ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বাংলাদেশি নিহত
ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। রোববার সালালাহ থেকে মাস্কাটগামী সড়কের আল তামরিত এলাকায় দ্রুতগামী প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহতরা সবাই চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বাসিন্দা।
তারা হলেন- পোমরা ইউনিয়নের মাইজপাড়া গ্রামের জাহেদ (৪২), সরফভাটা ইউনিয়নের আসকার আলী রোড এলাকার সালাউদ্দিন (৪০) ও বেতাগী ইউনিয়নের বালুরচর গ্রামের আবছার(৪৫)।
নিহতরা মাস্কট মডার্ন রোজ ট্রেডিং এন্টারপ্রাইজ এলএলসি নামে একটি কোম্পানির পর্দার সেকশনে চাকরি করতেন।
কোম্পানিটির সত্ত্বাধিকারী মোহাম্মদ রেজাউল করিম দুর্ঘটনায় নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এফএ
মন্তব্য করুন
গাজায় ২৫ হাজারের বেশি নারী-শিশু হত্যা করেছে ইসরায়েল : যুক্তরাষ্ট্র
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত সেখানকার ২৫ হাজারের বেশি নারী ও শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের এ তথ্য দিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। খবর রয়টার্সের।
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত নারী ও শিশুদের সংখ্যা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের হাউস আর্মড সার্ভিসেস কমিটির শুনানি অনুষ্ঠিত হয় এদিন। সেখানে লয়েড অস্টিন বলেন, ‘সংখ্যাটা ২৫ হাজার ছাড়িয়েছে।’ তবে তিনি এও বলেন যে, এই পরিসংখ্যানটি হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে নয়।
তবে, অস্টিনের এ বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পরে পেন্টাগনের মুখপাত্র সাবরিনা সিং বলেন, অস্টিন গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি অনুমান উদ্ধৃত করে এ তথ্য দিয়েছেন। তবে এই পরিসংখ্যান শুধুমাত্র মহিলা এবং শিশু মৃত্যুর নয়, তিনি গাজায় মোট নিহতদের কথা উল্লেখ করছেন। সাবরিনা সিং বলেন, 'আমরা স্বাধীনভাবে গাজায় এই হতাহতের পরিসংখ্যান যাচাই করতে পারি না'।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এর প্রতিশোধস্বরূপ ওইদিন থেকে হামাস উৎখাতের নামে সাধারণ গাজাবাসীর ওপর নির্বিচার হামলা ও অভিযান চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। চার মাস হয়ে এলেও এখন পর্যন্ত নিরীহ গাজাবাসীর বিরুদ্ধে অভিযানে লাগাম টানার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না দখলদার রাষ্ট্রটির পক্ষ থেকে। বরং মার্কিন ও পশ্চিমা মিত্রদের প্রশ্রয়ে ক্রমেই আরও ভয়ানক হয়ে উঠছে ইসরায়েলি সেনারা। গাজা উপত্যকাকে জনশূন্য ভূমিতে পরিণত করার হুমকিও ভেসে আসছে দেশটির সরকারস্থানীয় বিভিন্ন ব্যক্তির মুখ থেকে।
গত ৭ অক্টোবর থেকে চলমান মার্কিন মদদপুষ্ট ইসরায়েলি সেনাদের এ নির্বিচার হামলা-অভিযানে গাজায় এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৩০ হাজারেরও বেশি সাধারণ ফিলিস্তিনি, যাদের বেশির ভাগি নারী ও শিশু। এছাড়া ৩৪০ জন চিকিৎসাকর্মী এবং ১৩২ জন সাংবাদিকও রয়েছেন এই নিহতদের মধ্যে।
ইসরাইলি হামলায় ৭০ বন্দী নিহত : হামাস
ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় হামাসের কাছে জিম্মি ৭ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে জিম্মি নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭০ জনে। সর্বশেষ নিহত ৭ জনের মধ্যে ৪ জন ইসরায়েলি এবং ৩ জন বিদেশি নাগরিক বলে জানা গেছে। তবে কখন, কোথায় এই ৭ জিম্মি নিহত হয়েছেন, তা পরিষ্কার করেননি এই প্রতিরোধ যোদ্ধা।
শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে এক পোস্টে এ তথ্য দিয়েছে হামাসের সামরিক বিভাগ আল কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবাইদা।
কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, টেলিগ্রাম পোস্টে আবু উবাইদা বলেছেন, গাজায় গত প্রায় ৫ মাসে ইসরায়েলি বাহিনীর বোমায় বেশ কয়েকজন জিম্মি নিহত হয়েছেন। শুক্রবার নিহতের মধ্যে দিয়ে সেই সংখ্যা ৭০ জন ছাড়িয়েছে।
