হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে নির্বাচনের আগে এই রায় মুসলিম ভোটের ওপর প্রভাব ফেলবে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
যদিও ভারতে ধর্মীয় বৈষম্যের কথা অস্বীকার করেছেন মোদি। অবশ্য আদালতের রায়ের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়ে শনিবার রয়টার্সের করা ই-মেইলের কোনও উত্তর দেয়নি মোদির কার্যালয়।
উত্তরপ্রদেশ বিজেপির মুখপাত্র রাকেশ ত্রিপাঠি বলেছেন যে, এটি মাদরাসার বিরুদ্ধে নয় এবং মুসলিম ছাত্রদের শিক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
আদালত এই আদেশের জন্য সময়সীমা দেয়নি, তবে উত্তর প্রদেশের মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের প্রধান ইফতিখার আহমেদ জাভেদ বলেছিলেন যে, মাদ্রাসাগুলি এখনই বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
এর আগে, বিজেপি শাসিত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামও শত শত মাদ্রাসাকে প্রচলিত স্কুলে রূপান্তরিত করছে।
ভারতের মাদ্রাসাগুলোয় মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে ২০০৯-১০ সালে কংগ্রেস সরকার উত্তর প্রদেশে ‘স্কিম ফর প্রোভাইডিং কোয়ালিটি এডুকেশন ইন মাদ্রাসাজ’ নামের একটি বিশেষ প্রকল্প চালু করে। ২০১৬ সালে সেই প্রকল্পের তহবিলে আরও ৩০০ কোটি রুপি দিয়েছিল তৎকালীন বিজেপি সরকার। কিন্তু ২০২২ সালের মার্চে ওই প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
সূত্র : রয়টার্স