হামাস এই সাতজনের মধ্যে তিনজনের নাম প্রকাশ করেছে। তারা হলো চাইম গারশন পেরি (৭৯), ইয়োরাম ইতাক মেতগার (৮০), আমিরাম ইসরায়েল কুপার (৮৫)। তবে বাকি চারজনের নাম প্রকাশ করেনি হামাস।
হামাস জানায়, আমরা আগেই ঘোষণা করেছিলাম যে ওইসব জিম্মিদের পাহারার দায়িত্বে থাকা আমাদের যোদ্ধাদের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আমরা ধারণা করেছিলাম, ইহুদিবাদীদের হামলায় তারা এবং তাদের সাথে থাকা বন্দীরাও নিহত হয়েছেন। তবে সাম্প্রতিক অনুসন্ধানে এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। আর তা হয়েছে ইহুদিবাদীদের বোমা হামলায়।
হামাসের বক্তব্য, আমরা বন্দীদের জীবন রক্ষা করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমাদের কাছে পরিষ্কার যে ইসরাইলি বাহিনী পরিকল্পিতভাবে তাদের বন্দীদের হত্যা করছে। আর ইসরাইলি নেতৃত্ব তা করছে, এদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য। তবে আমরা দৃঢ়ভাবে বলছি, এসব নিহত বন্দীদের মূল্য জীবিতদের সমান। তাদের লাশ নিতে হলে যথাযথ মূল্য দিতেই হবে। আমরা আশা করি, ইসরাইল তাদের লোকদের আর হত্যা করবে না।
এদিকে, বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, হামাসকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এই প্রস্তাবের মধ্যে আছে, ৪০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতি হবে। হামাস যদি একজন বন্দিকে মুক্তি দেয়, তাহলে ইসরায়েল ১০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে। তাছাড়া বলা হয়েছে, গাজায় ক্ষতিগ্রস্ত হাসপাতাল ও বেকারি মেরামত করে দেয়া হবে। দরকার হলে আবার নির্মাণ করে দেয়া হবে। প্রতিদিন সেখানে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে পাঁচশটি ট্রাক ঢুকবে।
কাতারের বক্তব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে বাইডেনের মন্তব্যের কোনো প্রতিক্রিয়া দিতে চায়নি কাতার। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেছেন, এখনো পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি ও বন্দিদের মুক্তি দেয়া নিয়ে কোনো মতৈক্য হয়নি।
তিনি জানিয়েছেন, মতৈক্যের জন্য কাতার চেষ্টা করে যাচ্ছে। প্যারিসে একটা খসড়া চুক্তি তৈরি হয়েছে। ইসরায়েল ও হামাস যাতে এই চুক্তি মেনে নেয়, তার চেষ্টা চলছে। কিন্তু কবে যুদ্ধবিরতি হবে, তা নিয়ে কোনোরকম জল্পনা করতে কাতার রাজি নয়। তবে কাতার যুদ্ধবিরতি নিয়ে আশাবাদী।
দুর্ভিক্ষের মুখে গাজা ভূখণ্ডের চারভাগের মধ্যে একভাগ মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে আছেন বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদে জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা বলেছেন, গাজায় পাঁচ লাখ ৭৬ হাজার মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে আছেন। দুই বছরের নিচে ছয়জন বাচ্চার মধ্যে একজন সেখানে ভয়ংকর অপুষ্টিতে ভুগছে। বস্তুত এই ভূখণ্ডের ২৩ লাখ মানুষ উপযুক্ত পরিমাণ খাবার পাচ্ছেন না। যদি যুদ্ধবিরতি হয়, তাহলে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম দ্রুত সেখানে গিয়ে মানুষের হাতে খাবার তুলে দেয়ার চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছে। তবে বর্তমান অবস্থা চলতে থাকলে উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ অনিবার্য বলে জাতিসংঘের মত।
উল্লেখ্য, গাজা উপত্যকায় গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চলমান ইসরায়েলের প্রাণঘাতী হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৬ জন নিহত এবং ১৩১ জন আহত হয়েছে। এতে যুদ্ধে ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৬৯২ জনে। পাশাপাশি এ সময়ে আহত হয়েছে আরো ৬৯ হাজার ৮৭৯ জন। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রোববার এ তথ্য জানিয়েছে।
মার্কিন জাহাজে ফের হুতিদের হামলা
লোহিত সাগরের মূর্তিমান আতঙ্ক হুতিরা আবারও মার্কিন জাহাজে হামলার চালিয়েছে।
বুধবার (৬ মার্চ) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ব্রিটিশ নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান অ্যামব্রে জানিয়েছে, ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলের এডেন বন্দরে একটি জাহাজে হামলার খবর পাওয়া গেছে। কাছাকাছি থাকা অন্য একটি জাহাজ থেকে এ খবর পাওয়া গেছে। হামলার শিকার জাহাজটি যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানাধীন ও বারবাডোজের পতাকাবাহী।
অ্যামব্রে জানিয়েছে, এডেন বন্দর থেকে ৫৭ ন্যাটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছিল। এ সময় জাহাজটির কাছে অপর একটি জাহাজ যায়। তারা নিজেদের ইয়েমেনের নৌবাহিনী পরিচয় দিয়ে জাহাজটির পথ পরিবর্তনের নির্দেশ দেয়।
টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, হামলার পর তারা অন্যান্য জাহাজকে জাহাজটির সঙ্গে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সতর্কতা জারি করেছে। হামলাটির সাথে হুতিদের হামলার ধরনের মিল রয়েছে বলেও জানিয়ে সংস্থাটি।
যুক্তরাজ্যের আরেক সংস্থা ইউকেএমটিও এ হামলার তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে তারা এ হামলার বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানায়নি।
মার্কিন সেনা সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৯ নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে ৩০টির বেশি জাহাজে হামলা চালিয়েছে হুতিরা। তাদের হামলার ভয়ে বেশিরভাগ জাহাজ কোম্পানি গুরুত্বপূর্ণ এই দুই নৌপথ এড়িয়ে গন্তব্যে পাড়ি দিচ্ছে। এতে পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে পশ্চিমারা।
মসজিদে ইফতার নিষিদ্ধ করল সৌদি
পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার আগেই মসজিদে ইফতারি খাওয়া নিষিদ্ধ করেছে সৌদি আরব।
গত সপ্তাহে দেশটির সরকার এ ঘোষণা দেয়। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ আরব এ খবর জানিয়েছে।
সৌদি আরবের ইসলামবিষয়ক মন্ত্রণালয় একটি নোটিশ জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, ‘ইফতারি পণ্য নিয়ে মসজিদে যাওয়া যাবে না। মসজিদের পরিচ্ছন্নতার কথা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
এতে আরও বলা হয়েছে, ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের ইফতারির জন্য মসজিদের উন্মুক্ত স্থানে একটি যথাযথ জায়গা খুঁজে বের করতে হবে। তবে অস্থায়ী কোনো রুম বা তাঁবু স্থাপন করা যাবে না। সেই সঙ্গে ইফতারি ক্রয়ের জন্য ইমাম ও মুয়াজ্জিনরা যেন কোনো অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে না।
নোটিশে বলা হয়েছে, মসজিদের ভেতর কোনো ধরনের ক্যামেরা ব্যবহার বা ছবি না তোলার জন্যও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে মসজিদের ভেতর ক্যামেরা স্থাপন করে তা সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না।
প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রাচ্যে আগামী ১০ মার্চ রাতে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
যুদ্ধবিরতির আলোচনায় থাকা হামাস দলের কায়রো ত্যাগ
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রতিনিধিদল কায়রো ত্যাগ করেছে। তারা বলেছে, তাদের প্রতিনিধি দল মিশর ত্যাগ করেছে, কিন্তু ইসরাইলের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে না পৌঁছানো পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা আগামী সপ্তাহে অব্যাহত থাকবে।
ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি আলজাজিরাকে বলেছেন, মিশরের রাজধানী কায়রোতে চার দিনের আলোচনায় কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। কারণ, ইসরায়েল গাজায় আক্রমণ বন্ধ, তাদের বাহিনী প্রত্যাহার, ত্রাণের প্রবেশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং বাস্তুচ্যুত লোকদের প্রত্যাবর্তনের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
সামি আবু জুহরি বলেন, একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য মধ্যস্থতাকারীদের সব প্রচেষ্টা ইসরায়েল ‘নস্যাৎ’ করে দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রমজানের আগে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য সব পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের হামলায় অন্তত ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত ও প্রায় ২৫০ জনকে বন্দি করা হয়। নভেম্বরে এক সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতির সময় ১০০ জনেরও বেশি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় মৃতের সংখ্যা ৩০ হাজার ৮০০ ছাড়িয়ে গেছে। যাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।
ঝড়-বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত আরব আমিরাত, সতর্কতা জারি
ঝড়-বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত, এতে ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা। ইতোমধ্যে বাসিন্দাদের সতর্ক করছে দেশটির পুলিশ।
শনিবার (৯ মার্চ) সকাল থেকেই আবুধাবি, দুবাই, শারজাহ, আজমান, রাস আল খাইমাহ, ফুজাইরাহসহ সব জায়গায় অঝোরে ঝরেছে বৃষ্টি। এ খবর জানিয়েছে আল আরাবিয়া।
দেশটির জাতীয় জরুরি বিভাগের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এদিন সকালে দেশটির আকাশ পুরো মেঘে আচ্ছন্ন হওয়ার পরপরই নামে অতিবৃষ্টি। সেই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে বজ্রপাত হয়েছে আল আইন ও আজমানে। রোববার (১০ মার্চ) দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া খারাপ থাকবে। এ সময়ের মধ্যে ব্যাপক বৃষ্টি, বজ্রপাত এবং শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
দেশটির পুলিশের পক্ষ থেকে বাসিন্দাদের আবহাওয়া সতর্কবার্তা পাঠিয়ে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠানো হয়েছিলো।
এতে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে বাসিন্দাদের সমুদ্র সৈকতে যাওয়া থেকে বিরত থাকা, নৌযানে চলাচল না করা, বন্যা প্রবণ এলাকায় ঘুরতে না যাওয়া এবং গাড়ি চালাতে সতর্কতা আরোপের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গত সপ্তাহে দেশটির আবহাওয়া দপ্তর বৃষ্টির ব্যাপারে সতর্কতা দিয়েছিল। গত মাসেও আরব আমিরাতে ভয়াবহ বৃষ্টি এবং বজ্রপাত হয়।
রমজানের আগে ৯০০ পণ্যের দাম কমাল কাতার
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আসন্ন রমজানের আগেই ৯০০ পণ্যের দাম কমাল মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। গত ৪ মার্চ থেকেই কার্যকর হয়েছে নতুন মূল্য তালিকা, যা রমজান মাসের শেষ পর্যন্ত চলবে।
রোববার (১০ মার্চ) এ খবর জানিয়েছে গালফ নিউজ।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এ বছর রমজান মাস শুরু হতে পারে আগামী ১১ মার্চ থেকে। তার আগেই কাতারের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে নয় শতাধিক পণ্যে বিশেষ মূল্যছাড় দেওয়া হচ্ছে।
কাতারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, খাদ্য ও ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় পবিত্র রমজান মাসে সেগুলো কম দামে জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশটির বড় বড় খুচরা বিক্রয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হচ্ছে।
কাতারে এবারে রমজান মাস উপলক্ষে মূল্যছাড় দেওয়া পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে দুধ, দই এবং দুগ্ধজাত পণ্য, টিস্যু পেপার, পরিচ্ছন্নতা উপকরণ, রান্নার তেল ও ঘি, পনির, হিমায়িত সবজি, বাদাম, বোতলজাত পানি, জুস, মধু, মুরগি, রুটি, টিনজাত খাবার, পাস্তা, ভার্মিসেলি, গোলাপ জলসহ আরও অনেক কিছু।
২০২১ সালে দেশটি প্রায় ৬৫০ পণ্যের দাম কমিয়েছিল। ২০২২ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮০০তে, ২০২৩ সালে সেটি আরও বাড়িয়ে ৯০০র বেশি পণ্যের দাম কমায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। এ বছরও প্রায় একই সংখ্যক পণ্যের দাম কমিয়েছে কাতারি কর্তৃপক্ষ।